হাতে বই, জানালায় শহর কলকাতা, চড়বেন নাকি ট্রাম লাইব্রেরিতে!
শহরে ঘুরবে ট্রাম লাইব্রেরি
গ্রন্থাগার বা লাইব্রেরিতে গিয়ে বই পড়ার চল এখন প্রায় লুপ্ত। ইন্টারনেটের যুগে এখন ই–বুক পড়া বা মোবাইলের সোশ্যাল নেটওয়ার্ক থেকে মুখ তোলার সময় নেই কারোর। তবে একটু অন্যরকম বিষয় অনুভব করাতে এই প্রথমবার কলকাতার ঐতিহ্য ট্রামের মধ্যে লাইব্রেরি তৈরি করা হবে। বুধবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই বিষয়টি জানা যায়।
থাকবে বই, ম্যাগিজন, বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার বই
বিশেষভাবে তৈরি এই ট্রাম লাইব্রেরিতে রাখা হবে বই ও ম্যাগাজিন। এর সঙ্গে থাকবে সিভিল সার্ভিস, ডব্লিউবিসিএস, জিআরই ও জিম্যাটের মতো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার বইও। পশ্চিমবঙ্গ ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের ম্যানেজং ডিরেক্টর রাজনবীর সিং কাপুর জানিয়েছেন যে ট্রাম রুটে সব স্কুল কলেজ পড়ুয়াদের আকর্ষণ করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শ্যামবাজার থেকে এসপ্ল্যানেড
বৃহস্পতিবার এই ট্রাম লাইব্রেরির উদ্বোধন হবে বলে জানা গিয়েছে। এই ট্রাম শ্যামবাজার থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত ছুটবে, ৪.৫ কিমি রাস্তার মধ্যে কলেজ স্ট্রীটও পড়বে, যা শহরের শিক্ষা হাব বলে পরিচিত। কাপুর জানিয়েছন, এই রুট বা রুট সংলগ্ন ৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যার মধ্যে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যায়, স্কটিশ চার্চ কলেজ, হিন্দু স্কুল ও ক্যালকাটা গার্লস স্কুল অন্যতম।
ট্রাম লাইব্রেরিতে থাকবে ফ্রি ওয়াইফাই
কাপুর এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘রাজ্যের পরিবহন দপ্তরের উদ্যোগে দেশে প্রথমবার ট্রাম লাইব্রেরি চালু হতে চলেছে, বই, ম্যাগাজিন ভর্তি থাকবে বিশেষ এই ট্রামটিতে, ট্রামে চড়ে পড়তে পড়তে সফর করতে পারবেন পড়ুয়া সহ সাধারণ যাত্রীরাও।' এই ট্রামে ফ্রি ওয়াইফাই থাকবে, যাতে যাত্রীরা বই পড়ার পাশাপাশি ই-বুকও পড়তে পারেন। বইয়ের সংগ্রহ ভবিষ্যতে আরও বাড়ানো হবে।
ভবিষ্যতের পরিকল্পনা
তিনি আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতে এই ট্রাম লাইব্রেরির ভেতরেই বই পড়ার সেশন, বইয়ের উদ্বোধন ও সাহিত্য উৎসব করার পরিকল্পনা রয়েছে।' ১৯০২ সালে বৈদ্যুতিন ট্রাম পরিষেবা চালু হওয়ার পর ট্রামকে ঘিরে বহু উদ্যোগই নেওয়া হয়েছে, তবে তার মধ্যে এই উদ্যোগই সেরা।
প্রতীকী ছবি
৮৩ বছরের বৃদ্ধা গর্জে উঠেছিলেন সিএএ নিয়ে, শাহিনবাগের বিলকিস বিশ্ব আঙিনায় পেলেন নয়া তাজ