ভবানীপুরে জোড়া খুনের কিনারা করল পুলিশ! ঘটনায় ৭২ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার ৩
ভবানীপুরে জোড়া খুনের কিনারা করল কলকাতা পুলিশ। বুধবারেই এই ঘটনার পিছনে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন গোয়েন্দারা। এদের মধ্যে দুজনের মন্তব্যে অসঙ্গতি দেখা দেওয়ায় তাদের গ্রেফতার করা হয়। খুনের পি
ভবানীপুরে জোড়া খুনের কিনারা করল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। বুধবারেই এই ঘটনার পিছনে জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন গোয়েন্দারা। এদের মধ্যে দুজনেরই মন্তব্যে অসঙ্গতি দেখা দেওয়ায় তাদের গ্রেফতার (arrest) করা হয়। পরে ধৃতদের জেরা করে তৃতীয় ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়। ওই ব্যক্তি ওড়িশার বাসিন্দা হলেও তাকে কলকাতা থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। খুনের পিছনের টাকার লেনদেন সংক্রান্ত ঘটনা রয়েছে। পিছনে রয়েছে আত্মীয়ও।
খুনের পিছনে আত্মীয়
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অশোক শাহ বেশ কয়েকমাস আগে মেজো জামাইয়ের এক আত্মীয়কে একলক্ষ টাকা ধার দিয়েছিলেন। দূরসম্পর্কের সেই আত্মীয় অশোক শাহকে টাকা ফেরত দিতে টালবাহানা করছিলেন। টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতি দিলেও ব্যবসায় মন্দার কথা বলে দেরি করা হচ্ছিল। তারই মধ্যে ভবানীপুরের সেই বাড়িতেও যায় দূরসম্পর্কের সেই আত্মীয়। সঙ্গে দুই অপরিচিত ব্যক্তিরও ছিলেন। পুলিশ মনে করছে, সেইসময় দূরসম্পর্কের ওই আত্মীয় সেই সময় গুজরাতি দম্পতির বাড়িতে এসেছিল রেইকি করতে।
সিসিটিভি ফুটেজেই হদিশ
গুজরাতি দম্পতির বাড়ির সামনের তিনটি সিসিটিভি খারাপ থাকলেও অন্য সিসিটিভি ফুটেজ থেকে দুই সন্দেহজনক ব্যক্তির সন্ধান পায় পুলিশ। এর সঙ্গে যুক্ত হয় পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য। সেখান থেকেই উঠে আসে মেজো জামাইয়ের আত্মীয়কে টাকা ধার দেওয়ার প্রসঙ্গ। বুধবারই দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। এরপর বক্তব্যে অসঙ্গতি দেখা দেওয়ার গভীর রাতে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
মাস্টার মাইন্ডের খোঁজে পুলিশ
তবে এই জোড়া খুনের মাস্টার মাইন্ড অশোক শাহের মেজো জামাইয়ের আত্মীয়, যে ব্যক্তি খুনের ঘটনার পরিকল্পনা করেছিলেন, তাঁকে এখনও পুলিশ ধরতে পারেনি। তিনি সোমবার খুনের ঘটনার সময় ঠিক কোথায় ছিলেন, তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। গোটা ঘটনার পিছনে তিন থেকে চারজন যুক্ত থাকতে পারেন বলেই মনে করছেন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা।
খুনের পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯৮ সালে ওই বাড়িতে ভাড়া আসে গুজরাতি পরিবারটি। এরপর ২০০৫ সালে পুরো বাড়িটিই কিনে নেন তাঁরা। সাম্প্রতিক সময়ে বাড়ির একতলার একটি অংশ ৬০ লক্ষ টাকায় বিক্রির পরিকল্পনা করেছিলেন অশোক শাহ। সেই মতো ক্রেতাদের সঙ্গে কথাও চলছিল। সেক্ষেত্রে খুনের পিছনে কি শুধুমাত্র ধার নেওয়া ১ লক্ষ টাকা না অন্য কিছু রয়েছে, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কেননা গত শুক্রবার দূরসম্পর্কের ওই আত্মীয় ওই বাড়িতে এসেছিল। সেই সময়ই দুই ভাড়াটে খুনিকে বাড়ি চেনায়। তাহলে ভাড়াটে খুনিদেরও তো টাকা দিতে হয়েছে। সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র ১ লক্ষ টাকার জন্য খুন, নাকি এর পিছনে আরও বড় কোনও লেনদেন রয়েছে, তাও তদন্ত করে দেখছেন গোয়েন্দারা।
Weather Update: এদিনও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি! দক্ষিণবঙ্গে কবে বর্ষা, একনজরে বাংলার আবহাওয়ার পূর্বাভাস