পুলিশের দাবিতে সাড়া, বামেদের সভার আবেদন খারিজ উচ্চ আদালতে
পুলিশের দাবিতে সাড়া, বামেদের সভার আবেদন খারিজ উচ্চ আদালতে
দাবি মানা হল না বামেদের। পুলিশের যুক্তিকে মান্যতা দিয়ে ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সিটু সহ অন্যান্য বাম শ্রমিক সংগঠনগুলির সভা করার আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে পুলিশের অনুমতি নিয়ে আগামী ১১ ডিসেম্বর পদযাত্রা শেষে রানি রাসমণিতে সভা করতে পারবে বলে জানিয়ে দিলেন বিচারপতি অরিন্দম সিনহা।
সোমবার মামলার শুনানিতে মামলাকারীর আইনজীবী জানান, মিটিং মিছিল, আন্দোলন প্রতিবাদ গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু সেই অধিকার খর্ব করা হচ্ছে।
শিল্পায়নের দাবি, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণের বিরোধিতা-সহ বিভিন্ন বিষয় সামনে রেখে জেলা জুড়ে বাম শ্রমিক সংগঠনগুলি লংমার্চ করছে। আগামী ১১ ডিসেম্বর তারা কলকাতার ধর্মতলা ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভা করার জন্য পুলিশের কাছে অনুমতি চায়। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দিচ্ছে না।
শাসক দল তৃণমূল, বিজেপি সেখানে সভার অনুমতি পাচ্ছে, কিন্তু তাদের আটকানো হচ্ছে। তাই সভা করার অনুমতি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তারা। এখানে চিত্তরঞ্জন থেকে সিটু, ইনটাক-সহ কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি লং-মার্চ শেষে এই সভা করবে। ২০০০০ এর বেশি লোক নিয়ে কেন্দ্র সদ্য বিপিসিএল-সহ পাঁচটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। প্রায় আড়াইশো কিলোমিটার পদযাত্রা করে ১১ ডিসেম্বর কলকাতায় কেন্দ্রীয় সভা করতে চায় বলে আদালতে জানান আইনজীবী।
তবে এর বিরোধিতা করে রাজ্যের তরফে শীর্ষান্য বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে নয়। সিটুর সভার জন্য রানী রাসমণিতে অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। কারণ তাদের আগে ওখানে সভা করার অনুমতি চেয়ে সংগঠন আবেদন করে রেখেছে। কিন্তু কাউকে অনুমতি দেওয়া হয় নি কারণ অফিস টাইমে সেখানে জমায়েত হলে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হবে। তারা দুটো জায়গায় সভার অনুমতি চেয়েছিল। একটি ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে অন্যটি রানী রাসমণি। তাদের সভার জন্য রানী রাসমণি এভিনিউতে অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। এদিন করপোরেশনের তরফেও সভার বিরোধিতা করেন করপোরেশনের আইনজীবী অশোক বন্দোপাধ্যায়।