৩৩ ঘন্টারও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও আয়করের তল্লাশি চলছে তৃণমূল কাউন্সিলরের হোটেলে
প্রায় ৩১ ঘন্টারও বেশি সময় হয়ে পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও আয়কর দফতরের তল্লাশি চলছে তৃণমূল মেয়র পারিষদ আমির উদ্দিন ববির হোটেলে। মৌলালি এলাকার রিপন স্ট্রিটে কাউন্সিলারের এই হোটেল। সেখানেই বুধবার দুপুরে হঠাত করে হানা দেয় আয়
west bengal news, kolkata: প্রায় 33 ঘন্টারও বেশি সময় হয়ে পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও আয়কর দফতরের তল্লাশি চলছে তৃণমূল মেয়র পারিষদ আমির উদ্দিন ববির হোটেলে। মৌলালি এলাকার রিপন স্ট্রিটে কাউন্সিলারের এই হোটেল। সেখানেই বুধবার দুপুরে হঠাত করে হানা দেয় আয়কর দফতরের আধিকারিকরা।
এরপর থেকে প্রায় ৩১ ঘন্টা কেটে গিয়েছে। এখনও ওই হোটেলে তল্লাশি চলছে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও এই দীর্ঘ তল্লাশির বিষয়ে এখনও পর্যন্ত মেয়র পারিষদের কোনও বক্তব্য এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা রয়েছে
তৃণমূল কাউন্সিলারের বিলাসবহুল হোটেলে ঠিক কি কারণে তল্লাশি চলছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে আয় বহির্ভুত একাধিক সম্পত্তির হদিশ আয়কর দফতরের আধিকারিকরা পেয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়াও বেশ কিছু বেনামি সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে বলেও খবর। তবে এই বিষয়ে সরকারি ভাবে কিছুই জানানো হয়নি। তবে ওই হোটেলের প্রত্যেকটি গেটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এমনকি বেশ কয়েকটি গেট সিল করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
কাউকে ঢুকতে-বের হতে দেওয়া হচ্ছে না
শুধু তাই নয়, কালকের পর থেকে ওই হোটেল থেকে কাউকে বের এবং ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলেও খবর। তবে সকালে আরও বেশ কয়েকজন আয়কর দফতরের আধিকারিক ওই হোটেলে এসেছে বলেও খবর। শুধু ওই কাউন্সিলারের হোটেলেই নয়, কলকাতার বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর বাড়ি এবং অফিসেও আয়কর দফতরের তল্লাশি চলছে বলে জানা যাচ্ছে।
'কুবেরের ধন' পাওয়া গিয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর কাছ থেকে
অন্যদিকে 'কুবেরের ধন' পাওয়া গিয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়ি ও অফিস থেকে। বুধবার তাঁর বাড়ি-অফিস-সহ অন্তত ২৮ টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় আয়কর দফতর। একেবারে ভররাত পর্যন্ত চলে আয়কর দফতরের এই তল্লাশি। কেন্দ্রীয় এই সংস্থা সূত্রে খবর, তল্লাশিতে ১৫ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। সবথেকে বেশি টাকা কারখানা থেকে উদ্ধার হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে বিধায়কের বাড়ি থেকে মাত্র ২ থেকে ৩ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।
ব্যবসার টাকা
তবে বিপুল পরিমাণ এই টাকা উদ্ধারের ঘটনায় জাকির হোসেনের দাবি, ব্যবসায়ী হওয়ায় বাড়ি ও অফিসে এসেছিলেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। তিনি যেমন আয়কর আধিকারিকদের সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন । তবে কর দিয়ে ব্যবসা করেন বলে জানিয়েছেন জাকির হোসেন। শুধু তাই নয়, মুর্শিদাবাদের মধ্যে তিনি সব থেকে বড় কর দাতা বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে বিধায়ক আরও বলেন, অনেক সময়ে শ্রমিকদের টাকা দিতে হয়। আর তা দিতে হয় নগদে। সেটা সেই টাকা বলেও জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী।