ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু হত্যা মামলায় সিবিআই তদন্ত বহাল, হাইকোর্টের নির্দেশ
ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু হত্যা মামলা, হাইকোর্টে বহাল সিবিআই তদন্ত
ঝালদা পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু হত্যা মামলায় রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দিল হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। সোমবার হাইকোর্ট তপন কান্দু হত্যা মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশই বহাল রাখল। গত মাসে তপন কান্দু হত্যা মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য।
ঝালদা পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু হত্যা মামলায় রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দিল হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। সোমবার হাইকোর্ট তপন কান্দু হত্যা মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশই বহাল রাখল। গত মাসে তপন কান্দু হত্যা মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য।
সোমবার রাজ্যের করা মামলায় ডিভিশন বেঞ্চ রায় দেয়, তপন কান্দু হত্যা মামলায় সিবিআই তদন্ত বলবৎ থাকবে। কয়েকদিন আগেই তপন কান্দু হত্যা মামলায় হাইকোর্ট জানিয়েছিল, পুলিশের গাফিলতি রয়েছে। কেস ডায়েরিও জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। ঘটনার কেস ডায়েরি তলব করায় তপন কান্দু হত্যা মামলায় চাঞ্চল্যকর মোড় নেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
গত মঙ্গলবার তপন কান্দু খুনের মামলা সংক্রান্ত শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানে কেস ডায়েরি জমা দেওয়ার নির্দেশের পর রাজ্য সরকার সিঙ্গল বেঞ্চের দেওয়া সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজের আবেদন করে ডিভিশ বেঞ্চে গিয়েছিল। এদিন সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হল। অর্থার বহাল থাকল সিবিআই তদন্ত।
সম্প্রতি প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের পুলিশকে এক হাত নেওয়া হয়। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ উঠে আসে, এই মামলায় পূর্ণিমা কান্দুর অভিযোগ প্রথম দিকে পুলিশ গ্রহণ করেনি। পুলিশরে তা গ্রহণ করা উচিত ছিল বলে মনে করছে কলকাতা হাইকোর্ট। পুলিশ স্বত্তঃপ্রণোদিত যে এফআইআর দায়ের করে তার ভিত্তিতেই তদন্ত এগোচ্ছে বলে মনে করছে প্রধান বিচারপতির ভিডিশন বেঞ্চ।
কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছিল, সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইনও পুলিশ মানেনি। মোট কথা ঝালদা পুলিশের গাফিলতি ছত্রে ছত্রে উঠে আসে। এবার রাজ্যের আবেদন খারিজ করে ফের কলকাতা হাইকোর্ট বুঝিয়ে দিল তারা পুলিশের উপর ভরসা রাখতে পারছে না। এর আগে কলকাতা হাইকোর্ট যে পর্যবেক্ষণ করেছিল, তার বাইরে বেরোচ্ছে না তারা।
কলকাতা হাইকোর্ট জানতে চেয়েছে, জালদা পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু হত্যা মামলায় তদন্তের অগ্রগতি কতটা হয়েছে। তা জানিয়েও রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল পুরুলিয়ার পুলিশ সুপারকে। একইসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে দেওয়া নির্দেশিকাতে তপন কান্দু'র পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ২৩ মার্চ পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয় ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলার তপন কান্দুকে। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্যে তাঁকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। তারপরই খুন। এই ঘটনায় শাসক দল তৃণমূলের সঙ্গে রাজ্যের পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।