কন্যাশ্রী বদলে দিয়েছে জীবন, মমতাকে ধন্যবাদ দিতে সাইকেলে পাড়ি সাড়ে তিনশো মাইল
Array
স্কুল শিক্ষায় দুর্নীতির প্রশ্ন নিয়ে বেশ চাপে রয়েছে রাজ্য। শিক্ষা দফতর থেকে শিক্ষা মন্ত্রী সবাই বেশ চাপে রয়েছেন। গতকাল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আট ঘণ্টার ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই । তিনি আবার দলের মহাসচিব। সঙ্গে আবার পরেশ পালকেও ডেকেছে সিবিআই। সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের যাওয়া আসা , সিবিআইয়ের ডাক এড়ানো তো লেগেই রয়েছে গরু পাচার কাণ্ড নিয়ে। তিনি দুঁদে রাজনীতিবিদ। তাই মুখমণ্ডলে এসব চাপের ছাপ ফুটে ওঠে না। কিন্তু কোথাও সেই চাপ থাকে।
এসব চাপের মাঝে এক ঠাণ্ডা বাতাস এনে দিল একটি ছোট্ট মেয়ে। সে সুদুর মালদা থেকে কলকাতা সাইকেল চালিয়ে এল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাতে। সৌজন্যে কন্যাশ্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিস্ক প্রসূত এই প্রকল্প যে তাঁর দুই দিদির জীবন বদলে দিয়েছে। তাই এতদূর ছুটে এল ওই ছোট্ট মেয়েটি। আর সেটাই যেন তাঁর সরকারের উপর দিয়ে চলা এই রাজনৈতিক দাবদাহের মাঝে একটু ঠাণ্ডা বাতাস বয়ে আনল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনে।
মালদা থেকে কালীঘাটে এসেছিল আট বছরের মেয়ে সায়ন্তিকা। মালদা থেকে কালীঘাট, দূরত্ব সাড়ে তিনশো মাইল। এই বিশাল দুরত্ব সাইকেলে চেপে এসে সে ধন্যবাদ জানিয়ে গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সঙ্গে অবশ্য ছিল তাঁর বাবা, মা। মুখ্যমন্ত্রীরর সঙ্গে দেখা করে সে গোলাপজাম এবং আমসত্ত্ব উপহার দিয়েছে খুদে মেয়েটি । সায়ন্তিকাকে উপহারে ভরিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
সায়ন্তিকা থাকে ইংরেজবাজার পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে। সেখানকার মনস্কামনা পল্লি এলাকায় রয়েছে তাদের টালির বাড়ি আছে। তার বাবার নাম প্রদীপ দাস। তিনি গাড়ির চালিয়ে দিন গুজরান করেন। এতে যা হয় আর কি। সোজা কথায় অভাবের সংসার। মায়ের নাম উমা দাস। তিনি গৃহবধূ। জানা গিয়েছে অভাবের সংসার হলেও মেয়েদের পড়াশোনা দম্পতি বন্ধ করতে চায়নি।
কিন্তু একটা সময়ের পর পড়াশোনা চালাতে সমস্যা হচ্ছিল। তবে সায়ন্তিকার দুই আজ শিক্ষিত হতে পেরেছে। সৌজন্যে কন্যাশ্রী। কাজে লাগে রূপশ্রী প্রকল্পটিও। সেই জন্যই ছোট্ট মেয়ের দিদিরা স্কুল শেষ করে এখন কলেজে,বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে। বড়দি এমএ পড়ছে, মেজদিদি কলেজে। বিনা পয়সায় পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছে সায়ন্তিকা নিজেও। তাই সাইকেলে চাপ দিয়ে কালীঘাটে চলে এসেছিল মেয়ে। এত কিছু যার জন্য হচ্ছে তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে ধন্যবাদ যে দিতেই হবে।