এনআরসি নিয়ে মেরুকরণ! যুক্তি দিয়ে তৃণমূল ও বিজেপিকে এক পংক্তিতে ফেলল সিপিএম
এনআরসি নিয়ে মেরুকরণের রাজনীতিতে নেমেছে বিজেপি ও তৃণমূল। এমনটাই অভিযোগ করেছে পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছর ক্ষমতায় থাকা সিপিএম।
এনআরসি নিয়ে মেরুকরণের রাজনীতিতে নেমেছে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস। এমনটাই অভিযোগ করেছে পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছর ক্ষমতায় থাকা সিপিএম। পলিটব্যুরো সদস্য এবং দলের প্রাক্তন সাংসদ মহঃ সেলিম বলেছেন, বিজেপি এনআরসি নিয়ে অসমের মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল তাকেই অনুসরণ করতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
পথে নামবে বাম গণতান্ত্রিক শক্তি
হুঁশিয়ারি দিয়ে সেলিম বলেছেন বাম গণতান্ত্রিক শক্তি তৃণমূল ও বিজেপির এই উদ্দেশ্যকে ব্যর্থ করতে পথে নামবে। তবে তার জন্য পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মধ্যে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি। প্রকাশিত অখবর অনুযায়ী, তাঁর অভিযোগ রাজনৈতিক সাম্প্রদায়িকতায় প্রতিযোগিতা শুরু করেছে এই দুই দল। সেলিমের অভিযোগ, দেশে সংবিধান একেবারে ভেঙে পড়েছে।
মমতা, মোদীকে কটাক্ষ
তিনি বলেছেন, আরএসএস-এর পক্ষে ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য সংবিধানের ক্ষয় জরুরি। জনগণকে বিভক্ত করতে এবং হিন্দু ভোটব্যাঙ্ককে সুসংহত করতে এনআরসিকে ইস্যু হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। এরা দেশের ঐক্য ভেঙে দেশের ধর্মনিরপেক্ষতার ওপর আঘাত করছে। বলেছেন তিনি। কটাক্ষ করতে গিয়ে সেলিম বলেছেন, এমন মনে হচ্ছে যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যেন আরএসএস নাগপুরের স্কুল থেকে বেরিয়েছেন। তাদের কথা বলার ধরনও একই। মন্তব্য করেছেন তিনি।
ইন্দ্রজিৎ গুপ্তকে স্মরণ
একসময়ে লালকৃষ্ণ আডবানীকে রাজনৈতিক গুরু বলে মেনেছিলেন মমতা বন্দ্যোাপাধ্যায়। সেই আডবানী অসম থেকে বাঙালি সমর্থন করেছিলেন বলে অভিযোগ করেন সেলিম। এর বিরোধিতা করে তৎকালীন সাংসদ ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত আডবানীকে আগুন নিয়ে খেলতে বারণ করেছিলেন।
এনআরসি নিয়ে সিপিএম-এর অবস্থান
এনআরসি নিয়ে সেলিম সিপিএম-এর অবস্থানও স্পষ্ট করেছেন। তিনি বলেছেন, অসম চুক্তির একটা অংশ ছিল এনআরসি। সেইজন্য অসমের ক্ষেত্রে সেটি প্রযোজ্য। তাই অসমের বাইরে দেশের অন্য রাজ্যের ক্ষেত্রে তা প্রয়োগ করা উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
শিবসেনার জন্য নতুন ভাবনা! সরকার গড়তে বিজেপি টানল ১৯৯৫ সালের উদাহরণ