অর্থ সংকটে বন্ধ কলকাতা পুরসভার পেনশন! কোথায় গেল বিশ্বব্যাঙ্কের টাকা, তীব্র কটাক্ষ বিজেপির
আর্থিক সংকটের কারণে কলকাতা পুরসভার (kmc) পেনশন (PENSION) বন্ধের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় এই নোটিশকে ঘিরে উদ্বেগে পুরসভার অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা (RETIRED EMPLOYEE)। চিন্তিত বর্তমান কর্মীরাও। সেই পরিস্থিতিত
আর্থিক সংকটের কারণে কলকাতা পুরসভার (kmc) পেনশন (PENSION) বন্ধের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় এই নোটিশকে ঘিরে উদ্বেগে পুরসভার অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা (RETIRED EMPLOYEE)। চিন্তিত বর্তমান কর্মীরাও। সেই পরিস্থিতিতে রাজ্যের তৃণমূল (Trinamool Congress) সরকারের পাশাপাশি পুরসভার পরিচালনা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি (BJP)।
পেনশন বন্ধে পুরসভার নোটিশ
বৃহস্পতিবার সন্ধেয় কলকাতা পুরসভার তরফে নোটিশ দিয়ে বলা হয়েছে, গত ২০২১-এর সেপ্টেম্বর থেকে যাঁরা পেনশন নিয়েছেন, সেইসব কর্মীর পেনশন এবং পেনশন সংক্রান্ত সুবিধা আপাতত দেওয়া যাচ্ছে না। আর্থিক সংকটের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে কলকাতা পুরসভার তরফে। যদিও আর্থিক হাল ফেরানোর ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠিকা কর্মীরাও
এই বিজ্ঞপ্তির পর থেকে চিন্তায় কলকাতার পুরসভার বাকি অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরও। পাশাপাশি চিন্তিত ঠিকা কর্মীরাও। কেননা ঠিকা কর্মীরে প্রাপ্যও বকেয়া হয়ে গিয়েছে গত ৮ থেকে ৯ মাস। সেই পরিস্থিতিতে বকেয়া টাকা তাঁরা কবে পাবেন, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এই মুহূর্তে কলকাতায় পুরসভায় প্রায় ২২ হাজার স্থায়ী কর্মী রয়েছেন, তাঁদের বেতন দেয় রাজ্য সরকার। অন্যদিকে প্রায় ২৬ হাজার অস্থায়ী কর্মীর পারিশ্রমিক দেয় কলকাতা পুরসভা।
বিপুল দেনা নিয়ে মেয়রের চেয়ারে
কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলে থাকেন, তিনি এমন ব্যবস্থা করেছিলেন, যাতে কর্মীদের পেনশন কিংবা বেতনের অভাব হওয়ার কথা নয়। কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত খরচ করে ফেলেছে কলকাতা পুরসভা। গত ডিসেম্বরে মেয়রের পদে বসার পরে ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, বিপুল দেনা নিয়ে মেয়রের চেয়ারে বলছেন। এই আর্থিক অবস্থার মধ্যেই তাঁকে চালিয়ে নিয়ে যেতে হবে। পরিস্থিতির সামাল দিতে তিনি রাজ্য সরকারের কাছে ৭০০ কোটি টাকা দেওয়া জন্য আবেদন করেছিলেন। পাশাপাশি এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক থেকেই পুরসভাকে ২০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়।
|
তীব্র কটাক্ষ বিজেপির
বৃহস্পতিবার সন্ধেয় কলকাতা পুরসভার তরফে জারি করা নোটিশের তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিজেপি। যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খান টুইটে বলেছেন, খেলা-মেলা-ক্লাব সবার জন্য টাকা আছে, কিন্তু অবসরপ্রাপ্ত খেটে খাোয়া মানুষ, যাঁরা কর্মজীবন শেষ করেছেন, তাঁরা তাঁদের প্রাপ্য পাচ্ছেন না। তিনি প্রশ্ন করেছেন, অবসর নিয়েছেন বলেই কি তাঁদের আর কাজে লাগবে না? তিনি প্রশ্ন করেছেন, করদাতাদের টাকা যাচ্ছেন কোথায়? বিশ্বব্যাঙ্কের ঋণের টাকাই বা যাচ্ছে কোথায় প্রশ্ন করেছেন তিনি?
স্কুল খোলার নির্দেশিকা জারি করতে চায় কেন্দ্র! চাওয়া হল ন্যাশনাল এক্সপার্টগ্রুপের পরামর্শ