উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য কেন পড়ুয়ারা যুক্তরাজ্যকেই বেছে নেন?
বর্তমানে অনেক পড়ুয়ারাই বিদেশে উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য যান। কারণ অনেকের মতে, বিদেশের পড়াশোনায় আধুনিকতার ছোঁয়া রয়েছে। নিজের কেরিয়ারকে সুন্দর করতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন হাজারো বিদ্যার্থীরা। অনেকের মতে ইউকেই (যুক্তরাজ্য) পড়াশোনার জন্য সেরা স্থান। কিন্তু কেন উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য ইউকেকে সেরা স্থান বলেন অনেকে, তার পেছনে রয়েছে অনেকগুলি কারণ তা হয়ত অনেকেরি অজানা।
বিদেশে উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য যাত্রা
এমন অনেক বিদ্যার্থী রয়েছেন তাঁরা বৈজ্ঞানিক বা শৈল্পিক দিকে আগ্রহী হয়ে থাকেন। তারা অনেকেই বুঝতে পারেন না কোথায় পড়াশোনা করলে তারা অনেক উচ্চশিক্ষা লাভ করতে পারবেন। তাদের যদি উচ্চশিক্ষা লাভের ইচ্ছা থাকে বা আসা থাকে তারা ইউকেতে আসতে পারেন না, কিন্তু কীভাবে কোন বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেবেন তা হয়তো অনেকেরই জানা নেই তা জেনে নিন এখান থেকে।
কারা বিদেশে যাত্রা করেন
উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর স্নাতক পড়ার জন্য বা স্নাতক পাস করার পর সকল পড়ুয়াদেরই তাদের ভবিষ্যৎ বেছে নেওয়ার সময়। তখন যদি তারা তাদের সঠিক সিদ্ধান্ত না নিতে পারেন তাহলে তাদের অনেকটাই পিছিয়ে যেতে হয় জীবনে। ব্যক্তিগত পছন্দ থেকে শুরু করে একাডেমিক ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে সকল বিদ্যার্থীরা তাদের কেরিয়ারকে তৈরি করে থাকেন। উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যে খুবই এগিয়ে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এমন অনেক শিক্ষার্থী আছেন তারা তাদের চ্যালেঞ্জকে সঙ্গী করে এগিয়ে যান বিদেশের পথে এবং সেখান থেকে সুন্দর প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা তাদের একটি সুন্দর ভবিষ্যতে তৈরি করে থাকেন।
বিদেশে পড়াশুনা করার পর চাকরিও পাওয়া যায়
স্নাতক পাস করার পর এমন অনেক বিদ্যার্থীরা রয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত কী করবেন তা বুঝে উঠতে পারেন না। স্নাতক পাস করার পর শিক্ষার্থীরা বিদেশে আরও উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য যান, সেখানে গিয়ে দীর্ঘ মেয়াদী সময় নিয়ে পড়াশোনা করেন আবার এমন ওখানে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যেখানে তারা অনেকদিন পড়াশোনা করার পর সেখানেই তারা চাকরি পেয়ে যান। যে সুবিধা হয়তো তিনি যে দেশে বাস করছেন সেই দেশে হয়তো নেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় শিক্ষকেরা তাদের এমনভাবে গাইড করেন সেখানে তাদের ভবিষ্যতের আরোও ভালো সিদ্ধান্ত নিতে তারা সক্ষম হন।
অনেক পড়ুয়ারা কেন ইচ্ছা থাকলেও পড়াশুনা করতে যেতে পারেন না
অসংখ্য শিক্ষার্থী তাদের নিজের দেশ ছেড়ে আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চ শিক্ষার জন্য যান এবং এই শুধু যে যান তা নয় এমন অনেক বিদ্যার্থী রয়েছেন তাদের এমন আকাঙ্ক্ষাও থাকে কিন্তু সব আকাঙ্ক্ষা যে সবসময় পূরণ হয় তা নয়। আর্থিক চাহিদার কারণে ও হতাশ হতে হয় অনেক শিক্ষার্থীদেরই। বর্তমানে গত কয়েক বছর ধরে আন্তর্জাতিক দেশের জীবনযাত্রার ব্যয় ক্রমশ বেড়ে চলেছে। যাতে উচ্চ বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে উচ্চ টিউশন ফ্রি, মুদ্রাস্ফীতি কারণে অনেক বিদ্যার্থীরাই ইচ্ছা থাকলেও সেখানে গিয়ে পড়াশোনা করতে পারছেন না। বোঝা কমাতে মেরিটোরিয়াস শিক্ষার্থীর ছাত্রদের স্কলারশিপ দিচ্ছে সরকার। যা ছাত্রদের পড়াশোনা করবার করে তাদের লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করে। জীবনে তারা যাতে সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে পারেন তারই সাহায্য করছে সরকার।
কী জানা গেল গবেষণা থেকে
যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা অনেক দেশের থেকে ভালো বলে মনে করেন অনেক শিক্ষার্থী আবার অনেকে এমন যুক্তিকে সত্যি বলে মনে করেন না অনেকেই। তবে যুক্তরাজ্যে বাস না করে সেখানে পড়াশোনার না করে এমন প্রশ্নের উত্তর সত্যিই কী খুঁজে পাওয়া যায়, তা কিন্তু খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন হয়ে পড়ে। বিভিন্ন ফোরামে অনলাইন গবেষণা করে এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে সাহায্য করা হচ্ছে।
সত্যিই কী বিদেশে অধ্যয়নের জন্য সেরা গন্তব্য
যদিও
এই
প্রশ্নের
কোন
স্পষ্ট
উত্তর
কিন্তু
এখনোও
পর্যন্ত
পাওয়া
যায়নি।
যারা
বিদেশে
পড়াশোনা
করছেন
বা
উচ্চশিক্ষা
লাভ
করছেন
তারাই
একমাত্র
এর
সঠিক
ধারণা
দিতে
পারেন।
পরিষ্কার
মন
এবং
উচ্চশিক্ষা
লাভের
জন্য
বিদেশে
অধ্যয়নের
অভিজ্ঞতায়
বিশ্বের
সেরা
গন্তব্যের
প্রথম
দিক
বলে
মনে
করা
হয়।
বিদেশের সংস্কৃতি কেমন
তবে অনেকের মতে ইউকে পড়াশোনা করা বিশ্বের সেরা গন্তব্য বলে মনে করা হয়। কিন্তু কেন এমন মনে করা হয় তা জেনে নিন। বহু সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা যুক্তরাজ্যকে বিশ্বায়ন এবং বৈচিত্র সত্ত্বেও এখানকার সংস্কৃতি কিন্তু একটু আলাদা। পুরো বিশ্বের লোকেরাই এখানে পড়াশোনার জন্য আসেন। সকলের সঙ্গে সকলের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে, আপনার পুরো বিশ্ব সম্পর্কে সম্যক ধারণা তৈরি হবে ।যেটি সকল বিদ্যার্থীদের জন্যই খুব ভালো বলে মনে করা হয়।
নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন কি পিতামাতারা?
অনেক বিদ্যার্থীদের পরিবার বা তার মাতা পিতারা ভয় পান বিদেশে গেলে নিরাপত্তা এবং বর্ণবাদের বিষয়টি নিয়ে। যদিও এই বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভারতীয়রা যুক্তরাজ্যে গিয়ে কোন বৈষম্যের শিকার হয়েছেন কিনা এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর এখনো পাওয়া যায়নি। বিদেশী শিক্ষা দেশের সংস্কৃতির প্রত্যাশা সঙ্গেও কিন্তু যুক্ত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দেশে যখন স্নাতক শিক্ষার মান ন্যূনতম চার বছরের, সেখানে অনেক কম সময়ে স্নাতক পাস করা যায় বিদেশে। ইউকে বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে ১ থেকে ২ বছরের মধ্যে তার শেষ হয়। তাহলে স্নাতক যারা করছে সেখানে দু বছরের মধ্যে সে সবাই শিক্ষার্থীরা আরো দু'বছর অন্যান্য পড়াশোনার জন্য নিজেকে নিয়োজিত করতে পারবেন।
কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয় সেরা স্থানাধিকারী
তাই অনেক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য ইউকেতে গন্তব্য করেন। যুক্তরাজ্যে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে যেগুলি পড়াশোনার জন্য শীর্ষস্থান অধিকারী, জেনে নিন সেগুলি কী কী।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, কেমব্রিজ, লন্ডনের ইম্পোরিয়াল কলেজ অফ ইউনিভারসিটি, কলেজ অফ লন্ডন, এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়। যুক্তরাষ্ট্রের স্নাতক পাস করার পরেও সেখানে চাকরি পেয়ে যান অনেক বিদ্যার্থীরাই। গ্রাজুয়েট হয়ে যাবার পর ছাত্র-ছাত্রীদের দু'বছর যুক্তরাজ্যে বাস করবার জন্য ভিসা পর্যন্ত দেওয়া হয়, তবে এই ভিসার মেয়াদ দু বছরের বেশি বাড়ানো যায় না।
কত দিনের ভিসা পান পড়ুয়ারা
যুক্তরাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলি থেকে স্নাতক পাস হবার পর আন্তর্জাতিক পড়ুয়ারা গ্রাজুয়েট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। পাঁচ বছর সেখানে বাস করার পর আপনাকে আবার ভিসার আবেদন করতে হবে। তবেই আপনি বিদেশে আরও বেশি বছর বিদেশে থাকতে পারবেন।
উচ্চশিক্ষা নাকি চাকরি? অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম সপ্তাহ কেমন কাটাবেন, রইল তার গাইডলাইন