রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে সর্ববৃহৎ কূটনৈতিক সমাবেশে কারা আমন্ত্রিত, কারা বাতিল তালিকা থেকে
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে সর্ববৃহৎ কূটনৈতিক সমাবেশে কারা আমন্ত্রিত, কারা বাতিল তালিকা থেকে
রানি এলিজাবেথ দ্বিতীয়ের শেষকৃত্যে বিভিন্ন দেশের রাজপরিবারের সদস্য ও রাষ্ট্রনেতারা উপস্থিত হয়েছেন। সোমবার রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে ইতিমধ্যে অতিথিরা যোগ দিতে শুরু করেছেন। আন্তর্জাতিক মহল মনে করছেন, রানি এলিজাবেথ দ্বিতীয়ের শেষকৃত্য কয়েক দশকের মধ্যে সব থেকে বড় কূটনীতিক সমাবেশে পরিণত হতে চলেছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে প্রায় ২০০০ জন অতিথির বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উপস্থিত ইউরোপের রাজপরিবারের সদস্যরা
ব্রিটেনের সব থেকে দীর্ঘ মেয়াদি শাসনকাল ছিল রানি এলিজাবেথ দ্বিতীয়ের। তাঁর শেষকৃত্যে ইউরোপের বিভিন্ন রাজপরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি অনান্য দেশের রাজ পরিবারের সদস্যরা অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন বলে জানা গিয়েছে। ইউরোপের রাজ পরিবারগুলোর মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে। ইউরোপের বিভিন্ন রাজ পরিবারের সঙ্গে ব্রিটেনের রাজ পরিবারের ঘনিষ্ঠতা নেহাৎ কম নয়। রানি এলিজাবেথ দ্বিতীয়ের শেষকৃত্যে ডাচ রাজা উইলেম-আলেকজান্ডার, রানি ম্যাক্সিমা এবং ক্রাউন প্রিন্সেস বিট্রিক্স, বেলজিয়ানদের ফিলিপ কিং, নরওয়ের রাজা পঞ্চম হ্যারাল্ড এবং মোনাকোর প্রিন্স দ্বিতীয় আলবার্ট অংশ নেবেন বলে জানা গিয়েছে। ডেনমার্কের রানী মার্গ্রেথ সোমবার রানি এলিজাবেথ দ্বিতীয়ের শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকবে। রানি মার্গ্রেথ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের খুড়তুতো বোন। রানি এলিজাবেথ দ্বিতীয়ের মৃত্যুর কারণে তিনি তাঁর ৫০ তম জন্মদিন পালনের অনুষ্ঠান বাতিল করেছিলেন। সোমবার স্পেনের রাজা ফিলিপ ষষ্ঠ তার স্ত্রী লেটিজিয়ার সাথেও সেখানে থাকবেন।
বিশ্বের অন্যান্য রাজ পরিবারের সদস্যরা
জানা গিয়েছে, জাপানের সম্রাট নারুহিতো এবং সম্রাজ্ঞী মাসাকো অতিথি হিসেবে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে উপস্থিত থাকছেন। ২০১৯ সালে নারুহিতো জাপানের সিংহাসনে বসেন। তারপর এটাই তাঁর প্রথম বিদেশ সফর। রানির শেষকৃত্যে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মহম্মদ বিন সলমন উপস্থিত থাকবেন। তুরস্কে সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যায় ব্রিটেন সরাসরি মহম্মদ বিন সলমনকে দায়ী করেন। এই নিয়ে ব্রিটেনের সঙ্গে সৌদি আরবের কূটনৈতিক উত্তেজনা শুরু হয়। তারমধ্যে ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের সঙ্গে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মহম্মদ বিন সলমন আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
আমন্ত্রিত আন্তর্জাতিক নেতারা
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে জানানো হয়েছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির স্ত্রী ওলেনা ব্রিটেনের রানির শেষকৃত্যে যোগ দেবেন। শনিবার রাতে ব্রিটেনের উদ্দেশে রহনা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তাঁর স্ত্রী জিল বাইডেন। উপস্থিত থাকবেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ম্যাক্রোঁ ও বাইডেন নিজস্ব যান ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছেন বলে ব্রিটিশ প্রশাসনের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। এছাড়াও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তায়েপ এরদোগা ও ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোও রানির শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকছেন। চিনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বেজিং জানিয়েছে, রানির শেষকৃত্যে ভাইস-প্রেসিডেন্ট ওয়াং কিশান এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও ইতালির প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাতারেলা, জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক-ওয়াল্টার স্টেইনমায়ার, ইজরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ইউন সুক-ইওল উপস্থিত থাকবেন।
আমন্ত্রণের তালিকায় কমনওয়েলথ ভুক্ত দেশ
কমনওয়েলথ ভুক্ত ৫৬টি দেশের রাষ্ট্রনেতাদের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ দ্বিতীয়ের শেষকৃত্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েচেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ত্রুদো, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এবং নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। কমনওয়েলথ নেতাদের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে এবং ফিজিয়ার প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক বাইনিমারামা রয়েছেন। ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ইতিমধ্যে রানি এলিজাবেথ দ্বিতীয়ের শেষকৃত্য অংশগ্রহণ করেছেন।
কারা আমন্ত্রণ পেলেন না
রানি এলিজাবেথ দ্বিতীয়ের শেষকৃত্যে একাধিক দেশের রাষ্ট্রনেতারা আমন্ত্রণ পাননি। তার মধ্যে অন্যতম রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সহ রুশ প্রশাসনের কোনও আধিকারিক রানি এলিজাবেথ দ্বিতীয়ের শেষকৃত্যে আমন্ত্রণ পাননি। রাশিয়া চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়ার ওপর সামরিক অভিযান চালায়। তীব্র প্রতিবাদ করে ব্রিটেন। বর্তমানে ব্রিটেনের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রয়েছেন। ব্রিটিনের এই সিদ্ধান্ত নিন্দাজনক বলে ক্রেমলিন একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে। আমন্ত্রন পায়নি মায়ানমার। ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মায়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান হয়। ঘটনায় তীব্র নিন্দা করেছিল ব্রিটেন। পাশাপাশি ইরান, নিকারাগুয়া এবং উত্তর কোরিয়া ব্রিটেনের তরফে কোনও আমন্ত্রণ পায়নি। আমন্ত্রণ পায়নি বেলারুশ। তালিবান শাসিত আফগানিস্তান, ভেনেজুয়ালা ও সি