লাদাখ ছাড়িয়ে দ্বন্দ্ব এখন একাধিক 'ফ্রন্টে', চিনা আগ্রাসন রুখতে সাগরেও ভারত-মার্কিন জোট
লাদাখে ভারত-চিন দ্বন্দ্বের উপর নজর রাখছে আমেরিকা। এবং বর্তমান পরিস্থিতি যাতে আরও উত্তেজনাপূর্ণ না হয়ে পড়ে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে ওয়াশিংটনের তরফে। মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পেও এবং মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এসপারের দিল্লি সফরের আগেই ফের লাদাখ ইস্যুতে বার্তা দিল আমেরিকা।
আমেরিকার তরফে শান্তি বার্তা
এদিন আমেরিকার তরফে শান্তি বার্তা দিয়ে জানানো হয়, তারা কোনও ভাবেই ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি চাইছে না। পাশাপাশি চিনের আগ্রাসী মনোভাবেরও নিন্দা করা হয় এদিন। তাছাড়া দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপকে স্বাগত জানায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। প্রঙ্গত, সম্প্রতি তাইওয়ানের সঙ্গে সরকারি স্তরে বাণিজ্যিক সম্পর্ক তৈরি করার আলোচনা শুরু করে দিল্লি।
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় দিল্লির কূটনৈতিক পদক্ষেপ
এদিন ওয়াশিটনের তরফে জানান হয় যে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় দিল্লির কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা জারি রেখেছে আমেরিকা। চিনের বিরুদ্ধে ভারতের পদক্ষেপকে সব দিক দিয়ে সমর্থন জানাবে ওয়াশিংটন। শুধু সংঘাত নয়, ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও ভারতের নয়া পদক্ষএপকে সমর্থন জানাচ্ছে আমেরিকা।
চিনা আগ্রাসনের নিন্দা
এরপর চিনকে ঠুকে আমেরিকার তরফে বলা হয়, 'বর্তমানে চিনের আগ্রাসী মনোভাব বিশ্বের বিভিন্ন গণতন্ত্রকে বিপদের মুখে দাঁড় করিয়েছে। হিমালয় থেকে দক্ষিণ চিন সাগর, সব জায়গাতেই চিনের আগ্রাসী নীতি খুব চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থায় ভারতের সঙ্গে কাজ করার লক্ষ্যে মুখিয়ে আমেরিকা। কারণ বর্তমানে আমেরিকার চিন্তাধারার সঙ্গে ভারতের মনোভাবে মিল রয়েছে।'
ভারত-মার্কিন মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক
লাদাখ ইস্যুতে চিনা আগ্রাসন নিয়ে আলোচনা করতে আগামী সপ্তাহে ভারত-মার্কিন বৈঠকে বসতে চলেছে দিল্লি-ওয়াশিংটন। মন্ত্রী পর্যায়ের এই বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে উপস্থিত থাকবেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। আমেরিকার পক্ষ থেকে বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এসপার এবং মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পেও। এবং এই বৈঠকেই চিনের বিরুদ্ধে দুই দেশের জোটের চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি হবে।
আগামী সপ্তাহে দিল্লিতে বৈঠক
চলতি মাসের ২৬ এবং ২৭ তারিখ এই বৈঠক হবে নয়াদিল্লিতে। এই লক্ষ্যে ২৬ তারিখ দিল্লিতে পৌঁছাবেন মার্ক এসপার এবং মাইক পম্পেও। এই বৈঠকে একটি 'বেসিক এক্সচেঞ্জ কো-অপারেশন অ্যাগ্রিমেন্ট'-এ সই করবে দুই দেশের মন্ত্রীরা। এছাড়া লাদাখে এবং দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিংয়ের গতিবিধি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আদান প্রদান করার ক্ষেত্রে একটি সমঝোতা আসতে চলেছে দুই দেশ।
কোয়াড নিয়ে আলোচনা
জানা গিয়েছে দিল্লিতে ভারত-মার্কিন বৈঠকেও জাপান, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ভারত-মার্কিন 'কোয়াড' জোট নিয়ে আলোচনা হবে। উল্লেখ্য, আসন্ন মালাবার নৌমহড়ায় অস্ট্রেলিয়াকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত। মূলত চিনের বিরুদ্ধে বিশ্বের শক্তিশালী গণতন্ত্রগুলিকে এক করার লক্ষ্যেই ভারত-আমেরিকা নিজেদের সম্পর্ক আরও পোক্ত করতে চাইছে।
লাদাখ সীমান্ত থেকে মাত্র ১০ কিমি দূরে ৩ লক্ষ বর্গফুট এলাকা জুড়ে নির্মাণ কাজ চিনা সেনার