নভেম্বরে আমেরিকার হাতে আসতে পারে ভ্যাকসিন, ভারতে ফের শুরু হবে স্পুটনিক ভি–এর ট্রায়াল
মার্কিন ওষুধ সংস্থা পিফিজার, যারা বায়োএনটেকের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে সম্ভাব্য করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি করছে, তারা জানিয়েছে এ বছরের নভেম্বরেই ভ্যাকসিন চলে আসতে পারে বাজারে। পিফিজার ইঙ্ক ঘোষণা করেছে যে নভেম্বরে ভ্যাকসিন চালু করার জন্য মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাস মহামারির প্রকোপে নাজেহাল বিশ্ববাসী এখড় এই ভ্যাকসিনের অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছে।
১৫০টি ভ্যাকসিন প্রার্থী
তবে ইতিমধ্যে ভারতে মুখ থুবড়ে পড়া রাশিয়ার করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন (স্পুটনিক ভি) ডাঃ রেড্ডির সঙ্গে মিলিত হয়ে এই দেশে ফের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করতে চলেছে। গোটা বিশ্বে করোনা ভাইরাসের ১৫০টি প্রার্থী রয়েছে, যার মধ্যে মাত্র ১০টি ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। আবার এই ভ্যাকসিনগুলির মধ্যে উচ্চ প্রত্যাশার সঙ্গে অপেক্ষা করা কিছু ভ্যাকসিন প্রার্থী হল পিফিজার, অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্যোগে কোভিড ভ্যাকসিন, জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিন, মডের্না ও চিনের সিনোভ্যাক সহ অন্যান্য।
পিফিজার ভ্যাকসিন নভেম্বরে আসছে?
জার্মান অংশীদার বায়োএনটেকের সঙ্গে মিলিত হয়ে পিফিজার যে ভ্যাকসিনটি তৈরি করছে তা নভেম্বরে বাজারে আনার জন্য মার্কিন সরকারের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ঘোষণা মার্কিনবাসীদের কাছে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখিয়েছে। এই ঘোষণার পর পিফিজারের স্টক বাজারে ৩.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পিফিজার এই ঘোষণার পাশাপাশি এও জানিয়েছে যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অংশ নেওয়া ৪৪ হাজার প্রতিনিধিদের কাছ থেকে গবেষকরা সুরক্ষা ডেটা পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে এবং তা নভেম্বরের আগে সম্ভব নয় পাওয়া। নভেম্বরে আমেরিকায় পুনরায় নির্বাচন হবে, এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন নভেম্বরে নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আগামী মার্চে ভারত ভ্যাকসিন হাতে পাবে?
অন্যদিকে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া, যারা অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন প্রস্তুত করছে, তারা আসা করছে যে যদি নিয়ামক সংস্থা সবুজ সঙ্কেত দিয়ে দেয় তবে আগামী বছরের মার্চেই ভারত ভ্যাকসিন পাবে। ভারতে দু'টি করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়ালে রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিরাম ইনস্টিটিউটের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ডঃ সুরেশ যাদব। তাঁর মতে, বহু ওষুধ সংস্থাই ভ্যাকসিন তৈরির কাজ করছে, তবে ভারতে যদি সব ঠিক থাকে তাহলে আগামী মার্চই ভ্যাকসিন চলে আসবে ভারতে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা করোনা ভাইরাসের পাশাপাশি, ভারতের নিজস্ব করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি করছে বায়োটেক, যা তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে রয়েছে।
ভারতে ট্রায়াল করার জন্য অনুমোদন পেল ডঃ রেড্ডি
ভারতের ড্রাগ নিয়ামক সংস্থা রাশিয়ার করোনা ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভিয়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ডঃ রেড্ডির ল্যাবে করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, সেই সরকারই ফের একই ভ্যাকসিন ট্রায়ালের জন্য ডঃ রেড্ডির ল্যাবকে অনুমোদন দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। হায়দরাবাদের এই ওষুধ সংস্থাটি গত ১৩ অক্টোবর দেশের ড্রাগ নিয়ামক সংস্থার কাছে রাশিয়ান ভ্যাকসিনের ভারতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়ালের জন্য আবেদন করেছিল। জানা গিয়েছে যে এই ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের জন্য ১০০ জন ও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের জন্য ১৪০০ স্বেচ্ছাসেবী যুক্ত হবে।