২২৫ কিলোমিটার গতিবেগে আছড়ে পড়ল এশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন ‘গনি’
২২৫ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে এল এশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন ‘গনি’, লন্ডভন্ড দেশ
এশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন 'গনি' আছড়ে পড়ল ফিলিপিন্সে। ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার গতিবেগে তা আছড়ে পড়ে লন্ডভন্ড করে দেয় দ্বীপাঞ্চল। ফিলিপিন্সের আবহাওয়া দফতর জানায়, টাইফুনটি রবিবার ফিলিপিন্লের ক্যাটান্দুয়ানেস দ্বীপে ধাক্কা মারে। এর পরে এটি লুজনের মূল দ্বীপ পার হয়ে গেছে। এখানেই রাজধানী ম্যানিলা অবস্থিত।
ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়ল ঝড়
ফিলিপিন্স প্রশাসন জানিয়েছে, ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার বেগে এই ঝড় আছড়ে পড়ার আগে প্রায় দশ মিলিয়ন মানুষকে তাঁদের বাড়ি থেকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই ঝড়ের ফলে লুজন অঞ্চলে পাশাপাশি দ্বীপপুঞ্জগুলিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈারি হয়েছে। ঝড়ের সঙ্গে প্রবল বৃষ্টিপাত আর জলোচ্ছ্বাসে ফলেই বন্যা পরিস্থিতি।
১২ ঘন্টা ধরে বিপর্যয় চলবে, ঝড়ে লন্ডভন্ড
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, আগামী ১২ ঘন্টা ধরে বিপর্যয় চলবে। ফলে ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যাবে এলাকার পর এলাকা। প্রবল বৃষ্টি চলবে। ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমে ঘন্টায় ২৫ কিমি বেগে এগোচ্ছে। ম্যানিলার দক্ষিণে লুজন দ্বীপাঞ্চল পেরিয়ে রবিবার বিকেলে দক্ষিণ চিন সাগরে প্রবেশৎ করবে ভায়বহ এই ঝড়।
২০১৩ সালে টাইফুন হাইয়ানের থেকেও ভয়ঙ্কর
ফিলিপিন্সে আছড়ে পড়া এই টাইফুন গনি সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়, যা ২০১৩ সালে টাইফুন হাইয়ানের থেকেও ভয়ঙ্কর বলে মনে করা হচ্ছে। টাইফুন হাইয়ানের জেরে ৬ হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছিল। করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে এবার গনি আরও মারাত্মক রূপ নিতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়া দফতর।
করোনার মধ্যেই টাইফুনের হানা
প্রেসিডেন্ট রডরিগো দুটার্তের শীর্ষ সহযোগী সিনেটর ক্রিস্টোফার গো জানিয়েছেন, "করোনার মধ্যেই এই টাইফুনের হানায় মানুষ খুব সংকটে পড়েছে। আবার একটি বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। লুজনের পূর্ব বিকোল অঞ্চলের প্রায় দশ মিলিয়ন মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে চলে গেছে।
বন্যা এবং ভূমিধসের সম্ভাবনা দ্বীপাঞ্চলে
তিনি আরও বলেন, ম্যানিলা এবং নিকটস্থ বুলকান প্রদেশে প্রায় এক হাজার করোন ভাইরাস রোগী বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছে। তাঁদের হোটেল এবং হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ভারী বৃষ্টি ও তীব্র ঝড়ের ফলে ব্যাপকভাবে বন্যা এবং ভূমিধসের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করবেন না, দার্জিলিংয়ের এসপি-ডিএমকে হুঁশিয়ারি রাজ্যপালের