মেক্সিকো সীমান্তে ৩২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রাচীর তৈরি করবে ট্রাম্পের আমেরিকা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর সীমান্ত জুড়ে প্রাচীর তৈরির সম্মতিপত্রে সই করলেন নবনির্বাচিত মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর ফলে মেক্সিকো সীমান্তের ৩২০০ কিলোমিটার এলাকাকে আলাদা করে দেওয়া যাবে।
ওয়াশিংটন, ২৬ জানুয়ারি : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর সীমান্ত জুড়ে প্রাচীর তৈরির সম্মতিপত্রে সই করলেন নবনির্বাচিত মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর ফলে মেক্সিকো সীমান্তের ৩২০০ কিলোমিটার এলাকাকে আলাদা করে দেওয়া সম্ভব হবে।
রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট : চিনের প্রাচীরের এক-তৃতীয়াংশ নিশ্চিহ্ন
অবৈধ অভিবাসী, উদ্বাস্তু থেকে শুরু করে চোরাচালান, মাদক পাচারের মতো ঘটনাকে বন্ধ করে জাতীয় নিরাপত্তা বাড়াতে এই পদক্ষেপ বলে জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি ট্রাম্প খুব তাড়াতাড়ি বৈধ অভিবাসীদের সংখ্যাও কমাতে চলেছেন।
এছাড়া মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকান দেশ সহ সিরিয়া, সুদান, সোমালিয়া, ইরাক, ইরান, লিবিয়া, ইয়েমেন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া বৈধ ভিসা আবেদনকারীদের সংখ্যাও খুব শীঘ্র কমতে চলেছে বলে খবর।
এদিন মোট দুটি নির্দেশনামায় সই করেছেন ট্রাম্প। তার একটা অবশ্যই মেক্সিকো বর্ডার জুড়ে ২ হাজার মাইলের পাঁচিল তৈরি করা। এবং এর পাশাপাশি ফেডেরাল আর্থিক অনুদান সেই সমস্ত শহর বা প্রদেশের জন্য কমিয়ে দেওয়া যেখানে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা ঘাঁটি গেড়ে বসে রয়েছেন।
অভিযোগ, সান ফ্রান্সিসকোর মতো শহর যেখানে স্থানীয় প্রশাসন (বলা যায় ডেমোক্র্যাটরা) অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেয় না বা বাধা দেয়।
হোয়াইট হাউস সূত্রে বলা হয়েছে, মাসখানেকের মধ্যেই মেক্সিকো সীমান্ত জুড়ে পাঁচিল দেওয়ার কাজ শুরু করে দেওয়া হবে। এবং এর জন্য টাকা দিতে হবে মেক্সিকোকেও। যদিও মেক্সিকো প্রশাসনের তরফে রাষ্ট্রপতি এনরিকে পেন নিয়েতো সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, কোনওভাবেই পাঁচিল তৈরির জন্য এক পয়সাও তারা দেবেন না।
ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারের সময়ই কথা দিয়েছিলেন, সরকারে এলে মেক্সিকো সীমান্ত জুড়ে দেওয়াল তুলে দেবেন। তবে সরকারের ব্যাখ্যা, শুধু নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পালনের জন্যই নয়, দেওয়াল তুলে দিলে মাদক, অপরাধ, অবৈধ অনুপ্রবেশের মতো একাধিক সমস্যাকে আমেরিকায় ঢুকতে দেওয়া থেকে খুব সহজেই ঠেকানো যাবে।
এই ঘটনার সরাসরি বিরোধিতা করেছে ডেমোক্র্যাটরা। তাদের যুক্তি দেওয়াল তুলে দিলে পুরো অভিবাসন নীতি নিয়েই যুক্তরাষ্ট্রের ভাবনা বদলে যাবে। এছাড়া এর ফলে মেক্সিকোর সঙ্গে সম্পর্কের অত্যন্ত অবনতি হবে। তবে ট্রাম্পও ছাড়বার পাত্র নন। সূত্রের খবর, আমেরিকায় থাকা ১ কোটির বেশি অভিবাসীকে খুব শীঘ্রই নাকি ফেরত পাঠিয়ে দেবেন নয়া রাষ্ট্রপতি।