কট্টর ইসলাম থেকে সরতে চায় মক্কা-মদিনার দেশ, মধ্যপন্থায় বিশ্বাস যুবরাজের
সৌদি আরব মধ্যপন্থী ইসলামের দিকে যাচ্ছে। চরমপন্থাকে সমূলে উৎপাটিত করতে চান তিনি। বিশ্বের বাণিজ্য জগতের কর্তাব্যক্তিদের সামনে এমনটাই বললেন সৌদি আরবের যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন।
সৌদি আরব মধ্যপন্থী ইসলামের দিকে যাচ্ছে। চরমপন্থাকে সমূলে উৎপাটিত করতে চান তিনি। বিশ্বের বাণিজ্য জগতের কর্তাব্যক্তিদের সামনে এমনটাই বললেন সৌদি আরবের যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন। যুবরাজের এই মন্তব্যের সময় স্তব্ধ হয়ে যায় রিয়াধের অনুষ্ঠান স্থল।
ইতিহাস বলে উগ্র ইসলামী দেশ হিসেবে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। এবং এটা চলেছিল বছরের পর বছর ধরে। যুবরাজে মন্তব্যের উদ্দেশ্য ছিল ধর্মীয় অতি রক্ষণশীলদের দিকে। ক্ষমতাসীন অল সৌদ পরিবার যাদের সহ্য করেছে একমাত্র তাদের সমর্থনের জন্য।
৩২ বছর বয়সী যুবরাজ বলেন, তাঁরা মধ্যপন্থী ইসলামের দিকেই ফিরে যেতে চান, যা সমগ্র বিশ্ব এবং সব ধর্মের সামনেই উন্মুক্ত। তাঁরা কোনও চরমপন্থী ধারনার জন্য জীবনের ৩০ বছর সময় নষ্ট করতে চান না বলেই জানিয়েছেন যুবরাজ। চরমপন্থীকে তাঁরা দেশ থেকে উৎখাত করবেন বলেও জানিয়েছেন।
বিশ্বের বাণিজ্যিক মহলের কর্তাব্যক্তিরা সমবেত হয়েছিলেন সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াধের একটি কনফারেন্স হলে। সেখাই উল্লেখযোগ্য মন্তব্যটি করেন সৌদির যুবরাজ। লোহিত সাগরের উপকূলে সর্বাধুনিক শহর গড়ে তুলতে চায় সৌদি আরব। সেই সূত্রেই মিলিত হয়েছিলেন বাণিজ্যমহলের কর্তারা। সেখানে প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হবে এবং সেখানকার যে জীবন যাত্রা হবে, তা এখনকার সৌদি আরবে নেই।
২০১৫ সালে ক্ষমতায় এসেছেন সৌদি আরবের যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন। এরপরেই তেল কোম্পানি সৌদি আরামকোর অংশ বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। দেশে মহিলাদের গাড়ি চালানোর ওপর থেকেও নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছেন যুবরাজ। ২০১৮-র জুন থেকে মহিলারা সেদেশে গাড়ি চালাতে পারবেন। যদিও সৌদি আরবে এখনও মহিলাদের কাজে সুযোগ কম। এব্যাপারে যুবরাজ কতটা কথা রাখতে পারেন এখন সেটাই দেখার।
অন্যদিকে,
সৌদি
আরবে
ঝুঁকির
বিষয়
হল,
পুরনো
ধারনাকে
কখনই
ফেলে
দেওয়া
যাবে
না।
বিষয়টি
একটা
চালু
ট্রেন
থেকে
ধাঁপ
দিয়ে
অন্য
একটি
ট্রেনে
ওঠার
মতো।
এমনটাই
বলেছেন,
জিওপলিটিক্যাল
ফিচারের
অ্যানালিস্ট
কামরণ
বোখারি।
সবসময়
সবাইকে
খুশি
রাখা
যায়
না।
তাই
এই
যুবরাজের
সঙ্গেই
তাঁরা
চলতে
চান।
ভিশন ২০৩০-এর অঙ্গ হিসেবেই পরিবর্তনের ডাক দেওয়া হয়েছে সৌদি আরবে।