COP-26 সম্মেলনে জলবায়ু নিয়ে বিশ্বনেতার ভূমিকায় নরেন্দ্র মোদী
COP-26 সম্মেলনে জলবায়ু নিয়ে বিশ্বনেতার ভূমিকায় নরেন্দ্র মোদী
সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের একটি জলবায়ু সংক্রান্ত বৈঠকে অংশ নিয়েছে ভারত৷ সেখানেই বিশ্বের জলবায়ুর সংরক্ষণ নিয়ে বলিষ্ঠ বক্তব্য রাখলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উন্নত দেশ হোক কিংবা উন্নয়নশীল কোনও দেশ, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রভাব পড়বে গোটাবিশ্বের ওপর। গ্লাসগোয় ওয়ার্ল্ড লিডার সামিট অফ কপ-২৬ সম্মেলনে গোটাবিশ্বের সামনে জলবায়ু সংক্রান্ত একাধিক বার্তা তুলে ধরলেন মোদী। রেসিলিয়েন্ট আইল্যান্ড স্টেটসের জন্য বেশ কিছু উদ্যোগের কথাও বললেন প্রধানমন্ত্রী।
গ্লাসগোয় এই সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন যোগ দেন নরেন্দ্র মোদী। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, অজি প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনও উপস্থিত ছিলেন এদিনের বৈঠকে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রধান সচিব আন্তোনিও গুটেরেস৷ মঙ্গলবার মোদী বলেন, 'ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফর রেসিলিয়েন্ট আইল্যান্ড স্টেটসের সূচনা এক নতুন আশা জাগায়, আত্মবিশ্বাসের কথা বলে। এর ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলির সুবিধা হবে। এটা শুধুমাত্র কোনও সংস্থা বা বোর্ডের দায়িত্ব নয়, বরং অস্তিত্ব রক্ষায় মানবতার কর্তব্য।'
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'গত কয়েক দশকে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রত্যেকটি দেশ। তা উন্নয়নশীল কোনও দেশ হোক কিংবা উন্নত কোনও দেশ। প্রত্যেকটি দেশেই দেখা যাচ্ছে প্রাকৃতিক সম্পদ কমছে, এটা বড়সড় সমস্যা।'
মোদীর সঙ্গে সহমত হন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও। তাঁর মতে এই জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে চলেছে ছোট দ্বীপগুলি। প্রকৃতির রোষে সেগুলি যে কোনও দিন ধ্বংসের সম্মুখীন হতে পারে বলে তাঁর ধারণা। তিনি বলেন, 'ওই ছোট দ্বীপগুলি এই সমস্যার কারণই নয়। তারা মোটেও বিশাল পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ করেনি। তবু তারাই সবার আগে ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷ তাদের বাঁচাতে ব্রিটেন যথাসম্ভব অর্থ সাহায্য করছে।'