করোনা মহামারীর মাঝে ৬টি মহাদেশ ব্যাপী ভার্চুয়াল রথযাত্রার আয়োজন ইস্কনের
করোনা মহামারীর মাঝে ৬টি মহাদেশ ব্যাপী ভার্চুয়াল রথযাত্রার আয়োজন ইস্কনের
প্রতিবছরই রথের রশিতে টান দিতে লাখ লাখ মানুষের সমাগম হয় পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে। মায়াপুর ইস্কনও রথযাত্রায় সেজে ওঠে নতুন সাজে। কিন্তু বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতির জেরে এবার পুরীর রথ যাত্রার অনুষ্ঠানেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু এতদিনের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে মহামারীর বাধা অতিক্রম করে বিকল্প রথযাত্রার পরিকল্পনা করেছে সোসাইটি ফর কৃষ্ণা কনসাসনেস বা ইস্কন।
পুরীর রথযাত্রায় সুপ্রিম নিষেধাজ্ঞা
ইতিমধ্যেই গোটা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৪ লক্ষ ছাড়িয়েছে। দীর্ঘদিন লকডাউনের পরেও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছেনা ভাইরাস সংক্রমন। পরিস্থতি বিবেচনা করেই পুরীর জগন্নাথ ধামে রথযাত্রার আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু এই আদেশে খুশি নন ভক্তরা। পুরীর রথযাত্রা প্রায় তিন শতাব্দী ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে, যখন ওড়িশার ডেপুটি গভর্নর মোহাম্মদ তাকী খান জগন্নাথ মন্দির আক্রমণ করে মূর্তি গুলিকে গঞ্জাম জেলায় স্থানান্তর করতে বাধ্য করেছিলেন।
৬টি মহাদেশ ব্যাপী ডিজিটাল রথযাত্রার আয়োজন
ভক্তদের কথা ভেবেই, পশ্চিমবঙ্গের সদর দপ্তর মায়াপুর সহ, গোটা বিশ্বের ৬টি মহাদেশে ডিজিটাল রথযাত্রার আয়োজন করবে ইস্কন, যা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৩ শে জুন এবং ২৪ শে জুন। বাড়িতে বসেই রথের রশিতে টান দিতে পারবেন ভক্তরা। ২৩শে জুন, মায়াপুরে শুরু হবে উদযাপন এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমে দেখা যাবে এই রথযাত্রা। এদিকে ১৯৬৭ সালে সান ফ্রান্সিসকোতে এই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা শ্রীলা প্রভুপাদ প্রথম ইস্কন রথযাত্রাটি শুরু করেছিলেন বলে জানা যায়।
মার্সি অন হুইলস নামেই ঘুরবে ইস্কনের রথের চাকা
মার্সি অন হুইলস নামাঙ্কিত এই ডিজিটাল রথ ২৪ ঘন্টায় ৬ টি মহাদেশে পৌঁছে যাবে। দক্ষিণবঙ্গের মায়াপুরের ইস্কনের সদর দফতরের কর্মকর্তা সুব্রত দাস জানান,এই উদ্যোগে মোট ১০৮ টি রথ অংশ নেবে। "মহামারীর কারণে ভক্তরা রাস্তায় বেরোতে পারছেন না কিন্তু জগন্নাথ বলরাম এবং সুভদ্রা যাতে ভক্তদের বাড়ি পৌঁছে যেতে পারেন তাই এই আয়োজন" বলেই জানান জয়পতাক স্বামী, যিনি এই ভার্চুয়াল রথের পরিকল্পনা করেন।
অংশ নেবে ৩০,০০০ পরিবার
প্রত্যাশা করা হচ্ছে প্রায় ৩০,০০০ পরিবার এই ডিজিটাল রথযাত্রায় অংশ নেবে৷ ভার্চুয়াল মাধ্যমেই রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে নিখরচায় যজমান হওয়া যাবে। এরপর একটি লিঙ্কের দ্বারা ভক্তরা তাদের নির্দিষ্ট কোডের মাধ্যমে ভগবানকে ভোগ দেওয়ার ও আরতি করার সুযোগ পাবেন।
লাদাখে ফের যেকোনও মুহূর্তে হতে পারে সংঘর্ষ! চিনকে শায়েস্তা করতে আরও কড়া পদক্ষেপ কেন্দ্রের