মাত্রা ছাড়াচ্ছে কোভিড, সংক্রমণ ঠেকাতে মেট্রো রেল, বাস পরিষেবা বন্ধ করছে বেজিং
বেজিংয়ের ১৬টি জেলার মধ্যে ১২টিতে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা সংক্রমণ! পুরো চিন জুড়েই নতুন করোনার সংক্রমণ মাত্রা ছাড়া৷ তাই এবার করোনা সংক্রমণ রুখতে আরও কড়া হচ্ছে চিন। মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিন দফা নিউক্লিক অ্যাসিড স্ক্রিনিং শুরু করেছে চিন! সংবাদমাধ্যমের খবর বুধবার ভোরে একটি ঘোষণায় জানানো হয়েছে, বেজিংয়ে বেশ কয়েকটি শহরে কয়েক ডজন পাতাল রেল স্টেশন এবং বাস রুট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ শহর কর্তৃপক্ষ দ্রুত বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণ রুখতে আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না! তিন ডজনেরও বেশি পাতাল রেল স্টেশন এবং প্রায় ১৫০টি বাস রুট অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে, সরকারি ভাবে একটি বিবৃতিতে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে৷

২২ এপ্রিল চিনে নতুন করে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে বেজিং শহরটিতে ৫০০ টিরও বেশি নতুন কোভিড -১৯ সংক্রমণ রেকর্ড করা হয়েছে। প্রায় ২২ মিলিয়ন জনসংখ্যার মধ্যে, ৩ মে পর্যন্ত আরও নতুন ৫১ টি কোভিড কেস যুক্ত হয়েছে৷ কম কেসলোড রয়েছে এরকম এলাকাগুলিতে কর্তৃপক্ষকে গণপরিবহনে কিছু বিধিনিষেধ চাপিয়েছে। ১১ মে পর্যন্ত স্থানীয় স্কুলগুলি বন্ধ করা হয়েছে! বিশেষত জনবহুল চাওয়াং জেলায়, যেখানে প্রায় ৩.৫ মিলিয়ন বাসিন্দা রয়েছে সেখানে কোভিড রুখতে টেস্ট, আংশিক লকডাউনে গুরুত্ব দিয়েছে সরকার৷
জানা গিয়েছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চাওয়াং থেকে করোনা পজিটিভ হওয়া রোগীর তথ্য সামনে এসেছে৷ এটি চিনের অন্যতম কেন্দ্রীয় ব্যবসায়িক জেলা। এখানে দূতাবাস এবং বিপুল সংখ্যক হোটেল এবং বার অবস্থিত। শহরের প্রশাসন নির্দেশ দিয়েছে যে বৃহস্পতিবার থেকে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করার জন্য বাসিন্দাদের একটি করোনা নেগেটিভ নিউক্লিক অ্যাসিড পরীক্ষা দিতে হবে। যদিও চিনে সরকারি ও বেসরকারি অফিসগুলি পাঁচ দিনের শ্রম দিবসের ছুটির পরে আবার কাজ শুরু করতে চলেছে!
প্রথম বছরের মহামারিতে জন্মের তুলনায় মৃত্যুর নিবন্ধীকরণ বেশি, তথ্য প্রকাশ সরকারের
যদিও সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে অনেকেরই বাড়ি থেকে কাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে। বেইজিংয়ের ছড়িয়ে পড়া করোনা রোধে ধারাবাহিকভাবে নিউক্লিক অ্যাসিড স্ক্রিনিং শুরু হয়েছে! চিনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১০ দিনে শহরের অনেক বাসিন্দার ইতিমধ্যে কমপক্ষে পাঁচবার করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যদিও বেজিং সরকারের গৃহীত ব্যবস্থাগুলি একটি সুস্পষ্ট লকডাউনের মতো নয় যেরমকটা সাংহাইতে প্রয়োগ করা হয়েছিল। যদিও বেজিংয়ে যেখান থেকে করোনা কেস বেশি আসছে সেই জায়গাগুলিকে শিল করে দিচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন।