নববর্ষের মুখে ফের বাড়ছে করোনা আতঙ্ক! টিকা আগমণের মাঝেও খলনায়কের ভূমিকায় নয়া করোনা স্ট্রেন
নববর্ষের মুখে ফের বাড়ছে করোনা আতঙ্ক! টিকা আগমণের মাঝেও খলনায়কের ভূমিকায় নয়া করোনা স্ট্রেন
ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্বব্যাপী করোনার কবলে পড়েছেন প্রায় ৮ কোটি ১২ লক্ষের বেশি মানুষ। প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১৮ লক্ষের কাছাকাছি। এদিকে চলতি বছরেই করোনা টিকা প্রস্তুতির দৌড়ে বড়সড় সাফল্যের দোরগোড়ায়া পৌঁছে যায় একাধিক দেশ। এমনকী ইতিমধ্যেই জরুরি ভিত্তিতে টিকাকরণ শুরুও হয়ে গিয়েছে ব্রিটেন, আমেরিকা, কানাডা সহ একাধিক। যদিও বছর শেষ হতে আর হাতে গোনা কয়েকদিন পড়ে থাকলেও ডিসেম্বর পড়তেই চোখ রাঙাতে শুরু করেছে ব্রিটেনের নয়া করোনা স্ট্রেন।
করোনা হানা থেকে বাদ যায়নি কোনও মহাদেশই
নয়া করোনা আতঙ্কের জেরে ইতিমধ্যেই বড়দিনের পাশাপাশি বর্ষবরণ উদযাপনের পরিকল্পনা বাতিল হয়েছে লন্ডনে। ফের লকডাউন জারি হয়েছে ব্রিটেনের একটা বড় অংশেই। লকডাউনের পথে হেঁটেছে ইতালি সহ অন্যান্য দেশ। আন্টার্কটিকাতেও আক্রান্ত হয়েছেন ৫৮ জন। আরএনএ ভাইরাসের মাত্রাহীন অভিযোজনে ছড়াচ্ছে আতঙ্ক। প্রাকৃতিক নির্বাচন মতবাদ মেনেই নিজেকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে কোভিড-১৯ ভাইরাস।
বি.১.১.৭ স্ট্রেনের কারণেই মাত্রাহীন আতঙ্ক
সম্প্রতি ব্রিটেনে করোনার যে বি.১.১.৭ স্ট্রেন পাওয়া গেছে, তার সংক্রমণের ক্ষমতা দেখে চক্ষু চড়কগাছ গবেষকদের। ফ্রান্স, ইজরায়েল, হংকং ও আয়ারল্যান্ডের মত দেশেও পাওয়া যাচ্ছে করোনার অভিযোজিত রূপ। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, স্পাইক প্রোটিনে বদল এনে আগের থেকেও বেশি তাড়াতাড়ি মানব কোষের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ক্ষমতা রাখে কোভিড ভাইরাস। করোনার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পরীক্ষা আরটি-পিসিআর-ও যে এই নব স্ট্রেনকে শনাক্ত করতে অক্ষম, তা জানান কোভিড বিশেষজ্ঞরা। স্বভাবতই পুনরায় ছড়াচ্ছে মহামারীর আতঙ্ক!
নয়া করোনার উপর কতটা কার্যকরী ভ্যাকসিন?
এদিকে নয়া করোনা আগমণের মাঝেই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার বিষয়ে টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনীত মেনাচেরি জানিয়েছেন, "ভাইরাসের এন৫০১ওয়াই অভিযোজনের ক্ষেত্রে আগের ফর্মুলা মেনেই ভ্যাকসিন কাজ করেছে। ফলে আমরা যথেষ্ট আশাবাদী।" যদিও আগের মত প্রাণঘাতী নয় এই নতুন স্ট্রেন, তবুও ভারতের মতোই অন্যান্য বেশ কিছু দেশ ব্রিটেনের সঙ্গে উড়ানপথে সবরকমের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার ৫০১.ভি২ বেশ সংক্রামক বলে জানা গেলেও ভারতে এই দুইরকমের করোনার প্রবেশ এখনও হয়নি, এমনটাই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
নতুন কী দাওয়াই দিচ্ছে হু ?
ভাইরাসের লাগাতার অভিযোজনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে একমাত্র দাওয়াই জিনোম সিকোয়েন্স পদ্ধতি, এমনটাই মত হু-এর। যদিও ভারতের প্রায় ১ কোটি কেসের মাত্র ০.০৫%-এর জিনোম সিকোয়েন্স করে উঠতে পেরেছে ভারতীয় স্বাস্থ্যব্যবস্থা! অন্যদিকে ভারতে বেশ কিছু রোগীর জিনোম সিকোয়েন্সে ধরা পড়েছে নিউক্লিওটাইডের বদল, ফলে ব্রিটেনের স্ট্রেনের ভারতে প্রবেশের সম্ভাবনা ক্রমশ প্রবল হচ্ছে বলে মত চিকিৎসকদের। অন্যদিকে রেমডেসিভির বা প্লাজমা থেরাপির কথা উঠলেও তা কার্যকর হয়নি অতীতে। যদিও বর্তমানে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দিন এগিয়ে আসলেও তার সঠিক সমবণ্টন কিভাবে হবে, সে বিষয়ে এখনও দিশাহীন হু।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অশ্বিনী চৌবে কোভিড পজিটিভ, বাড়িতেই আইসোলেশনে