একমেরু বিশ্ব তৈরির ফন্দি বেজিংয়ের, চিনা ষড়যন্ত্রের পর্দাফাঁস মার্কিন এনএসএ-র
চিন গোটা বিশ্বের উপর প্রভাব বিস্তার করে একা রাজ করতে চায়। এমনই মত মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টার। এবং এবিষয়ে তিনি আরও দাবি করেন যে, বেজিংয়ের বিরুদ্ধে যে ওয়াশিংটন রুখে দাঁড়িয়েছে তা দেখছে গোটা বিশ্ব এবং সবাই আমাদের সঙ্গে রয়েছে। শুধু তাই নয়, এদিন মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও ব্রায়েন বলেন যে বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্ব মাল্টিপোলার হয়ে গিয়েছে।
বিশ্বের দেশগুলি মাল্টিপোলার হয়ে গিয়েছে
মার্কিন উপদেষ্টার কথায়, স্নায়ু যুদ্ধের সময় বিশ্ব যেমন বাইপোলার ছিল, সেরম পরিস্থিতি এখন নেই। এখন বিশ্বের দেশগুলি মাল্টিপোলার হয়ে গিয়েছে। তাঁর মতে বিশ্বে এখন প্রায় ৫টি সমষ্টি রয়েছে দেশগুলির। তবে চিন ইউনিপোলার পরিস্থিতি চায়। অর্থাৎ তারাই একমাত্র দেশ হবে, এবং বাকি সব দেশ শুধু তাদের শাখা প্রশাখার মতো কাজ করবে।
মার্কিন পরামর্শ অনুযায়ী চিন থেকে দূরে সরছে সবাই
নেভেডাতে এক বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা রাখতে গিয়ে রবার্ট আরও বলেন যে চিনের বিরুদ্ধে আমেরিকার রুখে দেওয়ার মনোভাব দেখেছে গোটা বিশ্ব। আমাদের মিত্রদেশগুলি আমাদের সঙ্গে তাই হাত মিলিয়েছে। চিনের ৫জি বিস্তারের নেপথ্যে লুকিয়ে থাকা ধূর্ত পরিকল্পনার কথা সবাই জেনেছে। এবং তাই তারা মার্কিন পরামর্শ অনুযায়ী তা থেকে দূরে থাকছে।
আফ্রিকার দেশগুকে ঋণের দায়ে জর্জরিত করেছে চিন
এদিন রবার্ট আরও বলেন, যেখানে বিশ্বে ব্রাজিল, ভারত, ব্রিটেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলির মতো এতো ভালো এবং বড় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে চিন এমনিতেই একা পড়ে গিয়েছে। এমত অবস্থায় চিন আফ্রিকার দেশগুলির দিকে নজর দিয়েছে। তবে তারাও চিনা ঋণের দায়ে নতি স্বীকার করেছে। এবং আমেরিকার দিকে সাহায্যের জন্য তাকিয়ে রয়েছে।
প্রতিরক্ষা খাতে খরচ বৃদ্ধির পরামর্শ তাইওয়ানকে
এদিকে চিনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে তাইওয়ানকে আমেরিকা প্রতিরক্ষা খাতে খরচ বৃদ্ধির পরামর্শ দিয়েছে বলে মেনে নেন রবার্ট। তাঁর সাফ বক্তব্য, চিনের মতো বিস্তারবাদী মানসিকতার দেশকে আটকাতে হলে নিজেদের জিডিপির এক শতাংশ খরচ করলে হবে না। কিন্তু তাইওয়ান সেটাই করে এসেছে। গত ৭০ বছর ধরে তাইওয়ান চিনা হুমকির মুখে দাঁড়িয়ে থেকেছে। আমরা ইউরোপে আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রগুলিকেও একই পরামর্শ দিয়েছি।
ভারতকেও চিনের বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন রবার্ট
প্রসঙ্গত, এর আগে ভারতকেও চিনের বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন রবার্ট। চিন আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটাতে চায় না। লাদাখ ইস্যুতে দিল্লিকে এই সতর্কবার্তা দিয়ে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও ব্রায়েন বলেছিলেন, বল প্রয়োগের মাধ্যমেই চিন লাদাখ ইস্যুতে নিজেদের কর্তৃত্ব বজায় রাখাতে ইচ্ছুক।
এলএসি বরাবর নিজেদের প্রসার ঘটাতে চাইছে চিন
এবিষয়ে রবার্ট ও ব্রায়েন আরও বলেন, 'এলাকা দখলের ক্ষেত্রে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির আগ্রাসী মনোভাব থেকে স্পষ্ট যে ভারতের ক্ষেত্রে তারা কোনওভাবেই আলোচনার পথে হেঁটে এই বিবাদ মেটাতে চাইছে না। তারা বল প্রয়োগ করেই ভারতের বিরুদ্ধে এলএসি বরাবর নিজেদের প্রসার ঘটাতে চাইছে। তাইওয়ানেও তারা একই প্রয়াস চালাচ্ছে।'
ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড প্রোগ্রামকে তোপ
ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড প্রোগ্রামকে তোপ দেগে রবার্ট বলেন, 'এই প্রকল্পগুলি ভিত্তিহীন। এর কোনও প্রয়োজন নেই। চিন এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে অন্য দেশগুলিকে নিজেদের ঋণের ভারে নতিস্বীকার করতে বাধ্য় করে। সেভাবে রাষ্ট্রসংঘেও চিনের লাইনে হাঁটতে বাধ্য হয় দেশগুলি। চিনের এই প্রকল্পগুলির মূল লক্ষ্য হল এভাবে দেশগুলিকে বেজিংয়ের কথা মতো নাচানো।'
সংঘাতের আবহে লাদাখে সংসদীয় দল, গ্রাউন্ড জিরো সফরের নেতৃত্বে অধীর চৌধুরী