ভারত-পাক দুই দেশের বিরুদ্ধেই মুখ খুলল বাংলাদেশ!'সার্ক' নিয়ে মোমেনের নয়া দাবি
নাগরিকত্ব ইস্যুতে বাংলাদেশের তরফে আগেই এসেছিল বিরেধিতা। ভারতের সিএএ-র বিরোধিতা করে বাংলাদেশের দুই মন্ত্রী ভারত সফর বাতিল করেছিলেন।
নাগরিকত্ব ইস্যুতে বাংলাদেশের তরফে আগেই এসেছিল বিরেধিতা। ভারতের সিএএ-র বিরোধিতা করে বাংলাদেশের দুই মন্ত্রী ভারত সফর বাতিল করেছিলেন। এবার সেই ভারত ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই কার্যত মুখ খুললেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আব্দুল মোমেন। তাঁর দাবি , ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরেই সার্ক সম্মেলন সাফল্য পাচ্ছে না।
সার্ক নিয়ে ভারত-পাক দ্বন্দ্ব
এর আগে ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশেই সার্ক- এ মুখোমুখি হয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে তোপ দাগে। দুইদেশেরই দাবি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে সুসম্পর্ক না থাকার জন্যই সার্ক সাফল্য পাচ্ছে না। একপরই বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী মুখ খোলেন। প্রসঙ্গত, তিনিই চলতি মাসে ভারত সফর আচমকাই বাতিল করে দেন।
ভারত-পাকিস্তানের শত্রুতাই দায়ী!
আব্দুল মোমেন দাবি করেন যে, সার্ক সম্মেলন সাফল্য পাচ্ছে না কারণ , ভারত আর পাকিস্তান নিজেদের শত্রুতার সম্পর্ক ধরে রেখেছে। আব্দুল মোমেনের দাবি, 'তবে বিবস্টেক, ও বিবিআইএনকে আরও ভালো করে কাজ করতে হবে। ' প্রসঙ্গত, বিবিআইএন গোষ্ঠীভূক্ত দেশগুলিতে নেই পাকিস্তান।
সার্ক নিয়ে এর আগে মোদীর বার্তা
সার্কের ব্যর্থতা নিয়ে এর আগে মোদী দায়ী করে পাকিস্তানকে। গত সপ্তাহেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী দাবী করেন যে সার্ক থেকে তৈরি হওয়া উদ্যোগ বারবার সন্ত্রাসের জন্য বাধা পাচ্ছে। এক্ষেত্রে তিনি যে পাকিস্তানের জমিতে গড়ে ওঠা সন্ত্রাসকেই নিশানা করেছেন , তা বলাই বাহুল্য। এরপরই বাংলাদেশের মন্ত্রী দাবি করেন, একমাত্র ভারত-পাক শত্রুতার জন্যই সার্ক সাফল্য পাচ্ছে না । ফলে সিএএ পরবর্তী পর্যায়ে ভারতকে নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান মোমেনের সাম্প্রতিক বক্তব্যে আরও স্পষ্ট হল বলে মনে করছে কূনৈতিক মহল।
ভারত-পাক সম্পর্ক
২০১৯ সাল জুড়ে ক্রমাগত ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক তলানিতে যায়। ২০১৯ সালের ফব্রুয়ারি মাসে পুলওয়ামায় পাক জঙ্গি হামলার পর ভারতের এয়ারস্ট্রাইক চলে পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিতে। এরপর থেকেই সিন্ধুর দুই পারের দেশের সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে। পরবর্তী পর্যায়ে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা দিল্লি তুলে নিতেই পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করে।
এনআরসি-র সঙ্গে এনপিআরকে যুক্ত করতে চাইছে মোদী সরকার, অভিযোগ কংগ্রেসের