ফের মাদ্রাসায় 'হাত' যোগী সরকারের, নানা মহলে সমালোচনা
রাজ্যের সরকারি মাদ্রাসাগুলিতে মুসমিলদের অনুষ্ঠানে ছুটি কমিয়ে দিল উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকার। ২০১৮-র প্রকাশিত সরকারি ক্যালেন্ডারে এই ছুটির কথা জানানো হয়েছে।
রাজ্যের সরকারি মাদ্রাসাগুলিতে মুসমিলদের অনুষ্ঠানে ছুটি কমিয়ে দিল উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকার। ২০১৮-র প্রকাশিত সরকারি ক্যালেন্ডারে এই ছুটির কথা জানানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন:বছরের শুরুতেই ফের বিতর্কে শামি, মৌলবাদীদের তীব্র ধিক্কার]
উত্তর প্রদেশের মাদ্রাসাগুলিতে স্বাধীনতা দিবসের দিন জাতীয় সঙ্গীত বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। এমন কী তা ভিডিওগ্রাফি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এবার হাত পড়ল মুসলিমদের অনুষ্ঠানে সরকারি ছুটিতে। তবে অন্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলিতে রাখা ছুটি অটুট রাখা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই উত্তর প্রদেশ সরকারের এই পদক্ষেপের সমালোচনা হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
এর আগে উত্তর প্রদেশের মাদ্রাসাগুলিতে ছুটি থাকত কেবল মাত্র মুসলিমদের অনুষ্ঠানে। কিন্তু এবারের নতুন ক্যালেন্ডারে মহাবীর জয়ন্তী, বুদ্ধ পূর্ণিমা, রাখিবন্ধন, মহানবমী, দিওয়ালি, দশেরা এবং বড়দিনেও ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে মাদ্রাসাগুলিতে।
নতুন সাতটি ছুটি যুক্ত করা হলেও, এর আগে মাদ্রাসার জন্য নির্ধারিত ১০ টি ছুটি কমিয়ে ৪ টি করা হয়েছে। নির্ধারিত ছুটিগুলির মধ্যে রয়েছে ইদুজ্জোহা এবং মহরমের মতো অনুষ্ঠানও। উত্তর প্রদেশ মাদ্রাসা বোর্ডের রেজিস্ট্রার রাহুল গুপ্ত জানিয়েছেন, মাদ্রাসাগুলি দশটি করে সরকারি ছুটি পেয়ে থাকে। সেই দশের তালিকায় এবার বিভিন্ন ব্যক্তির জন্মদিনকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ছাত্রদের বিশেষ ব্যক্তিদের পরিচয় জানা উচিত ছাত্রছাত্রীদের। এমনটাই মন্তব্য করেছেন তিনি। তবে এই নির্দেশিকার পিছনে, অপর এক কারণ রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সাধারণ আইনের মাধ্যমে মাদ্রাসাগুলিকে বেসিক স্কুল এডুকেশনের সমপর্যায়ে আনা হয়েছে।
যদিও এবিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছেন মাদ্রাসার সঙ্গে যুক্ত কর্তাব্যক্তিরা। ইসলামিক মাদ্রাসা মর্ডানাইজেশন টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ইজাজ আহমেদ জানিয়েছেন, মাদ্রাসাগুলি হল ধর্মীয় ইনস্টিটিউশন। তাদের ছুটি ভিন্ন হওয়াই বাঞ্চনীয়। তবে অন্য ধর্মীয় বিশ্বাসে ছুটি যুক্ত হলে তাতে আপত্তির কিছু নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে বিশেষ ছুটির দিন কমিয়ে দেওয়াকে ভুল পদক্ষেপ বলেই মন্তব্য করেছেন তিনি।