পাঁচতারা হোটেলের বাথটবে মহিলার মৃত্যু, দানা বাধছে রহস্য
ফরিদাবাদের এক পাঁচতারা হোটেলের বাথটবে এক মহিলার মৃত্য়ু।
ফরিদাবাদের একটি পাঁচতারা হোটেলের ঘরে এক মাঝবয়েসী মহিলার মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য দানা বাধছে! ঘটনার পর একদিন কেটে গেলেও এখনও উত্তর হাতরাচ্ছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন:ফের স্কুলে হামলা, ছুরির আঘাতে প্রাণ গেল ৭ ছাত্রের]
শুক্রবার সকালে হোটেলের ঘরের বাথটব থেকে মিলেছিল রিতু শর্মা নামে ৪২ বছর বয়সী ওই মহিলার প্রাণহীন দেহ। জানা গিয়েছে তিনি অরুন কুমার নামে নিউ জার্সির এক এনআরআই ব্যবসায়ীর স্ত্রী। গত বছর মার্চ মাসে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। তারপর থেকে রিতু নিউ জার্সিততেই থাকতেন। গত আগস্ট মাসে তিনি দিল্লি ফিরে আসেন। তারপর থেকে কখনও দক্ষিণ দিল্লিতে বোনেদের বাড়িতে, কখনও শহরের ভেতরের বা আশপাশের হোটেলে থাকতেন তিনি। গত রবিরবার তিনি ফরিদাবাদের ওই পাঁচতারা হোটেলে উঠেছিলেন। হোটেলের কর্মীরা জানিয়েছে বৃহস্পতিবার রাতে, রিতু তাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন যেন কাউকে তঁার ঘরে আসতে দেওয়া না হয়। কোনও ফোনও ঘরে ট্রান্সফার করতে বারন করেছিলেন।
রিতুর বোনেরা পুলিশকে বলেছেন, হোটেলে থাকলেও রিতুর সঙ্গে তাঁদের নিয়মিত ফোনে কথা হত। কিন্তু সাউ রাতে বারবার ফোন করেও তাঁরে রিতুর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। রিতুর স্বামী অরুন কুমারও এখন ভারতে। তাঁকে খবর দেওয়া হয়। এরপর রিতুর দুই বোন ও অরুন কুমার আসেন ওই হোটেলে।
তাঁদের দাবি রিতুর ঘরের দরজায় বারবার ধাক্কা দিলেও ভেতর থেকে সাড়া মেলেনি। এরপর হোটেলের দ্বিতীয় চাবি দিয়ে দরজা খোলা হয়। ঘরেও রিতুকে না পেয়ে অরুন বাথরুমে দেখতে যান। সেখানেই বাথটবের মধ্য়ে অচেতন অবস্থায় তাঁকে পাওয়া যায়। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেওয়া হয় এবং রিতুকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ডাক্তাররা জানান, অনেক আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ এসে জেহটি ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠায়। কিন্তু রিতুর আত্মীয়স্বজন, হোটেলের কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বা হোটেলের ঘরে তল্লাশি চালিয়েও পুলিশ এখনও কোনও সূত্র পায়নি। হোটেলের ঘরটি আপাতত সিল করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি, বা এমন কোনও সূত্রও পুলিশ পায়নি যা তদন্তের সহায়ক হতে পারে।
অরুন কুমার পুলিশকে জানিয়েছেন তাঁদের ক্ষতি করতে পারে এমন কেউ নেই। তিনি কাউকে সন্দেহও করেন না। অবশ্য় রিতুর এর আগেও একবার বিয়ে হয়েছিলল। অরুণেরও এটি তৃতীয় বিয়ে। কাজেই পুরনো সম্পর্কের দিকটিও পুলিশ উড়িয়ে দিচ্ছে না। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো কিছু নেই পুলিশের হাতে। এ অবস্থায় তারা তাকিয়ে আছে ময়না তদন্তের রিপোর্টের দিকে। এনিয়ে