সরকার সুরক্ষা দিক বা না দিক ২০ নভেম্বর শবরীমালায় যাবেন ত্রুপ্তি দেশাই
কেরল সরকার তাঁকে সুরক্ষা দেবে কি দেবে না সেই বিবেচনা না করেই, মহিলা সমাজ কর্মী ত্রুপ্তি দেশাই শুক্রবার জানিয়েছেন যে তিনি ২০ নভেম্বরের পর শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করবেন।
ত্রুপ্তি দেশাই বলেন, 'আমি শবরীমালায় যাব ২০ নভেম্বর। আমরা কেল সরকারের কাছে নিরাপত্তা চাইব এবং এটা সরকারের ওপর নির্ভর করছে যে আদৌও নিরাপত্তা দেবে কি দেবে না। যদি সুরক্ষা না দেওয়া হয়, তবে শুধু দর্শনের জন্য শবরীমালায় যাব।’ শুক্রবারই কেরলের দেবস্বম বোর্ডের মন্ত্রী কে সুরেন্দ্রন জানিয়েছেন যে রাজ্য সরকার কোনও মহিলা দর্শনার্থীকে সুরক্ষা দেবে না। যাঁদের সুরক্ষা দরকার আগে সুপ্রিম কোর্ট থেকে নির্দেশ নিয়ে আসুক।
তিনি আরও জানিয়েছেন যে ত্রুপ্তি দেশাইয়ের মতো সমাজকর্মীরা যাঁরা নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শন করেন, তাঁদের মন্দিরে দেখতে চাই না। তিরুবন্তপুরমে এসে মন্ত্রী বলেন, 'শবরীমালা মন্দিরে যে সব মহিলারা আসবেন তাঁদের রাজ্য সরকার সুরক্ষা দেবে না। ত্রুপ্তি দেশাইয়ের মতো সমাজকর্মীরা, যাঁরা নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শ করেন, তাঁদের শবরীমালায় দেখতে চাই না। যদি তাঁর পুলিশি নিরাপত্তা চাই তবে তাঁকে সুপ্রিম কোর্ট থেকে আগে এ বিষয়ে নির্দেশ নিয়ে আসতে হবে।’
বৃহস্পতিবারই সুপ্রিম কোর্ট শবরীমালা মামলা সাত সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চের কাছে পাঠিয়েছেন। শবরীমালায় মহিলাদের প্রবেশ উচিত কিনা তা নিয়ে পুর্নবিবেচনা করা দরকার। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে সুপ্রিম কোর্টই রায় দিয়েছিল যে শবরীমালায় সব বয়সী মহিলারা প্রবেশ করতে পারবে। যদিও এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে ৬০টিরও বেশি আবেদন জমা পড়েছিল। যেখানে উল্লেখ ছিল যে শবরীমালার দেবতা স্বামী আয়াপ্পা একজন ব্রহ্মচারী। তাই ঋতুমতী মহিলারা মন্দিরে প্রবেশ করলে তিনি দেবতা বিরক্ত হবেন।