বিধায়কের ভোটস্লিপ দলের পর্যবেক্ষের হাতে কেন, ভোট বাতিলের দাবি করলেন সুভাষ চন্দ্র
বিধায়কের ভোটস্লিপ দলের পর্যবেক্ষের হাতে কেন, ভোট বাতিলের দাবি করলেন সুভাষ চন্দ্র
বিজেপির সমর্থনেই নির্দল স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রাজস্থান থেকে রাজ্যসভায় ভোট লড়ছেন সুভাষচন্দ্র৷ জি চেয়ারম্যান সুভাষ চন্দ্র ঢোলপুর আসনে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। এই আসনেই বিজেপি প্রার্থী শোভা রানী কুশওয়াহা যখন নিজের ভোট জমা করছিলেন ঠিক তখনই ওই কেন্দ্রে বিজেপির পর্যবেক্ষক রাজেন্দ্র রাঠোর তাঁর ভোটস্লিপটি নিজের হাতে নেন৷ যেটি নিয়ম বিরুদ্ধ বলে অভিযোগ তুলে শোভা রাণীর ভোটটি বাতিল করার দাবি তুলেছেন মিডিয়া টাইকুন সুভাষ চন্দ্র৷
কী বলছেন পর্যবেক্ষক রাঠোর?
যদিও রাঠোর পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেছেন৷ তিনি বলেন, 'আমি তার ভোট দেখেছি। আমি এটা আমার হাতে নিইনি। যা কিছু হয়েছে তা দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তিনি এমনভাবে ভোট দিয়েছেন যেটা দল অনুমোদন করে না৷' অন্যদিকে রাজস্থান বিজেপির সভাপতি সতীশ পুনিয়া বলেছেন শোভা রানী কুশওয়াহার ভোটে 'কিছু অসঙ্গতি' রয়েছে৷ ভোট পর্যবেক্ষকদের একজন বিধায়কের ভোট নিজের কাছে রাখার কথা নয়।
কী নিয়ম রয়েছে ভোটিং স্লিপ জমা দেওয়ার?
সাধারণত বিধায়করা তাদের ভোট গোপন ব্যালটে স্লিপ করার আগে দলের পর্যবেক্ষকের কাছে দেখান। ঘটনাচক্রে, কুশওয়াহার নির্বাচনী এলাকা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের এলাকার মধ্যেই পড়ে৷ যিনি কিছুদিন ধরে রাজস্থান বিজেপিতে কিছুটা একঘরে ছিলেন। কংগ্রেসের তরফে চতুর্থ আসনে প্রমোদ তিওয়ারি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী সুভাষ চন্দ্রের সঙ্গে। এর আগে, ক্ষমতাসীন কংগ্রেসকে যারা ভোট দিয়েছিলেন তাদের মধ্যে মায়াবতীর দলের চারজন বিধায়ক ছিলেন।
রাজস্থানে কোন দল কোন জায়গাতে?
২০০ বিধানসভা আসনের রাজস্থানে চারটি রাজ্যসভা আসনের প্রত্যেকটিতে জয়ের জন্য ৪১টি ভোট প্রয়োজন। যেখানে রাজস্থান প্রদেশ কংগ্রেসের কাছে ১০৮ জন বিধায়ক রয়েছে। যেটাতে স্পষ্ট যে রাজস্থানে দুটি আসন জিততে চলছে কংগ্রেস। যদিও তিনটি আসনে জিততে মরিয়া কংগ্রেস, তিনটি আসন জিততে কংগ্রেসের প্রয়োজন ১২৩ ভোট। সেক্ষেত্রে অন্য দল /নির্দল বিধায়কদের ক্রসভোটিংয়ের উপর নির্ভর থাকতে হবে কংগ্রেসকে৷ অন্যদিকে, বিধায়কদের হিসেব মতো রাজস্থানে বিজেপি একটি আসন জিততে পারে।
রাজ্যসভায় ক্রস-ভোটের বিবাদে কংগ্রেস বনাম বিজেপি, উভয়েই ছুটলেন কমিশনের দরবারে