গতিপথ পরিবর্তন করে ঘূর্ণিঝড় অশনি আছড়ে পড়ল উপকূলে! এবার শক্তি দেখাচ্ছে নিম্নচাপ
শেষ পর্যন্ত ল্যান্ড ফল ঘূর্ণিঝড় অশনির (cyclone asani)। বুধবার গভীর রাতে অন্ধ্রপ্রদেশের মছলিপত্তনম এবং নরসাপুরমের মধ্যে স্থলভাগে আছড়ে পড়ে সেটি। তবে আছড়ে পড়ার পরে সেটি গভীর নিম্নচাপে (deep depression) পরিণত হয়। আবহ
শেষ পর্যন্ত ল্যান্ড ফল ঘূর্ণিঝড় অশনির (cyclone asani)। বুধবার গভীর রাতে অন্ধ্রপ্রদেশের মছলিপত্তনম এবং নরসাপুরমের মধ্যে স্থলভাগে আছড়ে পড়ে সেটি। তবে আছড়ে পড়ার পরে সেটি গভীর নিম্নচাপে (deep depression) পরিণত হয়। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অশনি আরও দুর্বল হয়ে এবার নিম্নচাপে (depression) পরিণত হবে এবং ইয়ানাম এবং কাঁকিনাড়ার মঝ্যে সেটি সক্রিয় হবে।
অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলবর্তী এলাকায় বৃষ্টি
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘন্টায় অন্ধ্রপ্রদেশে উপকূলের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি হবে এবং ঘন্টায় ৫০-৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি সেখানকার মৎস্যজীবীদেরও সতর্ক করা হয়েছে, আপাতত সমুদ্রে না যাওয়ার জন্য।
শেষ পর্যন্ত অন্ধ্রে ল্যান্ডফল
এর আগে আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন ঘূর্ণিঝড় অশনির কোনও ল্যান্ডফল হবে না। কিন্তু পরে তা অপ্রত্যাশিতভাবে গতিপথ পরিবর্তন করে উপকূলের দিকে যায়। বুধবার বিকেলে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়টি ছিল। পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় সমুদ্রেই থাকার পূর্বাভাস দিয়েছিলেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। সঙ্গে ওড়িশা উপকূলের কাছাকাছি আসার কথাও জানিয়েছিলেন তাঁরা। অশনির প্রভাবে অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। জরুরি মোকাবিলার কারণে উদ্ধারকারী দলকে প্রস্তুত রাখা হয়। তীব্র হাওয়ার কারণে বিশাখাপত্তনমে বিমান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের তরফে ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় প্রায় ৪৫০ টি ত্রাণ শিবির স্থাপন করা হয়েছিল।
অশনির প্রভাব অন্য দুই রাজ্যেও
অশনি অন্ধ্রপ্রদেশে ল্যান্ডফল এবং সিস্টেমের বাকি অংশের প্রভাবে তামিলনাড়ু এবং কেরলে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আরও দুর্বল হয়ে নিম্নচাপ
গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পরে অশনি উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাতের দিকে এই সিস্টের আরও দুর্বল হয়ে উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ আকারে দেখা দিতে পারে। বুধবার মধ্যরাত থেকে ভোর ৪ টের মধ্যে সিস্টেমটি প্রচুর শক্তি হারিয়েছে। সোমবার রাতে যেখা ঘূর্ণিঝড়টির বেগ ছিল ঘন্টায় ১২ কিমি, বুধবার বিকেলে তা হয়ে যায় ঘন্টায় ৪ কিমি।
ঘূর্ণিঝড় দুর্বল হওয়ার কারণ হিসেবে কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। উত্তর-পশ্চিম বাতাস স্থলভাগের কাছাকাছি আসার সঙ্গে সঙ্গে সিস্টেমে প্রবেশ করতে থাকে। সাধারণভাবে কোনও ঘূর্ণিঝড় সক্রিয় হয় আর্দ্রতা ও তাপমাত্রা জনিত কারণে। সমুদ্রে মাঝামাঝি থাকার সময়েই সিস্টেমে শুষ্ক বাতাস ঢুকতে শুরু করে। আর সিস্টেমটি উপকূলের কাছাকাছি আসার সঙ্গে সঙ্গে এর শক্তি বাড়ে। এছাড়াও উপকূলের কাছাকাছি আসার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে থাকা বাড়ি, গাছ, ইলেকট্রিক এবং টেলিফোনের টাওয়ার সিস্টেমটিকে আরও দুর্বল করে দিয়েছে।
প্রায় ৫ হাজার পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি FCI-এর, অষ্টম ও দশম শ্রেণির উত্তীর্ণদের সুযোগ