উন্নাও তরুণীর মৃত্যুকালীন বয়ান অভিযুক্তদের দোষী প্রমাণ করতে যথেষ্ট, দাবি পুলিশের
উন্নাও তরুণীর মৃত্যুকালীন বয়ান অভিযুক্তদের দোষী প্রমাণ করতে যথেষ্ট, দাবি পুলিশের
উন্নাওয়ের ২৩ বছর বয়সী আক্রান্তের মৃত্যুকালীন জবানবন্দী অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করার জন্য অকাঠ্য প্রমাণ। মঙ্গলবার তা জানালেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশ প্রধান ওপি সিং। গত সপ্তাহে ওই তরুণীকে পাঁচজন মিলে জীবন্ত জ্বালিয়ে দিয়েছিল। ওই পাঁচজনের মধ্যে দু’জন ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে।
উত্তরপ্রদেশ সরকার মন্ত্রীসভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ২১৮টি নতুন ফার্স্ট–ট্র্যাক আদালত গড়ে তোলা হবে। যার মধ্যে ১৪৪টিতে চলবে ধর্ষণ মামলা এবং ৭৪টিতে চলবে শিশুদের ওপর যৌন অপরাধের মামলা। উন্নাও ধর্ষণ মামলাও ফার্স্ট–ট্র্যাক আদালতে হবে বলে জানা গিয়েছে। ডিজিপি বলেন, 'মরণোত্তর জবানবন্দী খুবই অকাঠ্য প্রমাণ এবং অবশ্যই তা ব্যবহার করা হবে। মৃত্যুর আগে ওই তরুণী উপ–বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তাঁর বয়ানে জানিয়েছেন যে ওই পাঁচজন তাঁর ওপর হামলা করেছে।’ পুলিশ আধিকারিক আরও বলেন, 'দিল্লিতে যখন তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তখন তরুণী চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। আমরা এই মামলায় চিকিৎসকদের বিবৃতি নেওয়ার চেষ্টা করছি। ওই পাঁচ অতপরাধীর বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন করতে এই কড়া প্রমাণগুলি সাহায্য করবে।’ তিনি জানান, পুলিশ শীঘ্রই এই মামলায় চার্জশিট গঠন করবে এবং মামলাটি ফার্স্ট–ট্র্যাক আদালতে নিয়ে যাওয়া হবে।
ওপি সিং বলেন, 'অপরাধীদের ডিএনএ পরীক্ষা করানোরও সম্ভাবনা রয়েছে।’ ডিএনএ পরীক্ষা প্রসঙ্গে পুলিশ প্রধান জানান, আক্রান্তের কাছে মোবাইল ফোন ও পার্স ছিল। যেগুলিকে ফরেন্সিক পরীক্ষায় ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে। সেইগুলি যদি কোনওভাবে অপরাধীদের সংস্পর্শে আসে, অর্থাৎ হাতের ছাপ বা ঘামের ছোপ বা চুল যদি পাওয়া যায় তবেই ডিএনএ পরীক্ষা হওয়া সম্ভব। তিনি বলেন, 'আক্রান্তের জিনিস থেকে পাওয়া কোনও কিছুর সঙ্গে অভিযুক্তদের ডিএনএ নমুনার মিলিয়ে দেখা হবে। তবে এছাড়াও আমাদের কাছে এই মামলা সংক্রান্ত জোরদার প্রমাণ রয়েছে।’ উপ–বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট দয়াশঙ্কর পাঠকের কাছে ওই তরুণী তাঁর বয়ানে জানিয়েছেন যে তিনি তাঁর বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আদালতের দিকে যাচ্ছিলেন, যেখানে তাঁর ধর্ষণ মামলার শুনানি চলছিল, তিনি গৌরাতে যখন পৌঁছান ঠিক সেই সময় অভিযুক্ত পাঁচজন তাঁর ওপর হামলা করে।
ওই তরুণী পাঁচজন অভিযুক্তের নামও বলেছে যারা হল হরিশঙ্কর ত্রিবেদী, রাম কিশোর ত্রিবেদী, উমেশ বাজপাই, শিভম ত্রিবেদি এবং শুভম ত্রিবেদি। এরাই তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। আক্রান্ত তরুণী এও জানান যে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে শিবম ও শুভম তাঁকে অপহরণ করে ধর্ষণও করেছিল। যদিও তার অভিযোগ দায়ের করা হয় মার্চে। গত বৃহস্পতিবারই আক্রান্তের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। শরীরে আগুন নিয়েই ওই তরুণী সাহায্যের জন্য এক কিমি হেঁটে যান। প্রথমে তরুণীকে নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়, তারপর ওখান থেকে জেলা হাসপাতাল ও পরে লখনউয়ে। সেখান থেকে তরুণীকে দিল্লি বিমানে করে নিয়ে আসার পর সফদরজঙ্গ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পরের দিনই তাঁর মৃত্যু হয়।
নাগরিকত্ব বিল সোনার অক্ষরে জিন্নাহর সমাধিতে লেখা থাকবে, মোদীকে কটাক্ষ ডেরেকের