অবিবাহিত মহিলারা গর্ভপাত করা থেকে বঞ্চিত থাকতে পারেন না, মত সুপ্রিম কোর্টের
বৃহস্পতিবার
গর্ভপাত
নিয়ে
অন্তর্বতীকালীন
নির্দেশ
দিয়েছে
সুপ্রিম
কোর্ট।
শীর্ষ
আদালত
সেই
নির্দেশে
বলেছে
যে
একজন
মহিলা
শুধুমাত্র
অবিবাহিত
হওয়ার
জন্য
গর্ভপাতের
সুবিধা
থেকে
বঞ্চিত
থাকতে
পারেন
না।
বিচারপতি
ডি
ওয়াই
চন্দ্রচূড়ের
নেতৃত্বে
ডিভিশন
বেঞ্চ
এটা
পর্যবেক্ষণ
করেছে
যে
২০২১
সালের
৩
ধারার
সংশোধনী
অনুযায়ী
মেডিক্যাল
টার্মিনেশন
অব
প্রেগন্যান্সি
অ্যাক্টে
'স্বামী'-এর
পরিবর্তে
'সঙ্গী'
শব্দটি
ব্যবহার
করা
হয়েছিল।
অবিবাহিত
মহিলাদের
সুরক্ষা
দেওয়ার
জন্যই
এই
আইন
সংশোধন
করা
হয়েছিল।
আদালত
উল্লেখ
করেছে
যে
সংসদীয়
অভিপ্রায়
বৈবাহিক
সম্পর্কের
ফলে
উদ্ভুত
পরিস্থিতির
সুবিধাগুলিকে
সীমাবদ্ধ
করে
দেওয়া
নয়।
এমনকী,
একজন
বিধবা
বা
ডিভোর্সি
মহিলাও
২০-২৪
সপ্তাহের
মধ্যে
গর্ভপাত
করাতে
পারে,
সেরকমই
নির্দেশ
আদালতের।
প্রসঙ্গত, এক ২৫ বছর বয়সী অবিবাহিত মহিলার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। গত ১৬ জুলাই দিল্লি আদালত ওই মহিলার ২৪ সপ্তাহের ভ্রুণের গর্ভপাত করার আবেদনকে খারিজ করে দেওয়ার পর আদালতে এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ওই মহিলা। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি সূর্য কান্তের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, এই বিষয়ের ওপর দিল্লি হাইকোর্ট 'অযথা' নিষেধাজ্ঞামূলক পদক্ষেপের কথা বলেছে। এদিনের পর্যবেক্ষণে বিশেষভাবে অবিবাহিত মহিলাদের ওপর জোর দিয়েছে আদালত। এখানে উল্লেখ্য, লিভ-ইন সম্পর্কে থাকার পর পারস্পরিক সম্মতিক্রমে তিনি গর্ভবতী হয়েছিলেন। দিল্লি হাইকোর্টে গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে আবেদন জানালেও আদালত তা খারিজ করে দিয়েছিল। দিল্লি হাইকোর্ট তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল, যৌথ সম্মতির ভিত্তিতে যদি কোনও মহিলা গর্ভবতী হয়ে যান, তবে ২০০৩ সালে আইন সেই গর্ভবস্থাকে অনুমোদন করে না।
বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালত জানিয়েছে যে মহিলার যদি প্রাণের কোনও ঝুঁকি না থাকে তবে তিনি চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে গর্ভপাত করাতে পারেন এবং সেই রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে। বর্তমানে অনেকেই বিয়ের সম্পর্কে না গিয়ে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকেন সঙ্গীর সঙ্গে এবং পরবর্তীকালে সেই সম্পর্কে কোনও সমস্যা সৃষ্টি হলে সেখান থেকে বেরিয়েও আসেন। সেক্ষেত্র সম্পর্কে থাকা মহিলাদের অনেক ক্ষেত্রের গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাঁদের জন্য এই রায় দৃষ্টান্তমূলক বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।