মদ্যপ পুলিশ কর্মীর গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু শিশুর
নয়াদিল্লি, ২৯ ডিসেম্বর : মদ্যপ অবস্থায় কোলের শিশুকে গাড়ির চাকায় পিষে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল দিল্লি পুলিশের এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে এই ঘটনায় আহত হয়েছে ওই শিশুর ষাঠোর্ধ ঠাকুমা। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে অক্ষরধাম মন্দিরের কাছে ২৪ নম্বর জাতীয় সড়কে।
এই ঘটনায় অশোক নামের অভিযুক্ত কনস্টেবলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের বক্তব্য অশোকের গাফিলতির কারণে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও ওই শিশুর পরিবারের অভিযোগ ইচ্ছাকৃতভাবে এই পুলিশ কর্মী অন্য এক পুলিশ কর্মী প্রদীপের সঙ্গে মিলিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। অভিযুক্ত দুই পুলিশ কর্মীই পাণ্ডব নগর থানার ছিলেন।
মেডিক্যাল পরীক্ষায় ধরা পড়েছে অভিযুক্ত অশোক মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিল।
পুলিশ সূত্রের খবর, মৃত শিশুর নাম গোপাল। তার বয়স এক বছর হয়নি। পরিবারের অভিযোগ, তারা মাছ ধরে এবং সবজি চাষ করেই জীবনযাপন করে। ২৪ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছেই তাদের একটি ছোট জমি রয়েছে যেখানে তারা চাষাবাদ করেন। এই দুই পুলিশকর্মী প্রায়শই মদ্যপ অবস্থায় হাতে মদের বোতল নিয়ে আসে এবং বিনাপয়সায় খাবার খেতে চায়। না দিলে দোকান বন্ধ করার হুমকি দেয়। এদিন ভাজা মাছ খেতে চেয়েছিল অশোক আর প্রদীপ। কিন্তু তাদের হুকুম না শোনাতেই শাস্তিস্বরূপ ইচ্ছাকৃতভাবে গোপালকে মেরে দিয়েছে ওই দুই পুলিশ কর্মী।
প্রত্যক্ষদর্শীরাও একই কথা বলেছে।
যদিও পুলিশের দাবি, গাড়ি পেছতে গিয়ে দুর্ঘটনাবশত গাড়ির চাকার তলায় চলে আসে গোপাল। মৃত্যু হয় তার। অশোক নিজেই গোপালের ঠাকুমাকে লাল বাহাদুর শাস্ত্রী হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করান এবং থানাতেও খবর দেন। পাশাপাশি যখন এই ঘটনাটি ঘটে তখন কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলেন না অশোক। অশোকের বিরুদ্ধে ভারতীয় আইনত দণ্ডবিধির ৩০৪-এ (গাফিলতির কারণে মৃত্যু) এবং ২৭৯ (জোরে এবং অসতর্কিত ভাবে গাড়ি চালানো) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।