কেরলের পর অভিষেকের নজরে পশ্চিম উপকূলের আরও এক রাজ্য, কাজ শুরু প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাক টিমের
শুধু কেরল নয়, তৃণমূল (trinamool congress) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (abhishek banerjee) নিশানায় রয়েছে পশ্চিম উপকূলের ছোট্ট রাজ্য গোয়াও (goa) । ২০২২-এর শুরুতেই সেখান
শুধু কেরল নয়, তৃণমূল (trinamool congress) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (abhishek banerjee) নিশানায় রয়েছে পশ্চিম উপকূলের ছোট্ট রাজ্য গোয়াও (goa) । ২০২২-এর শুরুতেই সেখানে বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনেই তৃণমূল লড়াই করতে চায় বলে সূত্রের খবর। গোয়ায় ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। এদিনও মুর্শিদাবাদের একাধিক জায়গায় প্রচারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, যেসব রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে, সেইসব রাজ্যে গেরুয়া শিবিরকে চ্যালেঞ্জ জানানোয় তৈরি তারা। সঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, তিন বছরেই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বদলে যাবে।
কাজ শুরু করেছে আইপ্যাক
পশ্চিমবঙ্গে আইপ্যাকের টিম কাজ শুরু আগে থেকেই তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায়। সেই এই রাজ্যে আইপ্যাকের কাজের পদ্ধতি ছিল একরকমের। কিন্তু এই রাজ্যে ভোটে জয়ের পরেই দেখা গিয়েছিল আইপ্যাকের টিম গিয়েছে ত্রিপুরায়। তারপরেই তৃণমূল সেই রাজ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, গোয়াতেও আইপ্যাকের টিম কাজ শুরু করে দিয়েছে। আইপ্যাক সেখানে তৃণমূলের হয়ে ভিত তৈরি করার কাজ করছে।
ত্রিপুরার আগে ভোট গোয়ায়
ত্রিপুরায় ভোট ২০২৩-এর ফেব্রুয়ারিতে। কিন্তু গোয়ায় ভোট প্রায় একবছর আগে অর্থাৎ ২০২২-এর ফেব্রুয়ারিতে। সেই ভোটেই গোয়ার মতো রাজ্যে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিতে চায় পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তাঁরা ত্রিপুরা এবং অসমের জন্য ঝাঁপিয়েছেন। ত্রিপুরায় তাঁরা ক্ষমতা দখল করবেনই। তাঁকে দেখে ত্রিপুরার সরকার ভয় পেয়েছে বলে দাবি করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণেই তাঁকে সেখানে কোনও কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হচ্ছে না। বিজেপি শাসিত যে রাজ্যেই তাঁরা পা রাখবেন, সেই রাজ্যেই তাঁরা সফল হবেন বলে দাবি করেছেন অভিষেক।
মমতা, অভিষেকের গোয়া যাওয়ার প্রস্তুতি
গত বেশ কিছুদিন ধরেই গোয়ার বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখার পাশাপাশি বৈঠকও করেছে তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব। খুব তাড়াতাড়ি সেখানকার পরিস্থিতি বুঝতে সাংসদদের একটি টিম পাঠানো হতে পারে বলে সূত্রের খবর। এই টিমের রিপোর্ট পাওয়ার পরে সেখানে যেতে পারেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তিনি সেখানে প্রচার শুরু করবেন বলে সূত্রের খবর।
কংগ্রেসের দুর্বলতার সুযোগ নিতে চায় তৃণমূল
গোয়া
বিধানসভার
আসন
সংখ্যা
৪০।
যা
কিনা
ত্রিপুরার
থেকেও
কম।
২০১৭-র
নির্বাচনে
এই
রাজ্যে
কংগ্রেস
১৭
টি
আসন
দখল
করেছিল।
বিজেপি
পেয়েছিল
১৩
টি
আসন।
যা
সত্ত্বেও
বিজেপিই
সেখানে
সরকার
গঠন
করে।
গোয়ায়
কংগ্রেসের
দুর্বলতার
সুযোগ
তারা
নিতে
চায়
বলেই
তৃণমূল
সূত্রে
খবর।
এদিন
তার
ইঙ্গিত
মিলেছে
অভিষেক
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
কথায়।
তিনি
এদিন
ভোটপ্রচারে
মুর্শিদাবাদে
গিয়ে
বলেছেন,
কংগ্রেস
যেখানে
বিজেপির
বিরুদ্ধে
লড়াই
করলে
হেরে
যায়,
সেখানে
বিজেপিইকে
হারাচ্ছে
তৃণমূল।
এটাই
দুই
দলের
পার্থক্য।
সূত্রের
খবর
অনুযায়ী,
এই
কথা
গোয়ার
মানুষের
সামনে
তুলে
ধরতে
চায়
তৃণমূল।
তারা
বলতে
চায়,
যদি
গোয়াবাসী
তৃণমূলকে
ভোট
দেন,
তাহলেই
বিজেপিকে
উৎখাত
করা
সম্ভব।
না
হলে
অন্য
দল
থেকে
বিধায়করা
গিয়ে
বিজেপিতে
যোগ
দেবে।
তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গের কথা রাখতে চায় গোয়ার সামনে
পশ্চিমবঙ্গে ২০০-র বেশি আসন জয়ের দাবি থেকে বিজেপির ৭৭-এ আটকে যাওয়া, এই ছবিই তৃণমূল গোয়াবাসীর সামনে রাখতে চায়। পশ্চিমবঙ্গ জয়ের পর থেকে তৃণমূলের তরফে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সংগঠন বিস্তারের কথা বলা হয়েছে। উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্রে দলীয় অফিস খোলা হয়েছে। কেরলে রাজ্য কমিটি গঠন করে কাজ শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মুর্শিদাবাদে বলেছেন ৫ মে তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তিনমাসের মধ্যে অনেক জায়গাতেই বিজেপির ভিত নড়িয়ে নিয়েছেন। আর তিনবছর সময়ের মধ্যে দেশের রাজনীতিও অনেকটাই বদলে যাবে বলেই দাবি করেছেন তিনি।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, তৃণমূল গোয়ায় অলআউট ঝাঁপাতে চায়। যদি তারা নিজেদেরকে পশ্চিম উপকূলের ছোট রাজ্যে প্রতিষ্ঠা করতে পারে, তাহলে তারা তাদের প্রভাব শুধু দেশের পূর্বেই নয়, পশ্চিমেও ছড়িয়ে দিতে পারবে বলেই মনে করছে। তাহলেই একমাত্র ২০২৪-এ নিজেদেরকে জাতীয় পর্যায়ে বিজেপির প্রতিপক্ষ হিসেবে তুলে ধরতে পারবে।
যদিও গোয়ায় চোখ রয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক থাকা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালেরও। সেক্ষেত্রে কি দুই দলের মধ্যে কোনও সমঝোতা হবে, তার উত্তর জানতে অবশ্য অপেক্ষা করতে হবে, বেশ কয়েকটা মাস।
বাঙালির সব থেকে বড় উৎসব পালন নিয়ে বড় জয় শুভেন্দু অধিকারীর, হাইকোর্টের নির্দেশে কাটল বাধা