দিল্লি চিড়িয়াখানায় বাঘের কোপে ছাত্র : 'দুর্ভাগ্যের অতীত' যেন ফের থাবা বসাল পরিবারটিতে
মিডিয়া সূত্রের খবর অনুযায়ী, মাকসুদ ওই মহিলার দ্বিতীয় সন্তান যে দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছে। দুর্ভাগ্যের বিষয় এই যে মাকসুদের স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। মাকসুদের মা ইসরাত এখন তৃতীয় সন্তান মেহমুদের উপরই নির্ভরশীল। সে জয়পুরে দিনমজুরের কাজ করে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, খুব অল্প বয়সেই কলকাতায় গাড়িতে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় মাকসুদের দাদার। তখন মাকসুদ মাত্র ৫ বছরের। ফের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হল মাকসুদও।
দিল্লি চিড়িয়াখানার ভয়াবহ ঘটনাটি শুনে চমকে উঠেছেন সকলে। যদিও চিড়িয়াখানাক আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আক্রমণকারী ওই সাদা বাঘ বিজয়, মানুষখেকো নয়। এমনকী এই ঘটনার পরে কোনও রকম অস্বাভাবিক আচরণও বিজয়ের মধ্যে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন চিড়িয়াখানা আধিকারিকরা।
চিড়িয়াখানার তরফে জানানো হয়েছে, বিজয় নামের ওই বাঘের জন্মের পর থেকেই বন্দীদশায় পোষা হয়েছে তাকে। শিকারের কোনও কৌশলই জানা নেই বিজয়ের। ২০০৭ সালে জন্ম হয় বিজয়ের। ন্যাশনাল জুলজিক্যাল পার্কের তত্ত্বাবধায়ক আর এ খান জানিয়েছেন, "বিজয় খুবই ভাল ভাবেই ছিল। তাকে নিয়ে কোনও রকমের অভিযোগ এতদিন পাওয়া যায়নি। কিন্তু আপাতত ৪-৫ দিনের জন্য তাঁকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনওরকম অস্বাভাবিক আচরণ বিজয়ের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়নি।"
<center><iframe width="100%" height="360" src="//www.youtube.com/embed/7CGpUxXaDF0?feature=player_embedded" frameborder="0" allowfullscreen></iframe></center>