আস্ত একটা ব্রিজই চুরি হয়ে গেল! ৬০ ফুটের লোহার সেতু নিয়ে পালাল চোরেরা
এ ঘটনা তো পুকুর চুরিকেও হার মানায়! আস্ত একটা ব্রিজ কি না চুরি হয়ে গেল। ৬০ ফুটের লোহার সেতু ভেঙে নিয়ে পালিয়ে গেল চোরেরা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে বিহারের রোহতাস জেলায়।
এ ঘটনা তো পুকুর চুরিকেও হার মানায়! আস্ত একটা ব্রিজ কি না চুরি হয়ে গেল। ৬০ ফুটের লোহার সেতু ভেঙে নিয়ে পালিয়ে গেল চোরেরা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে বিহারের রোহতাস জেলায়। চোরদের একটি দল প্রকাশ্য দিবালোকে রোহতাস জেলার একটি ৬০ ফুট লোহার সেতু ভেঙে নিয়ে চম্পট দিয়েছে।
কেউ ঘূণাক্ষরেও টের পেল না ব্রিজ চুরির ঘটনা
এই ব্রিজ-চুরির ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে, প্রকাশ্য দিবালোকে কীভাবে এই চুরি সম্ভব হল! কারা এই লোহার সেতু তুলে নিয়ে যেতে সক্ষম হল। প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং গ্রামবাসীদের সহায়তাতেই এই অসম্ভব সম্ভব হয়েছে? এতবড় ঘটনা ঘটে গেল, কেউ ঘূণাক্ষরেও টের পেল না, সত্যিই অবাক করা ঘটনা ঘটল বিহারে। প্রশাসনের শীর্ষকর্তাও এই ঘটনায় তাজ্জব।
রাজ্য সেচ দফতর দায় ঝেড়ে ফেলতে পারে না
এখন প্রশ্ন এই চোরেরা কারা? অভিযোগের তির রাজ্য সেচ দফতরের আধিকারিকদের দিকেও। রাজ্য সেচ দফতরের আধিকারিকদের মদত না থাকলে কেউ গ্যাস কাটার এবং আর্থ-মুভার মেশিন ব্যবহার করে সেতুটি ভেঙে ফেলতে পারে না। শুধু তাই নয়, তিন দিনের মধ্যে স্ক্র্যাপ মেটাল নিয়েও চলে যায় তারা। ফলে রাজ্য সেচ দফতর দায় ঝেড়ে ফেলতে পারে না কিছুতেই।
স্থানীয় সেচ দফতর ও গ্রামবাসীর সাহায্য? অভিযোগ
আর মজার ব্যাপার হল, বিহারের রোহতাসে এই লোহার ব্রিজ অপসারণের সময় তারা স্থানীয় সেচ দফতরের আধিকারিক ও গ্রামবাসীর সাহায্য নিয়েছিল। রাজ্য সেচ দফতরের কর্মকর্তারা চুরির কথা বুঝতে বুঝতেই চোরেরা পুরো ব্রিজ তুলে নিয়ে হাওয়া হয়ে গিয়েছে। অত ভারী লুঠের জিনিস নিয়ে তারা পালিয়ে গিয়েছে।
|
সেতুটিকে বিপজ্জনক এবং পরিত্যক্ত বলে ঘোষণা হয়েছিল
রাজ্য সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, নাসিরগঞ্জ থানার অন্তর্গত অমিয়ওয়ার গ্রামে ১৯৭২ সালে আরাহ খালের উপর সেতুটি নির্মিত হয়েছিল। বেশ পুরানো হয়ে গিয়েছিল সেতুটি। এবং সেতুটিকে বিপজ্জনক এবং পরিত্যক্ত বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। গ্রামবাসীরা এটি ব্যবহার করছিল না। এটির পাশে একটি কংক্রিট সেতু ব্যবহার করছিলেন গ্রামবাসীরা। উল্লেখ্য, সেতুটি ৬০ ফুট লম্বা এবং ১২ ফুট উঁচু ছিল।
নাসিরগঞ্জের এসএইচও সুভাষ কুমার যা বললেন
নাসিরগঞ্জের এসএইচও সুভাষ কুমার বলেন, "আমরা সেচ দফতরের আধিকারিকদের কাছ থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছি। সেই অনুযায়ী, আমরা অজানা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছি। তাদের শনাক্ত করার জন্য অভিযুক্তদের স্কেচ তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। আমরা স্ক্র্যাপ ডিলারদেরও সতর্ক করে দিয়েছি যাতে তারা এই বিষয়ে তথ্য দিতে পারে।