আড়িপাতার কোনও প্রমাণই নেই, পেগাসাস কাণ্ডে বিরোধীদের পাল্টা তোপ প্রাক্তন তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রীর
আড়িপাতার কোনও প্রমাণই নেই, পেগাসাস কাণ্ডে বিরোধীদের পাল্টা তোপ প্রাক্তন তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রীর
পেগাসাস কাণ্ডে গত কয়েক সপ্তাহ জুড়ে রোজই সরকারের উপর চাপ বাড়িয়ে চলেছে বিরোধীরা। এবার পাল্টা আক্রমণের রাস্তায় হাঁটল কেন্দ্র। এমনকী পেগাসাস ইস্যু নিয়ে কংগ্রেস সংসদকে অযথা অসম্মান করছে বলেও দাবি করেন তিনি। অন্যদিকে পেগাসাসকে হাতিয়ার করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে নজরদারি চালানোর অভিযোগ উঠলেও তাও এদিন অস্বীকার করেন প্রাক্তন তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ।
সংসদের অসম্মান করছে কংগ্রেস
এদিকে পেগাসাস নিয়ে যে সময় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তদন্ত চালানোর অভিযোগ উঠেছে সেই সময় কেন্দ্রের তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রকের দায়িত্বেই ছিলেন রবিশঙ্কর প্রসাদ। স্বভাবতই তাঁর ভূমিকা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। এবার সেই রবিশঙ্করই এদিন পেগাসাস নিয়ে কংগ্রেসকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানালেন। তাঁর দাবি, "সংসদের অসম্মান করছে কংগ্রেস। জোর করে সংসদের কার্যক্রম চলতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে বিজেপি সমস্ত রকম আলোচনার জন্য শুরু থেকেই তৈরি রয়েছে।
|
আড়িপাতার কোনও প্রমাণই নেই
অন্যদিকে পেগাসাস নিয়ে বিরোধীদের তোলা যাবতীয় দাবি অস্বীকার করে এদিন তিনি বলেন, "নজরদির সপক্ষে কোন প্রমাণ নেই। সংসদের বাদল অধিবেশন শুরুর ঠিক প্রতিবারই এই ধরণের একাধিক চক্রান্তেররচনা করা হয়। এবারও তার পুনরাবৃত্তি হয়েছে। নজরদারি বা ফোনে আড়িপাতার কোনও প্রমাণই কেউ দিতে পারবেন না। অথথা বিষয়টা নিয়ে জলঘোলা করা হচ্ছে।"
আমরা পার্লামেন্টে আলোচনার জন্য প্রস্তুত
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন এখনও পর্যন্ত বিরোধীরা এমন কোন প্রমাণ উপস্থাপন করেনি যাতে তাদের দাবির সত্যতা মেনে নেওয়া যায়। ফোন নম্বরগুলিতে ট্যাপ করার জন্য পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছিল সেগুলির যথাযথ কোনও প্রমাণ সামনে আসেনি। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই তিনি আরও বলেন, "আমরা পার্লামেন্টে আলোচনার জন্য প্রস্তুত। এদিকে যখন কেন্দ্র এই ইস্যুতে বিবৃতি দিল, তখন বিরোধীরা সকলের সামনেই তা ছিঁড়ে ফেলল। অযথা হইচই করা হচ্ছে, অথচ আলোচনার জন্য কেউই তৈরি নয়।"
সরকারের নজরে কারা ?
এদিকে সম্প্রতি পেগাসাস নিয়ে প্রথম চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট ফাঁস করে 'দ্য ওয়্যার' পোর্টাল। অভিযোগ, এই ইজরায়েলি স্পাইওয়্যারকে হাতিয়ার করেই ভারতের ৩০০ জন রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, বিচারপতি, সরকারি কর্তার ওপর নজরদারি চালিয়েছিল ভারত সরকার। তালিকায় নাম ছিল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, তৃণমূল নেতা অভিষেক ব্যানার্জি, ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর সহ একাধিক বিরোধী শিবিরের প্রথমসারির নাম। এদিকে ৩০০ জনের উপর নজরদারি চালাতে কমপক্ষে ৭টি পেগাসাসের লাইসেন্সের প্রয়োজন রয়েছে। এক একটি লাইসেন্সের দাম ৬০ কোটি টাকার বেশি।