রাজনীতির শিকার! দিল্লি দাঙ্গার সময় শিরোনামে আসা বিচারকের স্থানান্তরনে মিলল না অনুমোদন
রাজনীতির শিকার! দিল্লি দাঙ্গার সময় শিরোনামে আসা বিচারকের স্থানান্তরনে মিলল না অনুমোদন
সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়াম মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদের জন্য বিচারপতি এস মুরলীধরের নাম সুপারিশ করেছে। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে সুপ্রিম কোর্টের কলোজিয়ামের সুপারিশকে স্বাগত জানায়নি। অন্য এক বিচারপতিকে মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করেছে। কেন্দ্রের তরফে এস মুরলধীরের বদলিতে সম্মতি জানায়নি। দিল্লির উত্তেজনার সময় তিনি সংবাদের শিরোনামে এসেছিলেন।
বিচারপতি এস মুরলীধরকে নিয়ে নীরব কেন্দ্র
বিচারপতি এস মুরলীধরকে নিয়ে কেন্দ্র একেবারে নীরব অবস্থান বজায় রেখেছে। জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পঙ্কজ মিথাল শীঘ্রই রাজস্থান হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। সুপ্রিম কোর্টের কলোজিয়ামের সুপারিশকে কার্যত অগ্রাহ্য করেই কেন্দ্র অন্য বিচারপতিকে মাদ্রাজ হাইকোর্টেক প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করেছে।
সংবাদের শিরোনামে বিচারপতি এস মুরলীধর
বিচারপতি এস মুরলীধর আগে দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। এক রাতের মধ্যে তাঁকে দিল্লি থেকে পঞ্জাব হরিয়ানা হাইকোর্টে স্থানান্তরিত করা হয়। এর জেরে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। দিল্লি হিংসার সময় বিজেপির অনুরাগ ঠাকুর, পারভেশ ভার্মা, অভয় ভেমা এবং কপিল মিশ্রের উসকানি মূলক মন্তব্যের জন্য পুলিশি পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই নির্দেশের এক রাতের মধ্যেই তাঁকে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে স্থানান্তরিত করা হয়। দিল্লির হিংসার সময় একটি শুনানিতে তিনি বলেছিলেন, 'আমরা এই দেশে ১৯৮৪-এর মতো আরেকটি ঘটনা ঘটতে দিতে পারি না।'
এস মুরলীধরের বদলিতে বিক্ষোভ দিল্লি হাইকোর্টের
এক রাতের মধ্যে বিচারপতি এস মুরলীধরকে স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনায় দিল্লি বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়। সেই সময় একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেখানে বার অ্যাসোসিয়শনের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়, 'দ্ব্যর্থহীনভাবে এবং জোরালভাবে দিল্লি হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম দ্বারা প্রভাবিত এঅই বদলির নিন্দা জানাচ্ছে। এই ধরনের বদলি কেবল মহৎ প্রতিষ্ঠানের জন্য ক্ষতিকারক নয়, সাধারণ মানুষের বিচারব্যবস্থার ওপর বিশ্বাস হারিয়ে যাবে।' বদলির বিরোধিতা করে দিল্লি হাইকোর্টের আইনজীবীরা একদিন কাজ থেকে বিরত ছিলেন। আইনজীবীদের একটি দল তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে উদ্দেশ্য করে চিঠি লিখেছিলেন।
সরকারের সাফাই
কেন্দ্র সরকারের তরফে সেই সময় জানানো হয়েছিল, বিচারকের বদলি হওয়ার কথা অনেক আগে থেকেই ছিল। ১২ ব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম এই স্থানান্তরের সুপারিশ করেছিল। নিয়ম মেনেই বিচারকের বদলি করা হয়েছে। যদিও দিল্লি হাইকোর্টের আইনজীবীরা তা মানতে অস্বীকার করেছে।
বিচারপতি এস মুরলীধর
বিচারপতি এস মুরলীধর একজন আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। তিনি ভোপাল গ্যাস ট্র্যাজেডির শিকার এবং নর্মদা নদীর উপর বাঁধের কারণে বাস্তুচ্যুতদের জন্য লড়াই করেছিলেন। তাঁর যুগান্তকারী রায়ের মধ্যে ১৯৮৪ সালে শিখ বিরোধী দাঙ্গার জন্য কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এছাড়াও হাশিমপুরা গণহত্যার জন্য পুলিশ সদস্যদের দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। ১৯৮৭ সালে হাশিমপুরায় ৪২ জন মুসলিম ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। ২০০৯ সালে দিল্
মোমিনপুরের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট, কেন NIA-কে জানানো হল না? উঠল প্রশ্ন