ভাঙছে মহাজোট, বিহার উপ নির্বাচনে পৃথক প্রার্থী ঘোষণা করল কংগ্রেস-আরজেডি
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে তৈরি হয়েছিস এই মহাজোট। কিন্তু লোকসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশের পরেই যেন ভাঁটা পড়ে সেই উদ্দিপনায়। অন্তর্দ্বন্দ্বে জর্জরিত কংগ্রেস দল সামলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগেই বিহারে তৈরি হয়েছিল মহাজোট। কিন্তু লোকসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশের পরেই যেন ভাঁটা পড়ে উৎসাহ-উদ্দিপনায়। অন্তর্দ্বন্দ্বে জর্জরিত কংগ্রেস দল সামলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই এখন প্রধান হয়ে উঠেছে হাইকমান্ডের কাছে। অন্যদিকে মহাজোটের আরেক গুরুত্বপূর্ণ দল আরজেডিও মরিয়া লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে নীতীশের বিরুদ্ধে। তাই মহাজোটে আর তেমন মন নেই কোনও বিরোধী দলেরই। বিহারের উপ নির্বাচনে তাই মহাজোটের সব দলই আলাদা আলাদা করে প্রার্থী ঘোষণা করেছে।
২১ অক্টোবর বিহারে উপনির্বাচন
আগামী ২১ অক্টোবর বিহারে ৫টি কেন্দ্রে বিধানসভা উপনির্বাচন। দারাউন্দা, নাথনগড়, সিমাির, বখতিয়ারপুর, কিষাণগঞ্জে ভোট। এছাড়াও সমস্তিপুর লোকসভা কেন্দ্রেও উপনির্বাচন এদিন। রামচন্দ্র পাশোয়ানের মৃত্যুর কারণে আসনটি ফাঁকা হয়ে রয়েছে। এই সবকটি কেন্দ্রেই পৃথক পৃথক ভাবে প্রার্থী দিয়েছে আরজেডি, কংগ্রেস এবং হ্যাম সহ একাধিক রাজনৈতিক দল।
পৃথক প্রার্থী ঘোষণা মহাজোটের দলগুলির
এই পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে নাথনগড় কেন্দ্রে আরজেডি প্রার্থী করেছে রাবিয়া খাতুনকে। বেল্লাহার থেকে রামদেব যাদব, সিমারি বখতিয়ারপুর থেকে জাফর আলম। আরজেডি পৃথক প্রার্থী দিয়েছে জানার পর হ্যামের পক্ষ থেকেও এই কেন্দ্র গুলিতে পৃথক প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। দলের প্রতিষ্ঠাতা জিতেন রাম মাঝি নাথনগড় কেন্দ্রে অজয় রাইকে প্রার্থী ঘোষণা করে। বিজেপিকে জিততে আরজেডি সহযোগিতা করছে বলে অভিযোগ করেছেন জিতেন রাম মাঝি।
মহাজোটেই দ্বন্দ্ব
বিহারের উপনির্বাচনে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে মহাজোটের দলগুলির মধ্যেই টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। কেউ আর সমঝোতায় যেতে রাজি নন। কংগ্রেস আরজেডির সঙ্গে আসন সমঝোতায় যাবে না আগেই জানিয়ে দিয়েছে। আরজেডিও নাছোড়। কোনওভাবেই ময়দান ছাড়তে রাজি নয় তারা। কাজেই বিহার উপনির্বাচনে প্রায় পাঁচটি কেন্দ্রেই চতুর্মুখী লড়াই হতে চলেছে। কেউ কাউকে এট ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে নারাজ।
[ বহিষ্কৃত বিধায়কদের ভাগ্য নির্ধারণ হয়নি, পিছোল কর্নাটকের উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা]