জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন পুর্নবিবেচনা করার জন্য প্যানেল গঠন করল সরকার
জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন পুর্নবিবেচনা করার জন্য প্যানেল গঠন করল সরকার
শুধুমাত্র প্রাপ্য বিভাগগুলির জন্য জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন (এনএফএসএ) এর পুর্নবিবেচনা করার সুপারিশ করল কেন্দ্রীয় সরকারের সচিবদের একটি প্যানেল। এই এনএফএসএ ২০১৩ সালে কংগ্রেস শাসিত ইউপিএর দ্বিতীয় সরকারের আমলে সূচনা করা হয়েছিল। যাতে বলা হয়েছিল গ্রামীন জনগণের জন্য ৭৫ শতাংশ ও শহুের জনগণের জন্য ৫০ শতাংশ ভর্তুকিযুক্ত খাদ্যশষ্য সরবরাহ করা হবে।
এই প্রকল্পের আওতায় দেশের দুই–তৃতীয়াংশ মানুষ
গোটা ভারতের জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ এই এনএফএসএ-এর আওতায় পড়ে। এই প্রকল্পের সুবিধা মূলতঃ দু'টি বিভাগ পেয়ে থাকে। এক হল অন্তদয়া অন্ন যোজনার (এএওয়াই) অন্তর্ভুক্ত পরিবার ও অগ্রাধিকার পরিবার। অগ্রাধিকার বিভাগের পরিবারগুলির জন্য এনএফএসএ-এর অন্তর্গত প্রত্যেক ব্যক্তি ৫ কেজি করে করে খাদ্যশস্য পান এবং অন্তদয়া অন্ন যোজনার অন্তর্গত পরিবারগুলি ৩৫ কেজি করে খাদ্যশস্য পায়। এর মধ্যে প্রতি কেজি চালের দাম ৩টাকা ও প্রতি কেজি গমের দাম ২ টাকা।
মোদী সরকারের প্যানেল গঠন
নরেন্দ্র মোদী সরকার আগামী পাঁচ বছরের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রক নিয়ে ১০টি প্যানেল গঠন করেছে, যারা এনএফএসএ পুর্নবিবেচনা করে তার রিপোর্ট দেবে কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন সচিবালয় কমিটি কে। তারপর এই রিপোর্ট মন্ত্রীসভার সচিব রাজীব গৌবার কাছে জমা করা হবে।
এনএফএসএ ছাড়াও অন্য প্রকল্প
অর্থনীতিবিদ প্রসেনজিত বোস বলেন, ‘এটা সরকারের শ্রেণী পক্ষপাতিত্ব বলেই মনে হচ্ছে। তারা ধনীদের করে ছাড় দিচ্ছে এবং গরীবদের ওপর থেকে ভতুর্কি তুলে দেওয়া হচ্ছে। স্বল্প অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে, সরকারের করের রাজস্ব হ্রাস পাচ্ছে। সুতরাং, অর্থবছরের ব্যবধান ধরে রাখতে তারা কল্যাণ ব্যয়ের সঙ্গে আপস করতে চায়।' এনএফএসএ দেশের খাদ্য প্রকল্প হিসাবে কার্যকর হওয়ার আগে, সরকার অন্তদয়া অন্ন যোজনা, দারিদ্র্য রেখার নীচে এবং দারিদ্র্য রেখার উপরে জনগণের জন্য জন বিতরণ ব্যবস্থার মাধ্যমে ভর্তুকিযুক্ত খাবার সরবরাহ করেছিল। সরকারের তৈরি বিভিন্ন নীতি অনুসারে নীতি আয়োগ পিডিএসে সুবিধাভোগীর সংখ্যা অন্তদায়া অন্ন যোজনা এর আওতায় ২৫ মিলিয়ন এবং বিপিএল এবং এপিএল ক্যাটাগরির আওতায় ৪০.২ মিলিয়ন এবং ১১৫.২ মিলিয়ন লোক রয়েছে।