গণপিটুনিতে ছেলের মৃত্যুর বিচার পাননি, শেষপর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন বাবা
রাজস্থানের আলওয়ার শহরে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল এক দলিত যুবককে। তাঁর অন্ধ বাবা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আত্মহত্যা করলেন।
রাজস্থানের আলওয়ার শহরে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল এক দলিত যুবককে। তাঁর অন্ধ বাবা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আত্মহত্যা করলেন। ছেলের পক্ষে ন্যায়বিচার না পেয়ে হতাশ হয়েই তিনি এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে আত্মীয়-পরিজনদের দাবি। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রতিরাম জাতভ। ছেলের মৃত্যুর পাশাপাশি বাবাও মৃত্যুর তদন্তও চলছে।
ছেলে হরিশ জাতভের মৃত্যু নিয়ে তদন্ত ঠিকঠাক গতিতে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল না বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন রতিরাম। শেষমেশ তিনি বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন। এই ঘটনার পিছনে ছেলেকে হারানোর শোকের পাশাপাশি ছেলের মৃত্যু-তদন্তের অগ্রগতি না হওয়াও কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
আলওয়ার পুলিশ জানিয়েছে, রতিরামকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ১৬ জুলাই এক মহিলাকে মোটরসাইকেল নিয়ে ধাক্কা দেওয়ার পরে ২৮ বছর বয়সী হরিশ জাতভকে পিটিয়ে মারা হয়। তাঁকে নয়াদিল্লির একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তবে শেষরক্ষা হয়নি। দু'দিন পরে তিনি মারা যান।
পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনাটি ভাওয়ান্দি-চপকানি সড়কে ঘটেছিল। এরপরে বিক্ষুব্ধ বাসিন্দারা তাঁকে মারধর করে। অজ্ঞান করে ফেলে যায় রাস্তার উপর। রক্তাক্ত অবস্থায় যুবককে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তার পরে তাকে নয়াদিল্লির সফদারজং হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
হরিশ জাতেভের পরিবার অভিযোগ, ওমর শের ও তার সহযোগীরা তাকে মারধর করেছে। একটি পাল্টা এফআইআরও দায়ের করা হয়েছিল। যেখানে অভিযোগ করা হয়, ২৮ বছর বয়সী ট্রাক চালক মদ্যপ অবস্থায় ড্রাইভিং করছিলেন। তার ফলেই দুর্ঘটনা ঘটে। আর দুর্ঘটনার পর প্রহৃত হন চালক।