সার্জিকাল স্ট্রাইকের দিনেই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তল্লাশি! জোড়া ফলায় কাশ্মীরে জঙ্গি দমনে ভারত
মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ত্রাসবাদীদের তহবিল জোগানের এক মামলায়, এনআইএ কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বাড়িতে অনুসন্ধান চালাল।
মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি শিবিরে সার্জিকাল স্ট্রাইক চালিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। আর একই দিনে উপত্যকায় একের পর এক বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের বাড়িতে তল্লাশি চালাল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ। সন্ত্রাসবাদীদের তহবিল জোগানোর মামলায় এই তল্লাশি বলে জানা গিয়েছে।
এদিন কাশ্মীর উপত্যাকার প্রায় ৯টি জায়গায় তল্লাশি চালায় এনআইএ। তদন্তকারী সংস্থাকে সাহায্যের জন্য সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় পুলিশ ও সিআরপিএফ জওয়ানরাও। পাকিস্তান-পন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির পুত্র নইম গিলানির বাড়িতেও হানা দেন তদন্তকারীরা।
এছাড়া, জেকেএলএফ নেতা ইয়াসিন মালিক, মিরওয়াইজ উমর ফারুক, শাবির শা, আশরাফ সেহরি, জাফর ভাট - উপত্যকার প্রথম সারির সব বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার বাড়িতেই তল্লাশি চালানো হয়।
[আরও পড়ুন:আকাশপথে পুলওয়ামার জবাব, নিরাপত্তা নিয়ে তৎপরতা শুরু ইসলামাবাদে]
তদন্তকারীদের অভিযোগ, পাকিস্তান থেকে হাওয়ালায় টাকা পাঠানো হয় সন্ত্রাসবাদীদের সাহায্য়ে। যা এই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের হাত ঘুরেই পৌঁছায় জঙ্গিদের কাছে।
এদিন, ভোরে বালাকোট সেক্টরে আকাশপথে ২১ মিনিটের হামলায় নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর জঙ্গি ঘাঁটিগুলি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ধ্বংস করা হয়েছে পুলওয়ামার হামলার দায় স্বীকার করা জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের কন্ট্রোল রুমও। এর পাশাপাশি তাগদের তহবিল জোগানের পথ বন্ধ করে জোড়া ফলায় কাশ্মীরে জঙ্গি নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে ভারত।