মে মাসের শীতলতম দিন, অশনি ভাঙল ১০ বছরের রেকর্ড! এই শহরের তাপমাত্রা নেমে গেল ২৫ ডিগ্রির নিচে
ঘূর্ণিঝড় অশনির (Cyclone Asani) পথ ছিল ওড়িশা উপকূল বরাবর। হঠাৎ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের কাছে তা থমকে যায় এবং গতিপথ পরিবর্তন করে। যা জেরে যে বৃদ্ধি হওয়ার কথা ছিল ওড়িশা ও বাংলায়, সেই বৃষ্টি হয় অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পড়শি রাজ্য কর
ঘূর্ণিঝড় অশনির (Cyclone Asani) পথ ছিল ওড়িশা উপকূল বরাবর। হঠাৎ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের কাছে তা থমকে যায় এবং গতিপথ পরিবর্তন করে। যা জেরে যে বৃদ্ধি হওয়ার কথা ছিল ওড়িশা ও বাংলায়, সেই বৃষ্টি হয় অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পড়শি রাজ্য কর্নাটক-সহ কয়েকটি রাজ্যে। যার জেরে ওইসব রাজ্যের তাপমাত্রা নেমে যায়।
সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমেছে
দক্ষিণের শহরগুলিতে ভারী বৃষ্টির জেরে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন, দুটি তাপমাত্রাই নেমে যায় অনেকটাই। ১১ মে বেঙ্গালুরুর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২০১২ সালের পর শীতলতম দিন
আবহাওয়া দফতরের তরফে বলা হয়েছে, ২০১২ সালের পথ থেকে মে মাসের মধ্যে এই বছরের ১১ মে দিনটি ছিল শীতলতম। মূলত ঘূর্ণিঝড় ও ভারী বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা নেমে যায়। প্রসঙ্গত আবহাওয়া দফতর ইতিমধ্যেই জানিয়েছে ঘূর্ণিঝড় অশনি অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে ল্যান্ডফল করে বুধবার। তারপর থেকে তার শক্তি আরও কমতে থাকে। এদিন সেটি নিম্নচাপ এলাকা হিসেবে রয়েছে।
৫০ বছরের রেকর্ডের কাছে
সাম্প্রতিক ইতিহাসে বেঙ্গালুরুতে মে মাসের শীতলতম দিনটি ছিল ১৪ মে ১৯৭২-এ। সেদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সকালে বেঙ্গালুরুর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর এদিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে হাল্কা বৃষ্টির পূর্বাভাস
ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে ওড়িশা ও বাংলার উপকূলের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু তা অন্ধ্র উপকূলের কাছে গিয়েই থমকে যায় এবং শক্তি হারায়। ল্যান্ডফলের পরে প্রথমে গভীর নিম্নচাপ এবং পরে আরও দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়। তবে এদিন আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা
অন্যদিকে
উপকূল
অন্ধ্রপ্রদেশে
পরবর্তী
২৪
ঘন্টায়
ভারী
বৃষ্টিপাতের
পূর্বাভাস
দেওয়া
হয়েছে।
আপাতত
দুদিন
দক্ষিণের
রাজ্যগুলিতে
বিচ্ছিন্নভাবে
ভারী
বৃষ্টির
পূর্বাভাস
দেওয়া
হয়েছে।
বলা
হয়েছে,
উপকূল
অন্ধ্র
প্রদেশে
হাল্কা
থেকে
মাঝারি
বৃষ্টি,
কোথাও
কোথাও
বিচ্ছিন্নভাবে
ভারী
বৃষ্টিও
হতে
পারে।
আর
ভারী
থেকে
অতিভারী
বৃষ্টি
হতে
পারে
রায়ালসীমায়।
বজ্রবিদ্যুৎ-সহ
হাল্কা
থেকে
মাঝারি
বৃষ্টি
হতে
পারে
কেরল-মাহে-লাক্ষাদ্বীপে।
আগামী
৫
দিন
কেরল
ও
মাহেতে
বিচ্ছিন্নভাবে
ভারী
বৃষ্টি
হতে
পারে।
উপকূল
কর্নাটক,
তামিলনাড়ু,
পুদুচেরী,
কাড়াইকালে
১৪
মের
মধ্যে
বিচ্ছিন্নভাবে
ভারী
বৃষ্টি
হতে
পারে।
আবহাওয়া দফতরের সুখবর, দেশের গণ্ডির মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু! ১০ রাজ্যে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস