'অযোধ্যা' মামলা পুনর্বিবেচনার সমস্ত রিভিউ পিটিশন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে
অযোধ্যার রায় নিয়ে দায়ের করা সব রিভিউ পিটিশন খারিজ করে দিল সর্বোচ্চ আদালত। নভেম্বর অযোধ্যা নিয়ে রায়ের বিরুদ্ধে ১৮ টি রিভিউ পিটিশন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে।
অযোধ্যার রায় নিয়ে দায়ের করা সব রিভিউ পিটিশন খারিজ করে দিল সর্বোচ্চ আদালত। নভেম্বর অযোধ্যা নিয়ে রায়ের বিরুদ্ধে ১৮ টি রিভিউ পিটিশন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। এদিন শুনানিতে সবকটি আবেদনই খারিজ হয়ে গিয়েছে। কারণ হিসেব সবকটি আবেদনের মেরিট না থাকার কথা জানানো হয়েছে।
|
রিভিউ পিটিশন খারিজ
এদিন সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যা নিয়ে রিভিউ পিটিশনের শুনানি করে প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ। এই বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হলেন, ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, অশোকভূষণ, এস আব্দুল নাজির এবং সঞ্জীব খান্না।
১৮ টি আবেদনের মধ্যে ৯ টি দাখিল করেছিল, যারা আগেকার মামলায় ছিল তারাই। বাকি নটি দাখিল করেছিল তৃতীয় পক্ষ। সুপ্রিম কোর্টের তরফে এই নয় আবেদনের ক্ষেত্রে কোনও আমলই দেয়নি। কেননা তারা আসল মামলায় ছিল না।
অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের দাবি
অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সাধারণ সম্পাদক মৌলনা ওয়ালি রহমানি দাবি করেছিলেন, দেশের ৯৯ শতাংশ মুসলিম চান অযোধ্যার রায় নিয়ে রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হোক। যদি মনে করা হয়ে থাকে, মুসলিমদের একটা বড় অংশ এর বিরুদ্ধে, তা ভাবাটা ভুল। অযোধ্যা নিয়ে আদেশে বহু বিতর্কিত বিষয় রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
রায় নিয়ে সরব হয়েছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি
অযোধ্যা নিয়ে রায়ের অংশ পড়ে শুনিয়েছিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি একে গাঙ্গুলি। তিনি বলেছিলেন, এটা সুপ্রিম কোর্টের পক্ষে বলা অবাস্তব হয়েছে, ইসলামে মসজিদ গুরুত্বপূর্ণ নয়। আর নমাজ পড়া যায় খোলা জায়গায়। একজন উপাসকের বিশ্বাসকে চ্যালেঞ্জ করা যায় না, মন্তব্য করেছেন তিনি। অযোধ্যা নিয়ে রায় দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্ট সংখ্যালঘু মত গ্রহণ করেনি, মন্তব্য করেছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি।
অযোধ্যা নিয়ে রায় বের হয় ৯ নভেম্বর
৯ নভেম্বর ৫ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিয়েছিল বিতর্কিত জমিতে সরকারের করে দেওয়া ট্রাস্ট মন্দির তৈরি করবে। আর অযোধ্যাতেই সরকারের দেওয়া ৫ একর জমির ওপর মসজিদ তৈরি করা হবে।