ভোট প্রতিশ্রুতি আটকানো যায় না, রাজনৈতিক দলগুলির বিরুদ্ধে করা মামলায় বললেন প্রধান বিচারপতি
ভোট প্রতিশ্রুতি আটকানো যায় না, রাজনৈতিক দলগুলির বিরুদ্ধে করা মামলায় বললেন প্রধান বিচারপতি
ভোট প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোনও একজন েনতা জিততে পারে না। তার উপর রাজনৈতিক পাল বদল সম্ভব নয়। শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোনও রাজনৈতিক দল িজততে পারে না। সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলার শুনািনতে এমনই পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি রমান্না। কাজেই ভোটপ্রতিশ্রুতি দেওয়ায় তাঁদের পার্টিকে খারিজ করা সম্ভব নয়।
ভোট প্রতিশ্রুতি দেওয়া বন্ধ করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলির বিরুদ্ধ শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তাতে বলা হয় ভোট প্রতিশ্রুতিতে বিনামূল্যে একাধিক জিনিস দেওয়ার কথা ঘোষণা করে থাকেন রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রীরা। যাঁরা এই ধরনের প্রতিশ্রুতি দেবেন সেই সব রাজনৈতিক দলের প্রতীক বাজেয়াপ্ত করে তাদের িনষিদ্ধ করুক নির্বাচন কমিশনে। আদালতে এই মর্মে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। অশ্বিনী উপাধ্যায় নামে এক আইনজীবী এই মামলা দায়ের করেছিলেন।
কিন্তু শুনািনর পর প্রধান বিচারপতি রমন্না বলেন এভবে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা যায় না। কারণ সব রাজনৈতিক দল এরকম প্রতিশ্রুতি দিতেই পরে। প্রতিশ্রুতি দিলেই যে ভোটে জিতবে এমন কোনও কথনেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচরপতি।
মামলাকারী আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায় দাবি জািনয়েছিলেন যে সব রাজনৈতিক দল ভোটের আগে মিথ্যে প্রতিশ্রুিত দেয় তাদের প্রতীক নিষিদ্ধ করে অবিলম্বে তাদের রাজনৈতিক দল হিসেবে রেজিস্ট্রেশন বাতিল করুক নির্বাচন কমিশন। সেই মামলার শুনািনতে প্রধান বিচারপতি মামলাকারীকে এমএআরইজিএ-র কথা স্মরণ করিয়েছেন। তিিন বলেছেন, দেশে মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট রয়েছে। তাতে বলা আছে যে কেউ ভাল থাকার কথা ভাবতে পারে।
তারপরেই প্রধান বিচারবতি বলেন কোন একজন ব্যক্তির ভোট প্রতিশ্রুতিতে গোটা রাজনৈতিক দল জিতে যাবে এটা হতে পারে না। একথা বিশ্বাসযোগ্য নয়। স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নয়ন, পাণীয় জল পৌঁছে দেওয়া এই সব ভোট প্রতিশ্রুতির প্রেক্ষিতে কোনও রাজনৈতিক দল জেতে না। আর এক জনে ভোট প্রতিশ্রুতির উপর নির্ভর করে না কোনও রাজনৈতিক দলের জেতা।
এই িনয়ে সিদ্ধান্ত েনওয়ার আগে একটি পর্যালোচনা জরুরি বলে জানিয়েছেন প্রধানবিচারপতি সেকারণে একটি কমিটি গড়ে পর্যালোচনার কথ বলেছেন তিনি। এদিকে আবার ভোট প্রতিশ্রুতির সমর্থনে সুপ্রিমকোর্টে মামলা করেছে ডিএমকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই অশ্বিনী উপাধ্যায় বিজেপির মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেন। কাজেই বিজেপি পরিকল্পনা করে এই মামলাটি করেছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।