সরকারি কর্মচারীদের ফোন ধরে হ্যালোর পরিবর্তে বলতে হবে বন্দেমাতরম, মহারাষ্ট্রে লাগু নয়া নিয়ম
Array
মহারাষ্ট্র সরকার এক নতুন শপথ নেওয়ার কথা বলেছে। সরকার বলছে যারা সরকারি চাকরি করেন কিংবা সরকার সাহায্যকৃত সংস্থায় কাজ করেন তাদের এবার থেকে সৌজন্য সাক্ষাতের ক্ষেত্রে হ্যালো না বলে বন্দে মাতরম বলতে বলা হচ্ছে।
কী বলছেন মহারাষ্ট্র সরকার?
কোনও
সরকারি
ফোন
যদি
আসে
তাহলে
বন্দে
মাতরম
বলা
হয়েছে।
বলা
হয়ছে
যে,
বন্দে
মাতরম
হল
পশ্চিমের
একটা
বিশেষ
সংস্কৃতি।
মহারাষ্ট্রের
মন্ত্রী
সুধীর
মুঙ্গাতিওয়ার
এমনটাই
বলেছেন।
এর
কোনও
বিশেষ
মানে
নেই।
কোনও
আলাদা
ব্যপার
নেই।
এই
যে
বিশেষ
নিয়ম
লাগু
করা
হয়েছে
তা
আসলে
অগাস্ট
মাসেই
শপথ
নেবার
সময়
প্রস্তাব
রেখেছিলেন
সুধীর
মুঙ্গাতিওয়ার।
আজ
তা
প্রতিফলিত
হল।
বিজেপি নেতা সুধীর মুঙ্গাতিওয়ার বলেছেন, "দেশ ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস পালন করছে। আমরা সেই শুভক্ষণে সরকারের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এখন থেকে কোনও সরকারি কর্মচারী অফিসের মধ্যে অফিসের কোনও কাজের জন্য সৌহার্দ বিনিময়ের জন্য আর হ্যালো বলবে না ফোনে বার্তালাপ শুরু করার সময়। তাঁর বদলে কথা শুরু হবে বন্দে মাতরম দিয়ে।
কী বলছেন রাজনীতিবিদরা?
রাজনীতিবিদরা আবার শিন্ডে সরকারের এমন কাজে মোটেই খুশি নন, তাঁরা স্পষ্ট বলছেন এটা একটা ফতোয়া জারির মতো বিষয়। চাপিয়ে দেওয়া কাজ। এভাবে দেশ প্রীতি জোর করে আনা যায় না। এটা এক অদ্ভুত ব্যপার। এই সিদ্ধান্ত অনেককেী অবাক করেছে। অনেকে বলছেন এটা নেওয়া খুব শক্ত। একটা সরকার তাঁর কর্মীদের উপর এমন ভাবে কিছু চাপিয়ে দিতে পারে না। হতেই পারে তাঁরা সরকারি ভৃত্য তা বলে এভাবে কোনও জিনিষ চাপয়ে দেওয়া উচিৎ নয়।
কেন হ্যালো বলি?
ফোন কল রিসিভ করেই আমরা বলি 'হ্যালো' ।আর এই শব্দটি ফোন ব্যাবহারকারীদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। আমরা কেউ জানি কি কেন বলি ? কোথা থেকে এই 'হ্যালো' বলা শুরু বা এর পেছনের ইতিহাস! আদতে হ্যালো হলো একজন মেয়ের নাম ।পুরো নাম মার্গারেট হ্যালো, তিনি আর কেউ নন প্রখ্যাত বিজ্ঞানী আলেকজান্ডার গ্ৰাহাম বেলের প্রেমিকা।টেলিফোনের আবিষ্কারক হলেন গ্ৰাহাম বেল ।তিনি প্রথম ফোনটি তার প্রেমিকা হ্যালো কে করেছিলেন এবং প্রথম শব্দটি' হ্যালো' ছিল । এ ভাবেই হ্যালো বলার রীতিটি চলে আসছে। আজ হয়তো আমরা গ্ৰাহাম বেলকে মনে রাখিনি কিন্ত তার ভালোবাসার মানুষটির প্রতি না জেনেই প্রতিমুহূর্তে এইভাবে আমরা সম্মান প্রদর্শন করে আসছি। যদিও প্রচলিত ধারণা.
তাহলে টেলিফোনে বলা প্রথম শব্দ কী ছিল?
এখন
যদি
আপনার
মনে
প্রশ্ন
জেগে
থাকে
যে,
যদি
'হ্যালো'
মানুষের
বলা
টেলিফোনে
বলা
সর্বপ্রথম
কথা
না
হয়ে
থাকে
তবে
সেটা
কী
ছিল?
এর
উত্তর
শুনে
আপনি
কিছুটা
আশাহতও
হতে
পারেন।
টেলিফোন
আবিষ্কারের
পর
১৮৭৬
সালের
১০
মার্চ
আলেকজান্ডার
গ্রাহাম
বেল
সর্বপ্রথম
তার
পাশের
ঘরে
থাকা
সহকারীকে
ফোন
করেছিলেন।
টেলিফোনের
মাধ্যমে
যে
কথাটি
তিনি
বলেছিলেন
তা
'হ্যালো'র
মতো
কোনো
সম্ভাষণও
ছিল
না।
কথাটি
হচ্ছে,
"Mr.
Watson,
come
here.
I
want
to
see
you."
যার
বাংলা
করলে
দাঁড়ায়
এমন,
"জনাব
ওয়াটসন,
এখানে
আসুন।
আপনাকে
আমার
দরকার
আছে।"
তাহলে
'হ্যালো'র
উৎপত্তি
কীভাবে
হলো?
মজার
ব্যাপার
হলো
আলেকজান্ডার
গ্রাহাম
বেল
টেলিফোন
আবিষ্কার
করলেও
'হ্যালো'
সম্ভাষণটি
বলার
প্রচলন
তৈরি
করেছিলেন
অন্য
এক
প্রতিভাবান
ব্যক্তি।
তিনি
হলেন
বিখ্যাত
বিজ্ঞানী
এডিসন।
হ্যাঁ,
ঠিকই
ধরেছেন,
ইনিই
হলেন
বৈদ্যুতিক
বাতির
আবিষ্কারক
সেই
থমাস
আলভা
এডিসন।
গান্ধীজির ১৫৩তম জন্মদিন, রাজঘাটে বিশেষ শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির