দলে রাখতে হবে শৃঙ্খলা, নেতা-কর্মীদের কড়া বার্তা সোনিয়ার! একই সঙ্গে বিজেপিকে রুখতে দিলেন 'গোপন-মন্ত্র'
হাতে আর মাত্র দুটো বছর! সামনে লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে একজোট হতে শুরু করে দিয়েছে মোদী বিরোধী রাজনৈতিকদলগুলি। মূল্যবৃদ্ধি সহ একাধিক ইস্যুতে সামণে রেখে লাগাতার মোদী সরকারের বিরুদ্ধে চাপ বাড়াতে শুরু করেছে তৃণমূল সহ একাধ
হাতে আর মাত্র দুটো বছর! সামনে লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে একজোট হতে শুরু করে দিয়েছে মোদী বিরোধী রাজনৈতিকদলগুলি। মূল্যবৃদ্ধি সহ একাধিক ইস্যুতে সামণে রেখে লাগাতার মোদী সরকারের বিরুদ্ধে চাপ বাড়াতে শুরু করেছে তৃণমূল সহ একাধিক রাজনেতারা।
সেখানে দাঁড়িয়ে দলের মধ্যে বিদ্রোহ সামাল দেওয়াটাই বড় চ্যালেঞ্জ সোনিয়া এবং রাহুল গান্ধীর কাছে। শুধু তাই নয়, ঘর ভাঙা সামাল দেওয়াটাও বড় চ্যালেঞ্জ। আর সেখানে দাঁড়িয়েই নেতা-কর্মীদের বড় বার্তা সোনিয়া (Sonia Gandhi) গান্ধীর।
বিশৃঙ্খলা নিয়ে বড় বার্তা দেন দলনেত্রী
আজ মঙ্গলবার সোনিয়া গান্ধী দলের মধ্যে চলা বিশৃঙ্খলা নিয়ে বড় বার্তা দেন দলনেত্রী। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, দলের মধ্যে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। শুধু তাই নয়, একজোট থাকতেও নেতা-কর্মীদের কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে কংগ্রেসের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ বিভিন্ন রাজ্যস্তরে চলা অশান্তি এবং গোষ্ঠী কোন্দল। আর সেক্ষেত্রে কড়া বার্তা সোনিয়া গান্ধীর। তিনি জানিয়েছেন, রাস্তাস্তরে সমস্ত নেতাদের নীতিগত ক্ষেত্রে নেতাদের মধ্যে সমন্বয় রাখতে হবে। গোষ্ঠী কোন্দল কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ
কংগ্রেস জেনারেল সেক্রেটারি, প্রদেশ সভাপতি এবং নেতাদের সঙ্গে আজ মঙ্গলবার জরুরি বৈঠক বসেন সোনিয়া গান্ধী। এদিনের এই বৈঠক রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। একাধিক বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এই বৈঠকে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন সোনিয়া গান্ধী। শুধু তাই নয়, নেতাদের বলেন, যদি আগামী লোকসভা নির্বাচনে জিততে হয় তাহলে বিজেপি এবং আরএসএসের মিথ্যাচারকে দেশবাসীর সামণে তুলে ধরতে হবে। শুধু তাই নয়, আরএসএসের ভেদাভেদের রাজনীতির বিষয়ে সাধারণ মানুষকে বোঝাতে হবে। বার্তা সোনিয়া গান্ধীর।
সমালোচকদের কড়া নিশানা
গত কয়েকদিন আগে গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈঠকে বসেন সোনিয়া গান্ধী। আর সেই বৈঠকের শুরুতেই সমালোচকদের কড়া নিশানা করতে দেখা যায় সোনিয়াকা। তীব্র সমালোচনা করেন কবিল সিব্বাল সহ জি-২৩ শিবিরের নেতাদের। এদিকে কংগ্রেসে নবীন-প্রবীন দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিন ধরেই মাথাচাড়া দিচ্ছিল। এমনকী কার্যকরি নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠছিল বারেবারেই। প্রশ্নের মুখে পড়েছিল রাহুল-সোনিয়ার ভূমিকাও। তাই সুযোগ পেয়ে শুরুতেই জি-২৩ নেতাদের একহাত নিতে দেখা যায় সোনিয়াকে। এদিনও একই ভাবে দলের শৃঙ্খলাবজায় রাখতে দিলেন কড়া বার্তা।
মাথায় রেখেই নতুন কৌশল
এদিকে বছর ঘুরতেই পাঁচ রাজ্যে ভোট। এমনকী আর দুবছরের মাথায় লোকসভা ভোটও রয়েছে। তাই এখন থেকেই নতুন করে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিতে জোর দিচ্ছে কংগ্রেস। এমনকী জিগনেশ মেবানি, কানাহাইয়া কুমারদের মতো তরুণ মুখকেও দলে টেনেছে রাহুল ব্রিগেড। যদিও সোনিয়াকে বলতে শোনা যায়, "আমিই পূর্ণ সময়ের সভানেত্রী। গত দু'বছরে কৃষক আন্দোলন, করোনাকালে সময়ে ত্রাণ দুর্নীতি, দলিত ও সংখ্যালঘুদের নিপীড়ন, মূল্যবৃদ্ধি, সাম্প্রদায়িকতা সহ একাধিক বিষয়ের প্রতিবাদে কংগ্রেস আন্দোলন সংগঠিত করেছ। আমি সব ক্ষেত্রেই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি।