জেলে থেকেও অবাধে তোলাবাজি! 'ঠগের দেবতা' সুকেশের বেনজির কীর্তি
জেলে থেকেও অবাধে তোলাবাজি! 'ঠগের দেবতা' সুকেশের বেনজির কীর্তি
২০০
কোটির
তোলাবাজি
সহ
২০টি
বিভিন্ন
আর্থিক
তছরুপের
মামলায়
নাম
জড়িয়েছে
প্রতারক
সুকেশ
চন্দ্রশেখরের।
এ
নিয়ে
ইতিমধ্যেই
চার্জশিট
প্রকাশ
করেছে
এনফোর্সমেন্ট
ডিরেক্টরেট।
সুন্দরীদের
নামি
দামি
উপহার
দেওয়াতে
ওস্তাদ
ছিলেন
সুকেশ।
ড্যান্সিং
ডিভা
নোরা
ফতেহিকে
নামি
কোম্পানির
বহুমূল্য
গাড়ি
উপহার
দিয়েছিলেন
সুকেশ।
এরপর
বলিউড
অভিনেত্রী
জ্যাকলিন
ফার্নান্ডেজকে
৫২
লক্ষ
টাকার
একটি
ঘোড়া,
৯
লক্ষের
একটি
পার্সিয়ান
বিড়াল
সহ
কয়েক
কোটি
টাকার
উপহার
দিয়েছেন
তিনি।
আপাতত
জেলে
বন্দি
আছেন
তিনি।
আর
এখানে
তাঁর
পাল্টা
অভিযোগ,
তাঁকে
নাকি
জেলে
হয়রানির
শিকার
হতে
হচ্ছে।
সুকেশের
অভিযোগ
জেলে তাঁর সঙ্গে যা আচরণ করা হচ্ছে তা ঠিক নয় বলে অভিযোগ করেছেন সুকেশ। কারোও সঙ্গে কথা বলার অনুমতি নেই সুকেশের। সর্বদা তাঁকে থাকতে হয় সিসিটিভির নজরদারিতে। এমনকি তাঁর প্রাণখুলে নিঃশ্বাস নেওয়ারও নাকি অনুমতি নেই। এমনটাই অভিযোগ তাঁর। অবশ্য এবিষয়ে জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই নজরদারি কড়া রাখা হয়েছে।
এবার জেনে নেওয়া যাক এই কোটি টাকার ঠগবাজ সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য
১. ঠগবাজিতে ছোট থেকেই হাত পাকিয়েছিলেন সুকেশ। মূলত ব্যাঙ্গালুরু কেন্দ্রিক এলাকায় তিনি ঠগবাজি, তোলাবাজির প্রভাব বিস্তার করেছিলেন যা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন জায়গায়।
২. রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে ওঠাবসা করতেন সুকেশ। এবং কিছুটা বাংলার দীপাঞ্জনের মত নিজেকে রাজনৈতিক নেতা হিসেবে পরিচয় দিতেন। এমনকি তাঁর স্ত্রী যিনি নিজেও সুকেশের মদতদার হিসেবে অভিযুক্ত, সেই লীনার সাথে ডেটিং শুরু করেছিলেন একজন বড় নেতার ছেলে হিসেবে পরিচয় দিয়ে।
৩. সুকেশ চন্দ্রশেখর প্রযুক্তিগত বিষয়ে বেশ পারদর্শী। তার একটি স্পুফিং অ্যাপ রয়েছে যেখান থেকে তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের ছদ্মবেশী করে কল করতেন। এমনকি তিনি কেন্দ্রীয় আইন সচিবের ল্যান্ডলাইন নম্বর হ্যাক করেছিলেন যাতে ক্রসচেক করা হলে,তাঁর পরিচয় সামনে না আসে।
৪. ইডির চার্জশিটে বলা হয়েছে, সুকেশ ফোন ট্র্যাকিং সুকৌশলে এড়াতে জানেন।
৫. রোহিণী জেলে থাকার সময় তার জন্য একটি সম্পূর্ণ ব্যারাক খালি করা হয়েছিল। যেখানে তিনি দুটি ফোন অবাধে ব্যবহার করতেন। তিনি সিসিটিভি ক্যামেরা ফাঁকি দিয়ে অবাধে তোলাবাজির কাজ করতেন জেলে বসেই।
৬. বেশ কলগুলি ভার্চুয়াল নম্বরগুলি থেকে ফোন করতেন সুকেশ। এবং তিনি 'জয় হিন্দ' বলে তার টেলিফোন কথোপকথন শেষ করতেন। এমনকি জেল থেকে জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি।
৭. ২০২১ সালের শুরুর দিকে যখন তিনি জামিনে বেরিয়ে এসেছিলেন, তখন তিনি চেন্নাইয়ের জন্য একটি চার্টার্ড ফ্লাইট বুক করেছিলেন এবং জ্যাকলিনের জন্য একটি ফ্লাইট বুক করেছিলেন এবং দুজনের চেন্নাইয়ে দেখা হয়েছিল বলে জানা গেছে। জ্যাকলিন ইডিকে জানিয়েছেন সুকেশ জ্যাকলিনের কাছ থেকে তার পরিচয় লুকিয়ে রেখেছিলেন এবং তাকে বলেছিলেন যে তিনি জয়ললিতার পরিবারের সদস্য।
৮. ১৭ বছর বয়স থেকেই হাই প্রোফাইল ঠগবাজির মামলায় হাত পাকাতে শুরু করেন সুকেশ। তার প্রথম হাই-প্রোফাইল মামলা ছিল রাজনৈতিক দল এআইএডিএমকে-র প্রতীক ঘুষের মামলা।
৯. এর আগে সুকেশ ২০১৭ সালেও জেলে গিয়েছেন। কিন্তু তাঁর এই জালিয়াতি আর তোলাবাজির কারবার মুহূর্তের জন্যও বন্ধ হয়নি। জেল থেকে তাঁর ব্যবসা চালিয়ে যেতে নাকি জেল কর্তৃপক্ষকে বহু টাকা ঘুষ দিয়েছেন।
১০. সুকেশের এক ডজনেরও বেশি বিলাসবহুল গাড়ি ছিল যেগুলো এখন ইডি বাজেয়াপ্ত করেছে। সুকেশের সম্পত্তিতে অভিযান চালানোর সময় ৮২.৫ লক্ষ টাকা নগদও পেয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।