উত্তর-পূর্বে চমক দিতে পারে ছোটদলগুলির জোট! ভোট পরবর্তী জোটের অপেক্ষায় ২ বড় দল
কংগ্রেসকে সরিয়ে এবার মিজোরামে ক্ষমতায় আসবেন তারাই। আশাবাদী মিজোরামের প্রধান বিরোধী মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট। রাজ্যে প্রতি ১০ বছরে ক্ষমতার পরিবর্তন হয়।
কংগ্রেসকে সরিয়ে এবার মিজোরামে ক্ষমতায় আসবেন তারাই। আশাবাদী মিজোরামের প্রধান বিরোধী মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট। রাজ্যে প্রতি ১০ বছরে ক্ষমতার পরিবর্তন হয়। সেই ইতিহাসের ওপর ভিত্তি করেই আশাবাদী তারা। তবে পরিস্থিতি যা দেখা যাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে, ছোট দলগুলিই এবার বলে দেবে কারা ক্ষমতায় আসতে চলেছে।
পরিস্থিতি ভাল নয় মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্টের
দশ বছর ধরে রাজ্যের ক্ষমতার বাইরে রয়েছে মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট। গত দুটি বিধানসভা ভোটের দলের পরিস্থিতি খুবর একটা ভাল ছিল না। আর এবারের পরিস্থিতিও যে খুব একটা ভাল, তা মনে হচ্ছে না।
মুখ্যমন্ত্রী পদে নতুন মুখ খুঁজছেন নতুন ভোটাররা
রাজধানী আইজলের প্রথমবারের এক ভোটার জানাচ্ছেন, তিনি তাদের কথা শুনেছেন। তবে তাদের বড় কথা একেবারেই পছন্দ হয়নি তার। বাস্তবে কাজ দেখতে চায় রাজ্যবাসী। মুখ্যমন্ত্রীর মুখের বদলও চান তারা।
কংগ্রেসের লালথানহাওলার বয়স ৭৬ বছর। ২০০৮-এর ১১ ডিসেম্বর থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন তিনি। ২০১৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি রাজ্যে পঞ্চমবারের জন্যয় মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন। যা মিজোরামে একটা রেকর্ড। মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্টের জোরাম থাঙ্গা ১৯৯৮ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।
ভোটের পর জোট সঙ্গী
বেশ কিছু সামাজিক সংগঠন এবার পিছন থেকে মিজোরামের ভোটে অবতীর্ণ হয়েছে। সামনে থেকে রয়েছে ছটি আঞ্চলিক দল। তারা জোটবদ্ধ হয়েছে। এই জোটই মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্টের যাবতীয় সম্ভবনা নষ্ট করে দিতে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। ভোটের পর কিং মেকার হয়ে উঠতে পারে জোরাম পিপলস মুভমেন্ট। ফলে কংগ্রেস এবং বিজেপি উভয়েই তাদেরকে ভোট পরবর্তী জোটসঙ্গী হিসেবে মনে করছে।
আইজলের রাস্তায় খোলাখুলি নতুন জোট জোরাম পিপলস মুভমেন্টকে সমর্থন কথা জানাচ্ছেন অনেকেই।
সাধারণ মানুষ বলছেন, রাজ্যে নতুন সরকার দরকার। তার জন্য যদি জোরাম পিপলস মুভমেন্টকে ভোট দিতে হয়, তাহলে তারা তাই করবেন। জানাচ্ছে আইজলের নতুন ভোটাররা।
বিজেপি ইতিমধ্যে সভাপতি অমিত শাহ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দিয়ে রাজ্যে প্রচার চালিয়েছে।
জোরাম পিপলস মুভমেন্টের দাবি
জোরাম পিপলস মুভমেন্টের সাধারণ সম্পাদক কে সাপদাঙ্গা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত কুড়ি বছরে মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট এবং কংগ্রেস ১০ বছর করে সরকার চালিয়েছে। কিন্তু তাদের কাজ খুবই খারাপ। নেতারা যেন একই। আর তাদের ধারনারও যেন কোনও উন্নতি হয়নি। তারা সুশীল সমাজের সমর্থন পাচ্ছেন বলে দাবি করেছেন জোরাম পিপলস মুভমেন্টের সাধারণ সম্পাদক।
২০১৩-র
নির্বাচনে
আঞ্চলিক
দলগুলি
আলাদাভাবে
লড়াই
করেছিল।
মাত্র
একটি
আসন
তাদের
দখলে
গেলেও,
তারা
ভোট
পেয়েছিল
২৪
শতাংশের
মতো।
জোরাম
পিপলস
মুভমেন্টের
মুখ্যমন্ত্রী
পদপ্রার্থী
লালধাউমা।
তিনি
একজন
প্রাক্তন
আইপিএস।
নবীন
ভোটারদের
মধ্যে
তাঁর
জনপ্রিয়তাও
যথেষ্ট।
আঞ্চলিক দলগুলির জোট গঠন হয়েছে প্রায় একবছর আগে। ৪০ টি আসনের মধ্যে তারা লড়াই করছেন ৩৯ টি আাসনে।
( প্রতীকী ছবি সৌজন্য: পিটিআই)