উচ্চ রক্তচাপ, বুকে ব্যথা! ভোটের ফল প্রকাশ হতেই গন্তব্য মিলে গেল দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দলের নেতার
মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বরে) তেলেঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের ধাক্কা সামলাতে না পারায় দুই নেতাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বরে) পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরোতে প্রধঝানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন ভোটে হার-জিত আছেই। কিন্তু এই সহজ সত্যটা অনেকেই মানতে পারেন না। ভোটে জয়টা তাঁদের কাছে রীতিমতো মান-সম্মানের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। যেমন তেলেঙ্গানার দুই হেভিওয়েট নেতা। হারের ধাক্কা না নিতে পেরে দুজনেই মঙ্গলবার অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে খবর।
একজন কংগ্রেস নেতা কোমাতিরেড্ডি ভেঙ্কটরেড্ডি অপরজন টিআরএস-এর তুম্মালা নাগেশ্বর রাও। রাজ্য রাজনীতিতে দুজনেই বড় নাম।
কোমাতিরেড্ডি প্রার্থী হয়েছিলেন নালগোন্ডা কেন্দ্রে। ফল বের হতে দেখা যায়, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী টিআরএস-এর কাঞ্চারলা ভুপাল পেড্ডির কাছে তিনি ৮,৬৩৩ ভোটে পরাজিত হয়েছেন। জানা গিয়েছে এরপরই তাঁর হঠাত রক্তচাপ বেড়ে যায়। তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। দ্রুত তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
তবে বিষয়টি গোপন পাখতে চেয়েছএন তিনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোমাতিরেড্ডির আগমনের কথাই অস্বীকার করেছে। আর তাঁর ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, রুটিন চেকঅপের জন্য তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
অপরদিকে সারা রাজ্যে টিআরএসের জয়জয়কার হলেও পাল্লাইর কেন্দ্রে প্রাক্তন মন্ত্রী তুম্মালা, কংগ্রেস প্রার্থী কান্ডালা উপেন্দর রেড্ডির কাছে ৭,৬৬৯ ভোটে পরাজিত হন। অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভায় তিনি এর আগে টিডিপির হয়ে ১৯৮৫, ১৯৯৪, ১৯৯৯ সালে জয়ী হয়েছিলেন। ২০০৯ সালে খাম্মাম কেন্দ্র থেকেও জয়া হয়েছিলেন। ২০১৪তে একই কেন্দ্রে হারতে হলেও ২ ছর পরই পাল্লাইর কেন্দ্র থেকেই উপনির্বাচনে টিআরএস-এর টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন তিনি।
এতবারের জয়ী প্রার্থী এবারের হারটা সহজে মেনে নিতে পারেননি। গঠাতই তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁকে খাম্মাম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবশ্য় তিনি ভাল আছেন বলেই জানানো হয়েছে।