৮৪ দিনের আগেই মিলবে দ্বিতীয় ডোজ? হাইকোর্টের নির্দেশিকা ঘিরে চাপানৌতর
৮৪ দিনের আগেই মিলবে দ্বিতীয় ডোজ? হাইকোর্টের নির্দেশিকা ঘিরে চাপানৌতর
কোভিশিল্ডের ডোজের ব্যবধান নিয়ে চাপানৌতর চলছিল গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই। প্রথমে কেন্দ্রীয় সূত্রে খবর মিলেছিল শীঘ্রই কমে যেতে পারে কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের ব্যবধান। টিকার সঙ্কট মেটার কারণেই এই সিদ্ধান্তের পথে হাঁটা হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছিল। যদিও কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রের তরফে সাফ জানানো হয় কমছে না কোভিশিল্ডের ব্যবধান। এমতাবস্থায় এবার কোভিশিল্ড ডোজ নিয়ে বড় রায় দিতে দেখা গেল কেরল হাইকোর্টকে।
কী বলছে কের হাইকোর্ট
এদিকে সাধারণ নিয়ম অনুসারে করোনা ভ্যাকসিন কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের মধ্যে ৮৪ দিনের ফারাক রাখার কথাই বলছে কেন্দ্র। কিন্তু কেরল হাইকোর্ট তার সাম্প্রতিকতম পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে যাঁরা দ্বিতীয় ডোজ আগেই নিতে চান তাঁদের জন্য প্রথম ডোজের ৪ সপ্তাহ পর কো উইন পোর্টালে রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দেওয়া দরকার। এদিকে এর আগে দেশের টিকা নীতিতে একাধিকবার বদল আনে সরকার। তিন বার বদলানো হয় কোভিশিল্ডের ডোজের ব্যবধান।
তিন দফায় বদলায় টিকা নীতি
করোনা টিকার সাম্প্রতিক ইতিহাস বলছে গত জানুয়ারি মাসে দেশে টিকাকরণ চালু হওয়ার পর কোভিশিল্ডের দু'টি টিকার মধ্যে সময়ের ব্যবধান চার থেকে ছয় সপ্তাহ স্থির হয়েছিল। পরে তা বাড়িয়ে ৪২ দিন করা হয়। বর্তমানে তা দেওয়া হচ্ছে ৮৪ দিন অন্তর। আর এখানেই আপত্তি তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল কিটেক্স গার্মেন্টস লিমিটেড নামে একটি বস্ত্র উৎপাদনকারী সংস্থা।
আসল ঘটনার সূত্রপাত কোথায় ?
কিটেক্স গার্মেন্টস লিমিটেডের দাবি তাদের কর্মীদের দ্বিতীয় ডোজের জন্য ৮৪দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করা সম্ভব নয়। এই ব্যাপারে বিবেচনার জন্য কোর্টের কাছে আবেদন করেন তারা। তাদের বক্তব্য ইতিমধ্যেই তাদের ৫ হাজার কর্মীকে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়ে গিয়েছে। এবার তারা দ্বিতীয় ডোজ দিতে চান। সব মিলিয়ে তারা ৯৩ লক্ষ টাকা খরচ করতে উদ্যোগী ওই সংস্থা। কিন্তু নানা বিধিনিষেধের বেড়া জালে আটকে গোটা প্রক্রিয়া।
বাড়ছে চাপৌনতর
তাদের বক্তব্য শুনেই নড়েচড়ে বসে কের হাইকোর্ট। আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ কোনও সংস্থা বা শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত কেউ যদি প্রথম ডোজের চার সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে চান তবে তাঁকে বা সেই সংস্থাকে কো উইন পোর্টালের নাম নথিভুক্ত করার সুযোগ দিতে হবে। দাম দিয়ে টিকা কেনার ক্ষেত্রে সকলেরই এই সুযোগ পাওয়া উচিত বলেও দাবি করা হয় হাইকোর্টের তরফে। এদিকে টিকার দুটি ডোজেকর ব্যবধান বৃদ্ধিতে উচ্চ সুরক্ষা মিলবে বলে দাবি করেছিল কেন্দ্র। আর ঠিক সেই কারণেই বর্তমানে কেরল হাইকোর্টের রায়ের পর বাড়ছে চপানৌতর।
খবরের ডেইলি ডোজ, কলকাতা, বাংলা, দেশ-বিদেশ, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা, ব্যবসা, জ্যোতিষ - সব আপডেট দেখুন বাংলায়। ডাউনলোড Bengali Oneindia