লাদাখ উত্তেজনার মাঝেই চিনকে চাপে ফেলে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পদ পাওয়ার লড়াইতে ভারত
ভারত নিশ্চয় রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হবে। গতবছরই এই আশা ব্যক্ত করেছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। আর এবার সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে ব্রিকসভুক্ত দেশগুলির সাহায্য চাইলেন বিদেশমন্ত্রী। এই একই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন চিনের বিদেশমন্ত্রীও। প্রসঙ্গত, চিনের কলকাঠই নাড়ানোর জেরেই বারবার ভারতের স্থায়ী সদস্য হওয়া হয়ে উঠছে না।
ব্রিকসভুক্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিদের বৈঠক
ব্রিকসভুক্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিদের বৈঠকে যোগ দেন ভারতীয় প্রতিনিধিরা। ভারতীয় দলের নেতৃত্বে ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। রাশিয়া আয়োজিত এই ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেয় চিনও। গালওয়ানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা বাড়িয়েছে। সেই আবহেই ভারত-চিন বিদেশমন্ত্রী মুখোমুখই হন এদিন।
নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ
নিরাপত্তা পরিষদের মোট সদস্য সংখ্যা ১৫। তার মধ্যে ৫টি স্থায়ী এবং ১০টি অস্থায়ী পদ। দুই বছরের জন্য ওই অস্থায়ী সদস্যপদের মেয়াদ। আফ্রিকা এবং এশিয়া মহাদেশের জন্য পাঁচটি অস্থায়ী সদস্যপদ সংরক্ষিত। রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যরা হল আমেরিকা, চিন, রাশিয়া, ফ্রান্স এবং ব্রিটেন। তাদের মধ্যে ৪ টি দেশই সম্মতি প্রকাশ করেছে ভারতের স্থায়ী সদস্য হওয়ার ব্যাপারে। তবে এই পরিষদে থাকা ৫টি দেশের কাছেই ভিটো শক্তি রয়েছে। অর্থাৎ, তাদের মধ্যে যে কোন একটি দেশ সুরক্ষা কাউন্সিলের অন্য সকলের সর্বসম্মত ভোটের দ্বারা নেওয়া যে কোনও সিদ্ধান্তকে অবরুদ্ধ করতে পারে।
ভারতের কূটনৈতিক সাফল্য
এর আগে জুন মাসে ২০২১-২২ সালের জন্য রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যপদের জন্য ভারতের আবেদনকে সমর্থন করে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ। প্রসঙ্গত সেই গ্রুপে আছে পাকিস্তান ও চিন। ভারতের আবেদনকে এবারই প্রথম সমর্থন করল এই দুই দেশ। ভারতের জন্য যা একটি বড় কূটনৈতিক সাফল্য বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এর আগে সাত বার ভারত নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যপদ পেয়েছিল।
ভারতের দীর্ঘদিনের দাবি
দীর্ঘ দিন ধরে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য ৫টি দেশ। গত কয়েক বছরের একাধিকবার আবেদন সত্ত্বেও স্থায়ী সদস্যপদ পায়নি ভারত। ভারতের দাবি, তাদের পাশাপাশি এই স্থায়ী পদে যুক্ত করা উচিত, ব্রাজিল, জাপানের মতো দেশকেও। যদিও ভারতের আবেদনে প্রত্যেকবার ভেটো দিয়েছে চিন।
ভারত-মার্কিন কোয়াড জোট
এদিকে চিনকে কোণঠাসা করার বিষয়ে ফের ভারত-মার্কিন পারস্পরিক বোঝপড়া আরও সুদৃঢ় করতে কয়েকদিন আগেই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে ফোনালাপ সারেন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও। জানা গিয়েছে পারস্পরিক বোঝারড়া ছাড়াও এই ফোনালাপে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর মধ্য়ে আলোচনা হয় কোয়াড নিয়েছ যেখানে ভারত, আমেরিকা ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া ও জাপান রয়েছে।
ভারতে আইএস জঙ্গিদের মদত দেওয়ার নেপথ্যে তুরস্ক! যেভাবে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে কট্টরপন্থা