সড়ক নিরাপত্তা: দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় দুই বাস চালকের যাবজ্জীবন
২০১৮ সালে বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় রাজীব ও দিয়া নামের এই দুই কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় সারা দেশে ছাত্র বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিলো। আন্দোলনের এক পর্যায়ে সরকার একটি কঠোর সড়ক আইনও প্রনয়ণ করে।
২০১৮ সালে ঢাকার বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহতের আলোচিত ঘটনায় করা মামলায় দুই বাস চালক এবং একজন সহকারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
নিহত রাজীবের বোন রোকসানা আক্তার বিবিসিকে এ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত ওই তিনজনের বিরুদ্ধে ৩০৪ ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছে।
এছাড়া বাস মালিক এবং একজন সহকারীকে খালাস দেয়া হয়েছে।
গত বছর ২৯শে জুলাই ওই বাস দুর্ঘটনার পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে ঢাকাসহ সারাদেশে ব্যাপক ছাত্র বিক্ষোভ গড়ে উঠেছিল।
ওই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সরকার সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ পাস করে।
এর আগে ১৪ই নভেম্বর রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে পয়লা ডিসেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করে আদালত।
এ মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ২৯শে জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে এমইএস বাসস্ট্যান্ডে জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের প্রতিযোগিতায় বাসচাপায় নিহত হন শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীব এবং একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম।
আরো পড়তে পারেন:
সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু: টাকার অঙ্কে জীবনের মূল্য আসলে কত?
সড়ক পরিবহন আইনে কী আছে, পক্ষে বিপক্ষে যতো কথা
সড়ক আইন: 'সংস্কারের দাবিতে' কিছু জেলায় ধর্মঘট
আহত হয় আরও অন্তত ১২ শিক্ষার্থী।
ঘটনার দিনই নিহত দিয়া খানমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
২০১৮ সালের ৬ই সেপ্টেম্বর ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এ মামলায় জাবালে নূর পরিবহনের মালিক, দুইটি বাসের দুইজন চালক এবং চালকের সহকারীসহ আসামি মোট ছয়জন।
এদের মধ্যে জাবালে নূর পরিবহনের আরেক মালিক শাহাদাত হোসেন জামিনে রয়েছেন।
একজন আসামি পলাতক রয়েছেন।