সাংসদের 'নিরুদ্দেশ' পোস্টারে সরগরম এই লোকসভা কেন্দ্র
গত ছয়মাসে নিজের লোকসভা কেন্দ্রে আমেঠিতে যাননি সাংসদ রাহুল গান্ধী। সেই রাহুলের নিরুদ্দেশ পোস্টারে ছয়লাপ আমেঠি। কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও, অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি
গত ছয়মাসে নিজের লোকসভা কেন্দ্রে যাননি এক সাংসদ। উন্নয়নের কাজ থমকে। দীর্ঘ অপেক্ষায় সেই কেন্দ্রের বাসিন্দারা। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি ও তাঁর পরিবার সেই কেন্দ্র থেকে জিতে আসছেন। এহেন ঘটনায় একেবারে নিরুদ্দেশের পোস্টারে ছয়লাপ পুরো লোকসভা কেন্দ্র।
লোকসভা কেন্দ্রের নাম আমেঠি। সাংসদ কংগ্রেস সহসভাপতি রাহুল গান্ধী। গত ছয়মাস ধরে নাকি তাঁকে এলাকায়ই পাওয়া যায়নি। রাহুল নিখোঁজ পোস্টার কাণ্ডের ঘটনায় কংগ্রেস বিজেপি ও আরএসএসের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। বিজেপি অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
আমেঠির বিভিন্ন জায়গায় সেঁটে দেওয়া পোস্টারগুলিতে বলা হয়েছে, আমেঠির মাননীয় সাংসদ নিরুদ্দেশ। তাঁর খোঁজ কেউ দিতে পারলে পুরস্কৃত করা হবে, বলেও পোস্টারগুলিতে বলা হয়েছে। যদিও পোস্টারগুলির নিচে কোনও সংগঠন কিংবা ব্যক্তির নাম নেই। তবে রাহুলের বিরুদ্ধে পোস্টার এবারই প্রথম নয়। ২০১৫ সালে এরকমই বহু পোস্টার দেওয়া হয়েছিল আমেঠিতে।
তবে ২০১৫-তে আমেঠির স্থানীয় এক নেতা, থানায় মিসিং ডায়েরিও করেছিলেন। ক্ষুব্ধ স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, সাংসদকে সামনে না পাওয়ায় তাঁদের অভাব-অভিযোগ সম্পর্কে কিছুই বলতে পারছেন না তাঁরা। ফেব্রুয়ারিতে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে আমেঠিতে গিয়েছিলেন রাহুল।
জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব এই পোস্টারকে বিজেপি-আরএসএসের চক্রান্ত বলে অভিযোগ করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, গৌরিগঞ্জ এলাকায় এই পোস্টার বেশি পড়েছে। এব্য়াপারে এফআইআর দায়েরের কথাও ভেবেছে জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব।
পোস্টারের বিষয়টি অস্বীকার করলেও, বিজেপির জেলা নেতৃত্ব পোস্টারের বক্তব্যের সঙ্গে কার্যত সহমত পোষণ করেছে। তাদের বক্তব্য, আমেঠির জন্য রাহুল কিছু করলে এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হত না।
রাজনৈতিক মহলের মত, গুজরাতে রাহুল গান্ধীর ওপর হামলার ঘটনায় কিছুটা বিপাকে পড়ে বিজেপি। সেই দিক থেকে নজর ঘোরাতেই বিরোধী রাজনৈতিক দল এই কাণ্ড করেছে।